• ঢাকা
  • মঙ্গলবার, ১৬ এপ্রিল, ২০২৪, ৩ বৈশাখ ১৪৩১

‘ভুয়া সনদে’ ৩০ বছর সরকারি চাকরি, অতঃপর...


নিজস্ব প্রতিবেদক জুন ২২, ২০২১, ০৯:১৮ পিএম
‘ভুয়া সনদে’ ৩০ বছর সরকারি চাকরি, অতঃপর...

ঢাকা: সোনালী ব্যাংকের সাবেক ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজার (ডিজিএম) প্রদীপ কুমার শর্মা এখন দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) চার্জশিটভুক্ত আসামি। যদিও ৩০ বছর চাকরিজীবন শেষে অবসর নেওয়ার পর জানা গেলো তার দেওয়া মুক্তিযোদ্ধা ‘সনদ’ ছিলো জাল অবৈধভাবে তিনি প্রায় দেড় কোটি টাকার সরকারি বেতন-ভাতা নিয়েছেন।

মঙ্গলবার (২২ জুন) দুদকের জনসংযোগ কর্মকর্তা মো. আরিফ সাদেক ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালতে তার বিরুদ্ধে চার্জশিট দাখিল করা করেছেন। 

২০১৯ সালের ২৫ জুলাই দুদকের উপপরিচালক মো. হাফিজুল ইসলাম বাদী হয়ে মামলাটি দায়ের করেছিলেন।

মামলা সূত্র জানায়, আসামি প্রদীপ কুমার শর্মা সোনালী ব্যাংকে ১৯৮৩ সালে সিনিয়র অফিসার পদে আবেদন করেন। মুক্তিযোদ্ধা কোটায় করা আবেদনে নিজের বয়স ২৯ বছর ৪ মাস উল্লেখ করেন। তিনি ১৯৮৪ সালের ১০ জুলাই সিনিয়র অফিসার পদে যোগদান করে ২০১৪ সালের ৩০ জুন ডিজিএম হয়ে ৬০ বছর বয়সে অবসরে যান। ৩০ বছরের চাকরিজীবনে সোনালী ব্যাংক থেকে বেতন বাবদ ৬৯ লাখ ৩১ হাজার ৭৯৪ টাকা, উৎসব বোনাস বাবদ ১৬ লাখ ১২ হাজার ৫২৩ টাকা এবং গৃহ নির্মাণ ঋণ, গাড়ি ও কম্পিউটার ঋণ বাবদ ৪৬ লাখ ১২ হাজার ৮৬৬ টাকা উত্তোলন করেন প্রদীপ কুমার। 

সব মিলিয়ে তিনি ১ কোটি ৩১ লাখ ৫৭ হাজার ১৮৩ টাকা উত্তোলন করে আত্মসাৎ করেছেন বলে প্রমাণিত হয়েছে। মুক্তিযোদ্ধা সনদ জাল প্রমাণিত হওয়ায় জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিলের ২৩তম সভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী প্রদীপ কুমার শর্মাকে সরকারি বেতন-ভাতাসহ ভোগ করা অর্থ ফেরত দিতে হবে। দুদকের তদন্তেও প্রদীপ কুমার শর্মার মুক্তিযোদ্ধা সনদ জাল প্রমাণিত হয়েছে।

তার বিরুদ্ধে দণ্ডবিধির ৪২০/৪০৯/৪৬৭/৪৬৮/৪৭৭-ক এবং ১৯৪৭ সনের দুর্নীতি প্রতিরোধ আইনের ৫(২) ধারায় অভিযোগপত্র (চার্জশিট) দাখিল করা হয়েছে।

সোনালীনিউজ/আইএ

Wordbridge School
Link copied!