• ঢাকা
  • বুধবার, ২৪ এপ্রিল, ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১

আনুশকার শরীরে ‘অস্বাভাবিক বড় কিছু’ ঢোকানোয় মৃত্যু


নিউজ ডেস্ক জানুয়ারি ১১, ২০২১, ০৬:৪৭ পিএম
আনুশকার শরীরে ‘অস্বাভাবিক বড় কিছু’ ঢোকানোয় মৃত্যু

ঢাকা: রাজধানীর মাস্টার মাইন্ড স্কুলের ছাত্রী আনুশকার শরীরে বিকৃত যৌনাচারের আলামত মিলেছে ময়নাতদন্তে। তার রেক্টাম ও যৌনাঙ্গে মিলেছে অস্বাভাবিক ‘ফরেন বডি’র আঘাত। অস্বাভাবিক বড় রকম কিছু ভিক্টিমের রেক্টামে পুশ করানোর ফলে তার যৌনাঙ্গ ও রেক্টাম ফেটে গিয়ে অতিরিক্ত রক্তক্ষরণ হয় এবং সে মারা যায়।

ময়নাতদন্ত শেষে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ফরেনসিক মেডিসিন বিভাগের প্রধান ডা. সোহেল মাহমুদ সংবাদমাধ্যমকে এমন তথ্য জানিয়েছেন।

তিনি বলেন, ‘স্বাভাবিক পেনিস (পুরুষ যৌনাঙ্গ) দ্বারা রেক্টাম ও যোনি ব্যবহার করলে এতটা ভয়াবহ পরিণতি হওয়ার কথা নয়। শরীরের নিম্নাঙ্গে বড় ধরনের কিছু একটা ব্যবহার করা হয়েছে। এক কথায় সেখানে বিকৃত যৌনাচার করা হয়েছে। আমি আমার পোস্টমর্টেম জীবনের অভিজ্ঞতার আলোকে বলতে পারি, পেনিস দ্বারা এই ইনজুরি মোটেও সম্ভব না।’

যোনিপথ ও পায়ুপথ থেকে প্রচুর রক্তক্ষরণের কারণে ভুক্তভোগীর মৃত্যু হতে পারে বলে ধারণা করছেন  ডা. সোহেল মাহমুদ।

তিনি বলেন, ‘প্রচুর রক্তক্ষরণ হওয়ায় সে এক ধরনের শকে মারা গেছে। মানুষের মাত্রাতিরিক্ত রক্তক্ষরণ বা দেহ থেকে অতিরিক্ত তরল বের হয়ে গেলে হৃদপিণ্ড স্বাভাবিক কার্যক্ষমতা হারায়। এ কারণে হৃদযন্ত্র শরীরে রক্ত সরবরাহ করতে পারে না, মানুষ মারা যেতে পারে।’

প্রসঙ্গত, গত বৃহস্পতিবার (৭ জানুয়ারি) সকালে বন্ধু দিহানের মোবাইল কল পেয়ে বাসা থেকে বের হন রাজধানীর ধানমন্ডির মাস্টারমাইন্ড স্কুলের ‘ও’ লেভেলের শিক্ষার্থী আনুশকা নূর আমিন। এরপর কিশোরীকে কলাবাগানের ডলফিন গলির নিজের বাসায় নিয়ে যান দিহান। ফাঁকা বাসায় তাকে ধর্ষণ করে দিহান। পরে অসুস্থ হয়ে পড়লে দিহানসহ চার বন্ধু তাকে ধানমন্ডির আনোয়ার খান মর্ডান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখানে চিকিৎসক ছাত্রীকে মৃত ঘোষণা করেন।

সোনালীনিউজ/আইএ

Wordbridge School
Link copied!