• ঢাকা
  • শুক্রবার, ২৯ মার্চ, ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

শেয়ারহোল্ডারদের লভ্যাংশ থেকে বঞ্চিত, বাড়তি সুবিধা চায় রবি


নিজস্ব প্রতিবেদক ফেব্রুয়ারি ১৭, ২০২১, ১১:২৯ পিএম
শেয়ারহোল্ডারদের লভ্যাংশ থেকে বঞ্চিত, বাড়তি সুবিধা চায় রবি

ফাইল ছবি

ঢাকা: শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্তির প্রথম বছরেই বিনিয়োগকারীদের কোনো লভ্যাংশ না দেয়া বহুজাতিক কোম্পানি রবি আজিয়াটা লিমিটেড এবার বাড়তি কর ছাড় চেয়ে চিঠি পাঠিয়েছে অর্থ মন্ত্রণালয়ে। 

গত ১১ ফেব্রুায়ারি অর্থমন্ত্রী বরাবর পাঠানো কোম্পানিটির প্রধান কর্পোরেট ও রেগুলেটরি অফিসার সাহেদ আলম স্বাক্ষরিত ওই চিঠিতে ২ শতাংশ মিনিমাম টার্নওভার ট্যাক্স প্রত্যাহারের দাবি জানানো হয়েছে।

অর্থমন্ত্রীকে শুভেচ্ছা জানিয়ে লেখা ওই চিঠিতে রবি জানায়, অত্যন্ত পরিতাপের বিষয় হলো, যথাসময়ে তালিকাভুক্ত হওয়ার পরেও তালিকাভুক্তির সুফল আমরা পাচ্ছি না। টেঠিযোগাযোগ খাতের জন্য প্রযোজ্য ২ শতাংশ নূন্যতম আয়কর (মিনিমান টার্নওভার ট্যাক্স) প্রত্যাহার না হওয়ায় কর্পোরেট কর হারে বর্তমানে প্রযোজ্য ৫ শতাংশ ছাড়ের সুফল থেকেও আমরা বঞ্চিত হচ্ছি। 

আমরা মনে করি, মোট রাজস্ব আয়ের ৫ দশমিক ৫ শতাংশ রেভিনিউ শেয়ারিং এবং ১ শতাংশ বিটিআরসির সামাজির দায়বদ্ধতা তহবিলে (এসওএফ) দেওয়ার পরেও ২ শতাংশ মিনিমাম টার্নওভার ট্যাক্স প্রদান সম্পূর্ণ অযৌক্তিক। আগামী ২০২১-২২ অর্থবছরের বাজেটেও যদি এ বৈষম্যমূলক মিনিমাম টার্নওভার ট্যাক্স প্রত্যাহার করা না হয় তাহলে বিনিয়োগকারীদের সাথে সাথে কোম্পানির ব্যবসাও ক্ষতিগ্রস্ত হবে। 

তালিকাভুক্ত হওয়ার পরেও রবিকে কোন সুবিধা না দেওয়া বিনিয়োগকারী এবং শেয়ারবাজারে আসতে ইচ্ছুক কোম্পানিগুলোর কাছে ভূল বার্তা পৌছে দেবে বলেও চিঠিতে উল্লেখ করা হয়েছে। 

চিঠিতে কোম্পানিটির দাবি করে, রবি যদি লাভজন হয় তবে শেয়ারবাজারের সাধারণ বিনিয়োগকারীরা লাভবান হবে। সরকার তথা দেশের অর্থনীতির চাকা আরও বেগবান হবে। 

এদিকে, শেয়ারবাজারকে চাঙা করার উদ্দেশ্যে বেশ কয়েকটি বহুজাতিক এবং দেশীয় কোম্পানিকে তালিকাভুক্ত করার অংশ হিসেবে রবি সম্প্রতি শেয়ারবাজারে তালিকাভূক্ত হয়েছে বলেও উল্লেখ করা হয়েছে চিঠিতে। 

রবি জানায়, সর্ববৃহৎ আইপিও নিয়ে কোম্পানিটি তালিকাভুক্তির ফলে জিডিপি অনুপাতে মার্কেট ক্যাপিটালাইজেশন কমপক্ষে ২ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। অন্যদিকে রবির তালিকাভুক্তিকে ঘিরে প্রায় দেড় লাখ নতুন বিও হিসাব খোলা হয়েছে। এর ফলে পুরোনো বিনিয়োগকারীদের সাথে অনেক নতুন বিনিয়োগকারী বাজারে এসেছেন।  

উল্লেখ্য, গত ১৫ ফেব্রুয়ারি (সোমবার) কোম্পানিটির পরিচালনা পর্ষদের বৈঠকে গত ৩০ জুন, ২০২০ তারিখে সমাপ্ত হিসাববছরের বছরের আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনা করে শেয়ারহোল্ডারদেরকে কোনো লভ্যাংশ না দেওয়ার (No Dividend) সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।

তবে সমাপ্ত হিসাব বছরে কোম্পানিটি শেয়ারপ্রতি মুনাফা করেছে ৩৩ পয়সা। গত বছর কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি মুনাফা ছিল ৪ পয়সা। সে হিসাবে গত বছরের তুলনায় কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি মুনাফা বেড়েছে ৮ গুণের বেশি। 

গত ২৩ সেপ্টেম্বর শেয়ারবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) ৭৪১তম নিয়মিত কমিশন সভায় রবির আইপিও অনুমোদন দেয়া হয়। এর পরিপেক্ষিতে গত ১৭ নভেম্বর শুরু হয় আবেদন, যা চলে ২৩ নভেম্বর পর্যন্ত।  পরে গত বছরের ২৪ ডিসেম্বর থেকে শেয়ারবাজারে লেনদেন শুরু করে কোম্পানিটি।

রবি ১০ টাকা অভিহিত মূল্যে ৫২ কোটি ৩৭ লাখ ৯৩ হাজার ৩৩৪টি শেয়ার ইস্যুর মাধ্যমে বিনিয়োগকারীদের কাছ থেকে ৫২৩ কোটি ৭৯ লাখ টাকা সংগ্রহ করে, যা দেশের ইতিহাসে শেয়ারবাজারে সবচেয়ে বড় আইপিও।

সোনালীনিউজ/এমএইচ

Wordbridge School
Link copied!