• ঢাকা
  • বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ, ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

ওয়াসার এমডির নিয়োগের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে সুমনের রিট


নিজস্ব প্রতিবেদক  ডিসেম্বর ৪, ২০২২, ০২:০৭ পিএম
ওয়াসার এমডির নিয়োগের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে সুমনের রিট

ঢাকা: জাল জালিয়াতির মাধ্যমে নিয়োগ হয়েছে এমন অভিযোগ তুলে ঢাকা ওয়াসার এমডি তাকসিম এ খানের নিয়োগের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে রিট দায়ের করা হয়েছে।

রোববার (৪ ডিসেম্বর) আইনজীবী ব্যারিস্টার সৈয়দ সায়েদুল হক সুমন এ রিট দায়ের করেন। বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি খিজির হায়াতের হাইকোর্ট বেঞ্চ থেকে রিট আবেদনটির অনুমতি নেওয়া হয়েছে।

বিষয়টি গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেন ব্যারিস্টার সৈয়দ সায়েদুল হক সুমন। তিনি সাংবাদিকদের বলেন, ‘বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি খিজির হায়াতের হাইকোর্টে বেঞ্চ থেকে অনুমতি নিয়ে রিট করা হয়েছে। রিটটির আগামীকাল শুনানি হতে পারে।

‘রিটে তার নিয়োগ চ্যালেঞ্জ করা হয়েছে। তার নিয়োগ অবৈধ ঘোষণার নির্দেশনা চেয়েছি। রিটে দুদকসহ সংশ্লিষ্টদের বিবাদী করা হয়েছে।’

রিটকারী এ আইনজীবী বলেন, ‘ওয়াসার এমডি গত ১৩ বছর ধরে পদে আছেন। অথচ একটি পদে স্বাভাবিকভাবে ৫ বছর, তার বেশি আমাদের ইতিহাসে নাই। ২০০৯ সাল থেকে তিনি একই পদে আছেন।

‘তার সময়ে পানির দাম ৬ টাকা থেকে এখন ১৫ টাকা ইউনিটপ্রতি হয়েছে। হাজার হাজার কোটি টাকার অভিযোগ বিভিন্ন পত্রিকায় উঠে এসেছে। তারপরও তিনি বহাল তবিয়তে আছেন।’

২০০৯ সালে নিয়োগ পরীক্ষায় নম্বরে ঘষামাজা করে তাকসিমকে নিয়োগ দেয়া হয়েছে অভিযোগ করে আইনজীবী সুমন বলেন, ‘ওয়াসার এমডি হতে হলে যে ধরনের অভিজ্ঞতা থাকা দরকার, সেটা ছিল না। কম করে হলেও ২০ বছরের অভিজ্ঞতা থাকার দরকার, সেটা কিন্তু ছিল না। তারপরও তাকে নিয়োগ দেয়া হয়েছে। এরপর সেই মেয়াদ আবার বাড়ানো হয়েছে। তার নিয়োগপত্রে যা লেখা আছে, তা পৃথিবীর কোনো লোকের নিয়োগপত্রে এমন লেখা নাই।

‘তার নিয়োগপত্রে লেখা হয়েছে ভবিষ্যতে চুক্তিভিত্তিক নিয়োগকালে পরীক্ষা ও নম্বর প্রদানের ক্ষেত্রে সতর্ক হওয়ার জন্য নির্দেশক্রমে অনুরোধ করা হলো। এর মানেই বোঝা যাচ্ছে দুই নম্বরি হয়েছে। এরপরও তিনি বহাল তবিয়তে আছেন। এ জন্যই আমরা তার নিয়োগ চ্যালেঞ্জ করে নিয়োগ অবৈধ ঘোষণার নির্দেশনা চেয়েছি।’

গত ২৯ নভেম্বর ঢাকা ওয়াসা জানায়, বিগত ১৩ বছরে বেতন-ভাতা বাবদ ৫ কোটি ৭৯ লাখ ৯৩ হাজার ৭৯২ টাকা নিয়েছেন তাকসিম।

এর আগে ১৩ বছরে ঢাকা ওয়াসার এমডি বেতন-ভাতা ও আনুষঙ্গিক সুবিধা হিসেবে কত টাকা নিয়েছেন, তার হিসাব চেয়ে ১৭ আগস্ট আদেশ দেয় হাইকোর্ট।

এর পরিপ্রেক্ষিতে জমা দেয়া প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, ২০০৯ সালের অক্টোবর থেকে চলতি বছরের সেপ্টেম্বর পর্যন্ত তাকসিম এ খান বেতন, উৎসব ভাতা, বাড়িভাড়া, চিকিৎসা, আপ্যায়নসহ চাকরি সংক্রান্ত বিষয়ে ৫ কোটি ৭৯ লাখ ৯৩ হাজার ৭৯২ টাকা নিয়েছেন।

এ থেকে ভ্যাট বাবদ কাটার পর বেতন-ভাতা দাঁড়িয়েছে ৪ কোটি ৫১ লাখ ৬ হাজার ৫১৬ টাকা।

প্রতিবেদনটি বিচারপতি মো. মজিবুর রহমান মিয়া ও বিচারপতি কাজী মো. ইজারুল হক আকন্দের হাইকোর্ট বেঞ্চে জমা দেয়া হয়।

সোনালীনিউজ/এম/আইএ

Wordbridge School
Link copied!