• ঢাকা
  • শুক্রবার, ২৯ মার্চ, ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

সরকারি কর্মকর্তাদের ১৫০ দিনের বেশি ওএসডির বিধান অবৈধ ঘোষণা


আদলত প্রতিবেদক জুন ৭, ২০২১, ০৪:৩৭ পিএম
সরকারি কর্মকর্তাদের ১৫০ দিনের বেশি ওএসডির বিধান অবৈধ ঘোষণা

ফাইল ফটো

ঢাকা: সরকারি কর্মকর্তাদের ১৫০ দিনের বেশি ওএসডি করে রাখার বিধান অবৈধ ঘোষণা করে হাইকোর্টের পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশ হয়েছে। 

সোমবার (৭ জুন) সুপ্রিম কোর্টের ওয়েবসাইটে এ পূর্ণাঙ্গ রায় পাওয়া গেছে।

রায় প্রদানকারী বিচারপতি জুবায়ের রহমান চৌধুরী ও বিচারপতি শশাঙ্ক শেখর সরকারের স্বাক্ষরের পর ২১ পৃষ্টার এ রায় প্রকাশ করা হয়।

এ পূর্ণাঙ্গ রায়ের অনুলিপি মন্ত্রিপরিষদ সচিব, জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব ও লোক প্রশাসন প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে পাঠানোর নির্দেশ দেয়া হয়েছে।

আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার অনীক আর হক। অপরদিকে রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল অমিত দাস গুপ্ত।

এ পূর্ণাঙ্গ রায়ে বলা হয়েছে, কোনো কর্মকর্তাকে ১৫০ দিনের বেশি ওএসডি করে রাখা যাবে না। এছাড়া ওএসডি কর্মকর্তার বিরুদ্ধে আনা অভিযোগের তদন্ত কাজ অবশ্যই ১৫০ দিনের মধ্যে শেষ করতে হবে।

এতে আরো বলা হয়েছে, কোনো কর্মকর্তাকে ওএসডি (বিশেষ ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা) হিসেবে পদায়ন করা হলে অকারণে দেরি না করে ওই কর্মকর্তার বিরুদ্ধে আনা অভিযোগের সত্যতা নিরুপণের জন্য সরকারকে অবশ্যই একটি তদন্ত কমিটি গঠন করতে হবে। তদন্ত কমিটি যদি অভিযোগের সত্যতা খুঁজে পায় তাহলে সরকারের উচিত হবে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তার বিরুদ্ধে আইন অনুযায়ী প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা। 

এর আগে, ২০২০ সালের ৮ জানুয়ারি ১৫০ দিনের বেশি সরকারি কর্মকর্তাদের ওএসডি করে রাখার বিধান অবৈধ ঘোষণা করে রায় দেন হাইকোর্ট। একই সঙ্গে যেসব সরকারি কর্মকর্তা ১৫০ দিনের বেশি সময় অফিসার অন স্পেশাল ডিউটি (ওএসডি) আছেন তাদের নিজ নিজ পদে পুনর্বহালের নির্দেশ দেন আদালত। এছাড়া একজন সিনিয়র সচিবের নেতৃত্বে একটি কমিটি গঠন করতে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়কে নির্দেশনা দেয়া হয়।

গত ২০১২ সালে সাবেক সচিব এম আসাফউদ্দৌলাহ ওএসডির বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে একটি রিট দায়ের করেছিলেন।

এতে বলা হয়, ১৯৯১ সালের ৩ অক্টোবর মন্ত্রণালয়ের এক প্রজ্ঞাপনে সর্বনিম্ন ৪৫ এবং সর্বোচ্চ ১৫০ জনকে ওএসডি করে রাখার বিধান রয়েছে। কিন্তু বর্তমানে এর ব্যতিক্রম হচ্ছে। তাই ওএসডির বিষয়ে আদালতের কাছ থেকে সিদ্ধান্ত চাওয়া হয়।

সোনালীনিউজ/এমএইচ

Wordbridge School
Link copied!