• ঢাকা
  • শনিবার, ২০ এপ্রিল, ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১

মানবপাচার সিন্ডিকেটের হোতা অমি, হাতিয়েছেন কোটি কোটি টাকা


নিজস্ব প্রতিবেদক জুন ২২, ২০২১, ০৪:২৩ পিএম
মানবপাচার সিন্ডিকেটের হোতা অমি, হাতিয়েছেন কোটি কোটি টাকা

ঢাকা: চিত্রনায়িকা পরীমনিকে ধর্ষণচেষ্টার ঘটনায় গত ১৪ জুন ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশের হাতে গ্রেফতার হন তুহিন সিদ্দিকী অমি।

সেই অমির রয়েছে বিদেশে মানবপাচারের সিন্ডিকেট, হাতিয়েছেন কোটি কোটি টাকা। দুবাই, মালয়েশিয়া, সিঙ্গাপুরে ভালো চাকরির কথা বলে অমি (৩৩) ও তার সহযোগীরা শত শত মানুষকে বিভিন্ন দেশে পাচার করেছেন।মানবপাচার করে তারা আত্মসাৎ করা টাকা দিয়েই বিলাসী জীবন যাপন করে আসছিলেন অমি ও তার সহযোগীরা।

মঙ্গলবার (২২ জুন) দুপুরে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগের (সিআইডি) প্রধান কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান সংস্থাটির ঢাকা মেট্রোর অতিরিক্ত ডিআইজি শেখ ওমর ফারুক।

এর আগে শনিবার (১৯ জুন) ডিএমপির দক্ষিণখান থানায় অমি ও তার সহযোগীদের বিরুদ্ধে একটি মানবপাচারের অভিযোগে একটি মামলা দায়ের করা হয়। মামলাটি পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগের (সিআইডি) কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। এই মামলায় সিআইডি এখন পর্যন্ত ৯ জনকে গ্রেফতার করেছে।

গ্রেফতাররা হলেন, জসিম উদ্দিন (৩৬), সালাউদ্দিন (৩৫), মুসা (২৬), রাকিবুল ইসলাম রানা (৩৩), গোলাপ হোসেন বুলবুল (৩৪), জাকির হোসেন (৩৪), নাজমুল (২৫), আলম (৩৫) ও শাহজাহান সরকার (৪৩)।

অতিরিক্ত ডিআইজি শেখ ওমর ফারুক বলেন, গত কয়েক দিন ঢাকা ও দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে অভিযান চালিয়ে মানবপাচার চক্রের ৯ সদস্যকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এই চক্রের মূল হোতা মো. তুহিন সিদ্দিক অমি।

গ্রেফতারদের কাছ থেকে ৩৯৫টি পাসপোর্ট, অমির ৪টি বিলাস বহুল গাড়ি, ২২টি হার্ড ডিস্ক, সম্পত্তির দলিল, ক্রেডিট কার্ড, অলিখিত ষ্ট্যাম্প, বিভিন্ন ব্যাংকের চেক বই, ভিসা কার্ড, পেনড্রাইভ ও মোবাইল সেট জব্দ করা হয়।

তিনি বলেন, অমি ও তার সহযোগীরা মানুষকে অধিক বেতনে বিদেশে ভালো চাকরির প্রলোভন দেখিয়ে ভিকটিমদের কাছ থেকে বিপুল পরিমাণ অর্থ আদায় করে আসছিল। কিন্তু তারা  ভিকটিমদের চাকরি না দিয়ে বিভিন্ন দেশে পাচার করে দেয়। এছাড়াও তারা অনেক নিরীহ লোকদের দুবাই, মালয়েশিয়া, সিঙ্গাপুরসহ বিভিন্ন দেশে পাঠানোর কথা বলে কোটি কোটি টাকা আত্মসাৎ করেছে।

তিনি আরও বলেন, চক্রটি ভিকটিমদের যথাযথ পদ্ধতিতে বিদেশ পাঠায়নি বলে এখন তারা কাজ পাচ্ছেন না। ফলে তারা মানবেতর জীবন যাপন করছেন। অমি ও তার সহযোগীরা দীর্ঘদিন ধরে সংঘবদ্ধভাবে বিভিন্ন দেশে মানবপাচার করে উপার্জিত অর্থ দিয়ে বিলাস বহুল জীবনযাপন করে আসছিল। তারা স্বল্প সময়রে মধ্যে নামে-বেনামে বিপুল পরিমাণ সম্পদের মালিক হয়েছে বলে তথ্য পাওয়া যাচ্ছে।

এ বিষয়ে আরও তথ্য জানতে সিআইডির তদন্ত চলমান রয়েছে। আসামিদের অধিক জিজ্ঞাসাবাদ করার জন্য রিমান্ড মঞ্জুরের জন্য আদলতে নেওয়া হবে বলে জানান এই কর্মকর্তা।

সোনালীনিউজ/আইএ

Wordbridge School
Link copied!