• ঢাকা
  • শনিবার, ২০ এপ্রিল, ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

দুপুরে রায়, জি কে শামীম ও ৭ দেহরক্ষীর সর্বোচ্চ শাস্তি চায় রাষ্ট্রপক্ষ


নিজস্ব প্রতিনিধি সেপ্টেম্বর ২৫, ২০২২, ০৯:৫৫ এএম
দুপুরে রায়, জি কে শামীম ও ৭ দেহরক্ষীর সর্বোচ্চ শাস্তি চায় রাষ্ট্রপক্ষ

ফাইল ছবি

ঢাকা : অস্ত্র আইনে করা মামলায় কথিত যুবলীগ নেতা ও বিতর্কিত ঠিকাদার এসএম গোলাম কিবরিয়া শামীম ওরফে জি কে শামীম ও তার সাত দেহরক্ষীর সর্বোচ্চ শাস্তি প্রত্যাশা করেছেন রাষ্ট্রপক্ষ। তাদের বিরুদ্ধে রাজধানীর গুলশান থানায় অস্ত্র আইনে করা মামলার রায় আজ।

রোববার (২৫ সেপ্টেম্বর) দুপুর ১২টার দিকে এ রায় ঘোষণা করা হবে। ঢাকার তৃতীয় অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ আদালতের বিচারক শেখ ছামিদুল ইসলাম এ রায় ঘোষণা করবেন।

রাষ্ট্রপক্ষের সহকারী পাবলিক প্রসিকিউটর সালাহউদ্দিন হাওলাদার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। 

তিনি বলেন, জি কে শামীম ও তার সাত দেহরক্ষীর বিরুদ্ধে অস্ত্র মামলার রায় রোববার দুপুর ১২টার দিকে ঘোষণা করা হবে। এ মামলায় আমরা আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণ করতে সক্ষম হয়েছি। আমরা তাদের সর্বোচ্চ শাস্তি প্রত্যাশা করছি। অস্ত্র মামলায় সর্বোচ্চ শাস্তি যাবজ্জীবন কারাদণ্ড। তবে আসামিদের বিরুদ্ধে অস্ত্র আইনে করা মামলার পৃথক তিন ধারায় অভিযোগ গঠন করা হয়েছে। জি কে শামীমের বিরুদ্ধে বৈধ অস্ত্র অবৈধ প্রদর্শনের অভিযোগ আনা হয়েছে। যার সর্বোচ্চ শাস্তি সাত বছরের কারাদণ্ড।

তবে আসামি পক্ষের আইনজীবীরা বলছেন, আসামিদের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রপক্ষ অভিযোগ প্রমাণ করতে সক্ষম হয়নি। রায়ে তারা খালাস পাবেন।

এর আগে ২৮ আগস্ট মামলাটির যুক্তিতর্কের শুনানি শেষে ঢাকার তৃতীয় অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ আদালতের বিচারক শেখ ছামিদুল ইসলাম রায় ঘোষণার এ তারিখ ঠিক করেন।

মামলার অপর আসামিরা হলেন- মো. জাহিদুল ইসালাম, মো. শহিদুল ইসলাম, মো. কামাল হোসেন, মো. সামসাদ হোসেন, মো. আমিনুল ইসলাম, মো. দেলোয়ার হোসেন ও মো. মুরাদ হোসেন। এরা জি কে শামীমের দেহরক্ষী।

২০১৯ সালের ২০ সেপ্টেম্বর গুলশানের নিজ কার্যালয়ে সাত দেহরক্ষীসহ গ্রেফতার হন জি কে শামীম। পরে তার বিরুদ্ধে অস্ত্র, মাদক ও অর্থপাচার আইনে তিনটি মামলা হয়। মামলার এজাহারে শামীমকে চাঁদাবাজ, টেন্ডারবাজ, অবৈধ মাদক ও জুয়ার ব্যবসায়ী বলে উল্লেখ করা হয়।

একই বছরের ২৭ অক্টোবর আদালতে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা র‌্যাব-১ এর উপ-পরিদর্শক শেখর চন্দ্র মল্লিক অস্ত্র মামলায় চার্জশিট জমা দেন।

২০২০ সালের ২৮ জানুয়ারি একই আদালত আসামিদের অব্যাহতির আবেদন নাকচ করে চার্জগঠন করে বিচার শুরুর আদেশ দেন। এ মামলায় ১০ জন আদালতে সাক্ষ্য দেন।

মামলার অভিযোগে বলা হয়, আসামি আমিনুল ইসলাম জামালপুর জেলা প্রশাসকের কার্যালয় থেকে লাইসেন্স প্রাপ্ত হয়েছে মর্মে ডকুমেন্ট দেখালেও তা যাচাইয়ে তার সঠিকতা খুঁজে পাওয়া যায়নি। পরে ওই অস্ত্রের নকল কাগজপত্র নিয়ে ২০১৭ সালে প্রথমে এসএম বিল্ডাস কোম্পানিতে যোগদান করেন। পরে ২০১৯ সালের মাঝামাঝি আসামি জি কে শামীমের দেহরক্ষী হিসেবে যোগদান করে কাজ করে আসছিলেন। তিনি মূলত অবৈধ অস্ত্রটি ৭০ হাজার টাকায় ক্রয় করে জাল-জালিয়াতির মাধ্যমে কাগজপত্র তৈরি করেন।

এছাড়া অন্যান্য আসামিরা নিরাপত্তার অজুহাতে অস্ত্রের লাইসেন্সপ্রাপ্ত হলেও তারা শর্ত ভঙ্গ করে অস্ত্র প্রকাশ্যে বহন, প্রদর্শন ও ব্যবহার করে লোকজনের মধ্যে ভয়ভীতি সৃষ্টি করতেন। এর মাধ্যমে টেন্ডারবাজি, চাঁদাবাজি, মাদক ও জুয়ার ব্যবসা করে স্বনামে-বেনামে বিপুল পরিমাণ অর্থ উপার্জন করেছেন।

২০১৯ সালের ২০ সেপ্টেম্বর সাত সশস্ত্র দেহরক্ষীসহ জি কে শামীমকে তার কার্যালয় থেকে আটক করে র‌্যাব। নিকেতন এ-ব্লকের ৫ নম্বর রোডের ১৪৪ নম্বর বাড়িতে তার অফিসে র‌্যাব দীর্ঘ ১১ ঘণ্টা অভিযান চালিয়ে তাকে আটক করে।

সেসময় তার কার্যালয় থেকে এক কোটি ৮০ লাখ টাকা, ৯ হাজার ইউএস ডলার, ৭৫২ সিঙ্গাপুরের ডলার, ১৬৫ কোটি টাকার এফডিআর, অস্ত্র, বিপুল পরিমাণ বিদেশি মদ উদ্ধার করা হয়।

এরপর জি কে শামীমের বিরুদ্ধে র‌্যাব বাদী হয়ে তিনটি মামলা দায়ের করে। মামলাগুলো হলো- অস্ত্র আইনে মামলা নম্বর ২৮(০৯)১৯, মানি লন্ডারিং মামলা নম্বর ২৯(৯)১৯ এবং মাদক মামলা নম্বর ৩০(৯)১৯। এরপর তার বিরুদ্ধে দুদক আরও একটি মামলা দায়ের করে। মামলাগুলো বিচারাধীন।

সোনালীনিউজ/এমএএইচ

Wordbridge School
Link copied!