• ঢাকা
  • শনিবার, ২০ এপ্রিল, ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১

মুসার ১৫ দিনের রিমান্ড চাইবে পুলিশ


নিজস্ব প্রতিবেদক জুন ১০, ২০২২, ০২:৩১ পিএম
মুসার ১৫ দিনের রিমান্ড চাইবে পুলিশ

সুমন শিকদার ওরফে মুসা। ছবি: সংগৃহীত

ঢাকা : রাজধানীর শাহজানপুরে আওয়ামী লীগ নেতা জাহিদুল ইসলাম টিপু ও কলেজছাত্রী সামিয়া আফরান প্রীতি হত্যার মূল পরিকল্পনাকারী সুমন শিকদার ওরফে মুসাকে ১৫ দিনের রিমান্ডে চাইবে মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)।

শুক্রবার (১০ জুন) দুপুরে ডিএমপি মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা জানান ডিবির অতিরিক্ত কমিশনার এ কে এম হাফিজ আক্তার।

তিনি বলেন, ‘ডাবল মার্ডারের ঘটনায় বগুড়া থেকে গ্রেপ্তার শুটার মাসুম মোহাম্মদ ওরফে আকাশের স্বীকারোক্তিমূলক জবাববন্দিতে মূল পরিকল্পনাকারী ও সমন্বয়কারী হিসেবে মুসার নাম আসে। পরে জানা যায়, মুসা ঘটনার আগেই ১২ মার্চ দেশ ছেড়ে সংযুক্ত আরব আমিরাত চলে যান। তার সন্ধান পেতে ৬ এপ্রিল পুলিশ সদরদপ্তরের এনসিবি শাখায় যোগাযোগ করা হয়।’

তিনি আরো বলেন, ‘পুলিশ সদরদপ্তর ৮ এপ্রিল মধ্যপ্রাচ্যের বিভিন্ন দেশে ইন্টারপোলের মাধ্যমে যোগাযোগ শুরু করে। এরমধ্যে ৮ মে জানা যায়, মুসা দুবাই থেকে ওমানে প্রবেশ করেছেন। ইন্টারপোলের ওমান পুলিশ এনসিবির সহযোগিতায় গত ১২ মে মুসাকে গ্রেপ্তার করা হয়। বাংলাদেশ পুলিশের একটি টিম ওমানে গিয়ে গত বৃহস্পতিবার (৯ জুন) মুসাকে দেশে ফিরিয়ে আনে।’

ডিবিপ্রধান বলেন, ‘মুসাকে না পেয়ে মামলার তদন্তে হিমশিম খাচ্ছিলাম। তবে এনসিবির মাধ্যমে ইন্টারপোলের সহায়তায় মুসাকে ওমান থেকে গ্রেপ্তার করে দেশে আনা হয়েছে। তাকে আদালতে সোপর্দ করে ১৫ দিনের রিমান্ড চাওয়া হবে।’

এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত ১৩ জনকে সন্দেহভাজন হিসেবে গ্রেপ্তার করা হয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, ‘এখন তদন্তে কার দায় আছে, কার নেই অথবা কে বাদ বা যুক্ত হবে, সেটি খতিয়ে দেখা হবে। মুসাকে গ্রেপ্তারের মাধ্যমে আমরা মামলাটি এগিয়ে নিয়ে যেতে পারবো।’

ডিবিপ্রধান আরো বলেন, শুটার আকাশের জবানবন্দিতে মুসার নাম আসে। এছাড়া তদন্তে ঘটনায় মুসার সংশ্লিষ্টতার বিষয়টি আসছে। মুসাকে যেহেতু রিমান্ডে আনবো, এ মুহূর্তে সব প্রশ্নের উত্তর দিতে পারবো না। তবে প্রাথমিকভাবে জেনেছি, মুসা পরিকল্পনায় জড়িত।’

ঘটনার সাথে মোল্লা শামীম নামে একজনের সংশ্লিষ্টতার বিষয়ে তিনি বলেন, ‘আগে আমরা নিশ্চিত হবো তিনি কোথায় পালিয়েছেন। এছাড়া কীভাবে পালিয়েছেন বিষয়টি তদন্তে করে দেখা হচ্ছে। আগে যাদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে, তাদেরকে আবার জিজ্ঞাসাবাদে আনা হবে। তাদেরকে গ্রেপ্তার মুসার মুখোমুখি করে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে। এরপর ঘটনার কার কী সংশ্লিষ্টতা, তা নিশ্চিত হওয়া যাবে।’

উল্লেখ্য, গত ২৪ মার্চ রাত পৌনে ১০টার দিকে মতিঝিল এজিবি কলোনি কাঁচা বাজার সংলগ্ন রেস্টুরেন্ট থেকে বাসায় ফেরার পথে শাজাহানপুর আমতলা ইসলামী ব্যাংক হাসপাতালের সামনে সন্ত্রাসীদের গুলিতে নিহত হন মতিঝিল থানা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক জাহিদুল ইসলাম টিপু এবং কলেজছাত্রী প্রীতি। টিপুর গাড়িচালক মুন্নাও গুলিবিদ্ধ হন।

এ ঘটনায় পরদিন টিপুর স্ত্রী ফারজানা ইসলাম ডলি মামলা করেন। মামলায় অজ্ঞাতনামাদের আসামি করা হয়।

সোনালীনিউজ/এমটিআই

Wordbridge School
Link copied!