• ঢাকা
  • বুধবার, ২৪ এপ্রিল, ২০২৪, ১০ বৈশাখ ১৪৩১

ডিমিউচ্যুয়ালাইজড পরবর্তীতে ডিএসইর সর্বনিম্ন লভ্যাংশ ঘোষণা


নিজস্ব প্রতিনিধি নভেম্বর ৩০, ২০২০, ০৮:৩৫ পিএম
ডিমিউচ্যুয়ালাইজড পরবর্তীতে ডিএসইর সর্বনিম্ন লভ্যাংশ ঘোষণা

ফাইল ছবি

ঢাকা : বিদায়ী ২০১৯-২০২০ অর্থবছরের দেশের প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টাক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) ৩ শতাংশ লভ্যাংশ দেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। যা ডিমিউচ্যুয়ালাইজড পরবর্তী গত ৭ বছরের মধ্যে সর্বনিম্ন। এর আগে ২০১৮-১৯ অর্থবছরে ৫ শতাংশ লভ্যাংশ দিয়েছিল ডিএসই।

সোমবার (৩০ নভেম্বর) ডিএসই’র বোর্ড মিটিংয়ে এই সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।  

ডিএসইর পরিচালক শাকিল রিজভী জানান, করোনার কারণে গত অর্থবছরে ব্যবসায় অবনমন হয়েছে। ওই সময় প্রায় ২ মাস শেয়ারবাজার বন্ধ থাকায় ট্রেড হয়েছে ১০ মাস। এছাড়া এফডিআরের সুদের হার কমে যাওয়ায় আয় কমেছে। কিন্তু ব্যয় কমেনি। এসব কারণে এবার আগের বছরের থেকে লভ্যাংশ ঘোষণার পরিমাণ কমে এসেছে।

এর আগে ২০১৩ সালে ডিমিউচ্যুয়ালাইজেশনের মাধ্যমে দেশের উভয় স্টক এক্সচেঞ্জ অলাভজনক থেকে লাভজনকে রুপান্তর হয়। এরমধ্য দিয়ে ডিএসইর লভ্যাংশ ঘোষণাও শুরু হয়। সর্বপ্রথম ২০১৪-১৫ অর্থবছরের ব্যবসায় ডিএসইর পর্ষদ ১০ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ ঘোষণা করে। যা পরবর্তী ২ অর্থবছরও একই পরিমাণ ছিল। তবে ২০১৭-১৮ ও ২০১৮-১৯ অর্থবছরে লভ্যাংশের পরিমাণ ৫ শতাংশে নেমে আসে।

২০২০ সালের ৩০ জুন ডিএসইর শেয়ারপ্রতি নিট সম্পদ (এনএভিপিএস) দাঁড়িয়েছে ১০.৩০ টাকায়। ঘোষিত লভ্যাংশ অনুমোদনের জন্য ডিএসইর বার্ষিক সাধারণ সভা (এজিএম) আগামী ২৪ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত হবে।

সমাপ্ত অর্থবছরে দেশের প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) মুনাফা অর্জনের ধস নেমেছে। এসময় আয় হয়েছে ২৭ কোটি টাকা। যা এর আগের অর্থবছরের চেয়ে ৭২ শতাংশ কম। করোনাভাইরাস নিয়ন্ত্রণে সরকার গত ২৬ মার্চ থেকে ৩০ মে পর্যন্ত দেশের অধিকাংশ ব্যবসা প্রতিষ্ঠান দুই ধাপে বন্ধ রাখে। এর ফলে শেয়ারবাজারের সব লেনদেন বন্ধ হয়ে যায় এবং বিনিয়োগ থমকে দাঁড়ায়।

ডিএসই সূত্র জানা যায়, বৈশ্বিক করোনা ভাইরাসের পর গত ৩১ মে ৬৬ দিন বন্ধ থাকার ডিএসইতে আবারও সীমিত আকারে লেনদেন শুরু হয়। তবে ওই সময় লেনদেন ছিল খুবই কম। এর ফলে ডিএসইতে ২০১৯-২০ অর্থবছরে মোট পরিচালন মুনাফা করে ১৫৭ কোটি টাকা। যা আগের বছরের তুলনায় ২৮ শতাংশ কম। এ বছরও স্টক এক্সচেঞ্জটির সবচেয়ে বেশি আয় হয়েছে ব্যাংকে রাখা ডিপোজিট থেকে। মোট আয়ের ৫৩.৫ শতাংশ এসেছে এ খাত থেকে। এরপরে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ আয় হয়েছে শেয়ার লেনদেনের চার্জ থেকে। এ খাত থেকে আয় এসেছে মোট আয়ের ২৩.৬ শতাংশ।

এদিকে ২০১৯ রাজধানীর নিকুঞ্জতে ১.৩৩ একর বা ৭৫৬ হাজার স্কায়ার ফুট জায়গায় নতুন ভবন নির্মাণ করে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ। সেখানে আয়ের ২০ কোটি টাকা খরচ করেছে ডিএসই। নামপ্রকাশ না করা শর্তে এই তথ্য জানিয়েছে দেশের প্রধান এই শেয়ারবাজারের পরিচালক।

উল্লেখ্য, ২০১৮-১৯ অর্থবছরের ডিএসই’র আয় ছিল ৯৭ কোটি টাকা।

 

সোনালীনিউজ/এএস/এমএএইচ

Wordbridge School
Link copied!