• ঢাকা
  • শুক্রবার, ২৯ মার্চ, ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

শিক্ষার্থীদের শারীরিক নির্যাতন করার অভিযোগ শিক্ষকের বিরুদ্ধে


সখীপুর (টাঙ্গাইল) প্রতিনিধি জানুয়ারি ১৭, ২০২৩, ০৫:০৩ পিএম
শিক্ষার্থীদের শারীরিক নির্যাতন করার অভিযোগ শিক্ষকের বিরুদ্ধে

ফাইল ছবি

টাঙ্গাইল: টাঙ্গাইলের সখীপুরে শিক্ষার্থীদের শারীরিক নির্যাতনের অভিযোগে বদলি শিক্ষক ফের একই বিদ্যালয়ে যোগদান করায় ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীর অভিভাবকরা ক্ষুব্দ হয়ে উপজেলা শিক্ষা অফিসে অভিযোগ করেছেন। উপজেলার শালগ্রামপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারি শিক্ষক ইদ্রিস আলীর বিরুদ্ধে এ অভিযোগ দেওয়া হয়।

অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, শালগ্রামপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারি শিক্ষক ইদ্রিস আলী শিক্ষার্থীদের উপর অমানবিক নির্যাতন চালায়। মধ্যযুগীয় কায়দায় কোমলমতি শিক্ষার্থীদের কানে দুই কলম দিয়ে চাপ দেওয়া, দুই শিক্ষার্থীর মাথা ধরে মাথায় মাথায় ডুষাদেওয়া, বেত্রাঘাত তো আছেই। এমন অভিযোগে গত ১৬ আগস্ট উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা অভিযুক্ত ওই শিক্ষককে হারিঙ্গাচালা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে বদলি করে দেন। কিন্ত কিছু দিন যাবৎ ফের ওই শিক্ষক পূর্বের স্কুলেই যোগদান করে পাঠদান করছেন। এমন অবস্থায় ওই শিক্ষককের ভয়ে বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী কমে গেছে।

এলাকায় অভিভাবকদের মধ্যে বাড়ছে ক্ষোভ, বিদ্যালয়ের পরিস্থিতি নিয়ন্তণ, কোমলমতি শিক্ষার্ক্ষীদের স্কুলগামী করতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটি সদস্য ও অভিভাবকবৃন্দ।

স্থানীয় আমেনা নামে এক অভিভাবক বলেন, ওই মাষ্টার তো সময় মত স্কুলেও আসে না। তাঁর নির্যাতনের ভয়ে তামিম, তায়েবা, মামুন মিয়া, আহাদসহ আরো কয়েকজন শিক্ষার্থীরা অন্য স্কুলে ভর্তি হয়েছে। এই শিক্ষক এই বিদ্যালয়ে থাকলে ছাত্র-ছাত্রী শূন্য কোঠায় দাড়াবে।

শালগ্রামপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক মো.মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, বিভিন্ন অভিযোগে উপজেলার শিক্ষা কর্মকর্তাদের মৌখিক আদেশে অভিযুক্ত শিক্ষক ইদ্রিস আলীকে অন্য স্কুলে বদলি করা হয়েছিল। গত ১৫ ডিসেম্বর শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের আদেশে মৌখিক বদলি বাতিল হয়। পরে সে আবার এই বিদ্যালয়ে আসায় এলাকায় অভিভাবকদের মাঝে আবার ক্ষোভ সৃষ্টি হচ্ছে। ওই শিক্ষকের ভয়ে আবার শিক্ষার্থীরা বিদ্যালয়ের আসা বন্ধ করেছে।

শিক্ষক ইদ্রিস আলী বলেন, সকল অভিযোগ মিথ্যা। সিনিয়র শিক্ষকের বদলে জুনিয়র শিক্ষককে ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক করায় আমি প্রতিবাদ করেছি। এই বিষয়ে ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষকের সাথে আমার মৌনদ্বদ্ব হয়েছে। সে এই বিষয়টিকে নিয়ে আমার বিরুদ্ধে বিভিন্ন অপপ্রচার করছেন।

উপজেলা শিক্ষা অফিসার রাফিউল ইসলাম বলেন, আমি যতটুকু জেনেছি অভিযোগের ভিত্তিতে ওই শিক্ষককে হারিঙ্গার চালা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে বদলি করা হয়েছিলো। গত ১৫ ডিসেম্বর শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের আদেশে মৌখিক বদলি বাতিল হয় তাই পূর্বের কর্মস্থলেই যোগদান করেন ওই শিক্ষক। এই শিক্ষক নিয়ে ফের কোন অভিযোগ থাকলে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

সোনালীনিউজ/আইএস/এসআই

Wordbridge School
Link copied!