• ঢাকা
  • শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল, ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

মাদক-অস্ত্র মামলায় গোল্ডেন মনিরের বিরুদ্ধে চার্জশিট দাখিল


আদলত প্রতিবেদক জানুয়ারি ২৬, ২০২১, ০১:১২ পিএম
মাদক-অস্ত্র মামলায় গোল্ডেন মনিরের বিরুদ্ধে চার্জশিট দাখিল

ফাইল ফটো

ঢাকা: অবৈধ অস্ত্র ও মাদক রাখার দায়ে করা মামলায় রাজধানীর মেরুল বাড্ডার গাড়ি এবং স্বর্ণ ব্যবসায়ী মনির হোসেন ওরফে গোল্ডেন মনিরের বিরুদ্ধে আলাদা দুটি চার্জশিট দিয়েছে পুলিশের গোয়েন্দা শাখা (ডিবি)।

মঙ্গলবার (২৬ জানুয়ারি) ঢাকা মহানগর হাকিম আদালতে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ডিবি পুলিশের পরিদর্শক আব্দুল মালেক এ চার্জশিট দাখিল করেন। 

আদালতে বাড্ডা থানার সাধারণ নিবন্ধন কর্মকর্তার দায়িত্বরত পুলিশের উপ-পরিদর্শক (এসআই) মাজহারুল ইসলাম গণমাধ্যমকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

গত ২০ নভেম্বর গভীর রাতে রাজধানীর বাড্ডায় মনিরের বাড়ি ঘেরাও করে র‌্যাব। পরদিন সকাল পর্যন্ত চালানো অভিযানে বাসাটি থেকে ৬০০ ভরি সোনার গহনা, বিদেশি পিস্তল-গুলি, মদ, ১০টি দেশের বিপুল মুদ্রা ও নগদ এক কোটি ৯ লাখ টাকা জব্দ করা হয়।

র‌্যাবের পক্ষ থেকে জানানো হয়, ঢাকা ও আশপাশের এলাকায় দুই শতাধিক প্লট ও ফ্ল্যাটের মালিক গোল্ডেন মনির। রাজউকের কয়েকজন কর্মকর্তার যোগসাজশে অসংখ্য প্লট হাতিয়ে নেন তিনি।

অভিযানের পর গত ২২ নভেম্বর মনিরের বিরুদ্ধে র‌্যাব বাদী হয়ে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইন, অস্ত্র ও বিশেষ ক্ষমতা আইনে পৃথক তিনটি মামলা করে। ওইদিনই এসব মামলায় তাকে ১৮ দিনের রিমান্ডে দেওয়া হয়। সর্বশেষ গত ৩ ডিসেম্বর তার নয়দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত।

র‌্যাব জানায়, নব্বইয়ের দশকে রাজধানীর গাউছিয়ায় একটি কাপড়ের দোকানের কর্মচারী ছিলেন মনির। সেই চাকরি ছেড়ে তিনি ক্রোকারিজের ব্যবসা শুরু করেন। এরপর লাগেজ ব্যবসা অর্থাৎ ট্যাক্স ফাঁকি দিয়ে বিভিন্ন দেশ থেকে মালামাল আনতেন মনির। একপর্যায়ে তিনি স্বর্ণ চোরাকারবারিতে জড়িয়ে বিপুল পরিমাণ স্বর্ণ অবৈধপথে বিদেশ থেকে বাংলাদেশে আনেন। সে কারণেই তার নাম হয়ে যায় ‘গোল্ডেন মনির’। স্বর্ণ চোরাকারবারে জড়ানোর কারণে ২০০৭ সালের বিশেষ ক্ষমতা আইনে তার বিরুদ্ধে একটি মামলা হয়।

সোনালীনিউজ/এমএইচ

Wordbridge School
Link copied!