• ঢাকা
  • শুক্রবার, ২৯ মার্চ, ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

বাংলাদেশের দারিদ্র্য বিমোচনের প্রধান বাহন কৃষি : বিশ্বব্যাংক


নিজস্ব প্রতিবেদক মে ১৭, ২০১৬, ০৭:৫৮ পিএম
বাংলাদেশের দারিদ্র্য বিমোচনের প্রধান বাহন কৃষি : বিশ্বব্যাংক

বাংলাদেশে ২০০০ সাল থেকে এ পর্যন্ত দারিদ্র্য বিমোচনের ক্ষেত্রে কৃষি প্রধান বাহনের ভূমিকায় রয়েছে। তবে এখন মৎস্য, পশুপালন, বনায়নসহ উচ্চ মূল্যমানের কৃষি উৎপাদনের দিকে যেতে হবে, যাতে কৃষকের আয় এবং পুষ্টি যোগান বাড়ে।

বিশ্বব্যাংক প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে এ তথ্য তুলে ধরা হয়েছে। আজ মঙ্গলবার রাজধানীর সিরডাপ মিলনায়তনে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে ‘বাংলাদেশে গ্রামীণ প্রবৃদ্ধির গতিশীলতা: টেকসই দারিদ্র বিমোচন’ শীর্ষক এই প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়।

অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে বক্তৃতা করেন, স্থানীয় সরকার,পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী ইঞ্জিনিয়ার খন্দকার মোশাররাফ হোসেন প্রধান অতিথির বক্তৃতা করেন।এতে অন্যান্যের মধ্যে পরিকল্পনা কমিশনের সদস্য অধ্যাপক শামসুল আলম,বিশ্বব্যাংকের আবাসিক কার্যালয়ের প্রধান চিমিয়াও ফান, বিশ্বব্যাংকের মূখ্য অর্থনীতিবিদ মাথুর গৌতম এবং সংস্থার এগ্রিকালচার গ্লোবাল প্রাকটিস ইউংয়ের পরিচালক ইথিল সেনহোসার ও প্রজেক্ট ম্যানেজার মার্টিন ভ্যান নিওকপ।

খন্দকার মোশাররাফ হোসেন তার বক্তব্যে বলেন,কৃষির পাশাপাশি অকৃষি খাতে প্রবৃদ্ধি জোরদারে সরকার বেশ কিছু নীতি ও কর্মপরিকল্পনা গ্রহণ করেছে।পরিবহন অবকাঠামোর সুযোগ সম্প্রসারণে গ্রামীণ রাস্তাঘাটের উন্নয়ন করা হচ্ছে।এই খাতে বিপুল পরিমাণ বিনিয়োগও হচ্ছে।

তিনি বলেন,বড় শহুরগুলোর সাথে গ্রামীণ যোগাযোগ সম্প্রসারণ হলে অকৃষিখাতের প্রবৃদ্ধি ত্বরান্বিত হবে। একইসাথে বাজার ব্যবস্থাপনায় দক্ষতা বাড়বে যা কৃষকের পণ্যের ন্যায্যা মূল্য পেতে সাহায্য করবে।

চিমিয়াও ফান বলেন,‘গত কয়েক দশকে বাংলাদেশে উল্লেখ করার মত কৃষি উৎপাদন বেড়েছে। যা স্বল্প আয়তনের এই দেশের বিপুল পরিমাণ মানুষের প্রত্যেকের খাদ্য স্বংসম্পূর্ণতা এনে দিয়েছে।’ তিনি বলেন,বাংলাদেশ এখনও কেবলমাত্র ধান উৎপাদনের প্রতি বেশি মনোযোগি। জলবায়ু পরির্তনের সাথে খাপ খাইয়ে কৃষি উৎপাদনে বৈচিত্র আনার পরামর্শ দেন তিনি।

প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়,বাংলাদেশের গ্রামীণ প্রবৃদ্ধি মূলত কৃষির ওপর নির্ভরশীল।এই অবস্থার পরিবর্তন হওয়া দরকার।অকৃষিখাতের প্রতি মনোযোগ বাড়ানোর সুপারিশ করা হয়েছে।

সোনালীনিউজ/ঢাকা/মে

 

Wordbridge School
Link copied!