• ঢাকা
  • মঙ্গলবার, ২৩ এপ্রিল, ২০২৪, ১০ বৈশাখ ১৪৩১

আরও এক মামলায় ৩ দিনের রিমান্ডে মামুনুল


আদলত প্রতিবেদক মে ১৭, ২০২১, ০৭:২৯ পিএম
আরও এক মামলায় ৩ দিনের রিমান্ডে মামুনুল

ফাইল ফটো

ঢাকা: হেফাজতে ইসলামের ডাকা হরতালে নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগ ও সহিংতার ঘটনায় করা আরও একটি মামলায় দলটির সাবেক যুগ্ম মহাসচিব মামুনুল হককে তিন দিনের রিমান্ডে নিয়েছে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)। 

সোমবার (১৭ মে) বিকেলে নারায়ণগঞ্জের চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ফারহানা ফেরদৌস ভার্চ্যুয়াল আদালতের মাধ্যমে এ আদেশ দেন।

এ বিষয়ে নারায়ণগঞ্জ কোর্ট পুলিশের পরির্দশক আসাদুজ্জামান গণমাধ্যমে বলেন, হরতালে নাশকতার আরও একটি মামলায় মামুনুল হককে গ্রেফতার দেখিয়ে সাত দিনের রিমান্ড আবেদন জানালে শুনানি শেষে আদালত তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। রিমান্ড শুনানিতে মামুনুল হক কাশিমপুর কারাগার থেকে ভার্চ্যুয়ালি অংশ নেন।

ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বাংলাদেশ সফরকে কেন্দ্র করে ২৮ এপ্রিল হারতালের ডাক দেয় হেফাজতে ইসলাম। সেই হরতালে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাড়কে ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগ ও সহিংসতার ঘটনা ঘটে। এসব ঘটনায় পুলিশ বাদী হয়ে মামুনুলসহ হেফাজত নেতা–কর্মীদের নামে মামলা করে।

এদিকে ১২ মে কথিত স্ত্রী জান্নাত আরা ঝর্ণার করা ধর্ষণসহ ৫ মামলায় মামুনুলকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ৩ দিন করে মোট ১৫ দিনের রিমান্ডে নেয় পুলিশ।

মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা পিবিআইয়ের পুলিশ পরিদর্শক আরিফুর রহমান বলেন, ১৫ এপ্রিল পুলিশ হেডকোয়ার্টারের নির্দেশে সিদ্ধিরগঞ্জ থানায় পুলিশের করা একটি মামলার দায়িত্ব নেয় পিবিআই। ওই মামলায় গ্রেপ্তার এক আসামি আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিতে জানান, হেফাজতের ডাকা হরতালে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের সিদ্ধিরগঞ্জে জ্বালাও–পোড়াওসহ গাড়ি ভাঙচুরের নির্দেশদাতা ছিলেন মামুনুল হক। তাই তাঁকে ওই মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতে রিমান্ড আবেদন করা হয়। মামলাটি গুরুত্ব দিয়ে তদন্ত করা হচ্ছে।

এ ছাড়া ৩ এপ্রিল সোনারগাঁয়ে রয়্যাল রিসোর্টের একটি কক্ষে হেফাজত নেতা মামুনুলকে নারীসহ অবরুদ্ধ করা হয়। সেখানে পুলিশ গিয়ে মামুনুলকে জিজ্ঞাসাবাদ করার সময় হেফাজত নেতা–কর্মী ও মাদ্রাসার ছাত্ররা ওই রিসোর্টে হামলা ও ভাঙচুর চালান। পরে তাঁকে পুলিশের কাছ থেকে ছিনিয়ে নেন তাঁরা। এ সময় হেফাজতের নেতা–কর্মীরা ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ চালান। স্থানীয় আওয়ামী লীগ কার্যালয়ও ভাঙচুর করা হয়। পুলিশ গিয়ে তাঁদের মহাসড়ক থেকে সরিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করলে হেফাজতের নেতা–কর্মীদের সঙ্গে পাল্টাপাল্টি ধাওয়া ও সংঘর্ষ বাধে। এ সময় পুলিশ চার শতাধিক শটগান ও কাঁদানে গ্যাসের শেল ছুড়ে তাঁদের ছত্রভঙ্গ করে দেয়। এ ঘটনায় হেফাজতের কর্মী মোহাম্মদ ফয়সাল বাদী হয়ে মামুনুলকে হেনস্থা করার অভিযোগে যুবলীগ-ছাত্রলীগের দুই নেতাসহ স্থানীয় ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে সোনারগাঁয় লিখিত অভিযোগ দেন। এদিকে ওই ঘটনায় পুলিশের ওপর হামলা ও সরকারি কাজে বাধা দেওয়ার অভিযোগে পুলিশ বাদী হয়ে দুটিসহ পৃথক সাতটি মামলা করে।

সোনালীনিউজ/এমএইচ

Wordbridge School
Link copied!