• ঢাকা
  • শুক্রবার, ২৯ মার্চ, ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০
২০২১-২২ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেট

করের আওতা বাড়ানোর পরামর্শ ব্যবসায়ীদের


নিজস্ব প্রতিবেদক জুন ১, ২০২১, ১০:১৩ পিএম
করের আওতা বাড়ানোর পরামর্শ ব্যবসায়ীদের

ঢাকা : করোনাভাইরাসে সৃষ্ট মহামারীতে ধাক্কা লেগেছে বিশ্ব অর্থনীতিতে। বাদ যায়নি বাংলাদেশও। এর মধ্যেও মধ্যম আয়ের দেশ হওয়ার স্বপ্ন দেখছে বাংলাদেশ। কিন্তু এজন্য যে সবার আগে দরকার ব্যবসাবান্ধব পরিবেশ, সেটা কি আদৌ হবে? কাগজে-কলমে নানা সুযোগ-সুবিধার কথা বলা হলেও বাস্তবে তো তা দেখা যায় না। এক দশক ধরে বেসরকারি বিনিয়োগও স্থবির। প্রতিযোগীদের তুলনায় বিদেশি বিনিয়োগও কমছে। আর এমন পরিস্থিতির জন্য দেশের কর ব্যবস্থাকেই দায়ী করছেন ব্যবসায়ীরা।

উদ্যোক্তারা বলেন, কোভিডের কারণে এ বছর একদিকে তাদের লোকসান গুনতে হচ্ছে, অন্যদিকে চাপানো হচ্ছে বাড়তি করের চাপ। অথচ যারা বছরের পর বছর একেবারেই কর দেন না বা কর ফাঁকি দিয়ে আসছেন তাদের কোনো সমস্যাই হচ্ছে না। তাদের একটা বড় অংশ ফাঁকি দেওয়া অর্থ পাচারও করছেন দেদার।

স্বাভাবিক সময়ে ঠিকঠাক কর দিয়েই ব্যবসা পরিচালনা করেন অনেকে। কিন্তু করোনার সময় কোনো ব্যবসায়ীই কর দেওয়ার মতো লাভ করতে পারছেন না। তবু দেওয়া চাই কর। এ নিয়ে তাই ব্যবসায়ীদের ক্ষোভের শেষ নেই। সম্প্রতি ব্যবসায়ীদের অন্যতম প্রভাবশালী সংগঠন মেট্রোপলিটন চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির সাবেক সভাপতি ও অ্যাপেক্স ফুটওয়্যারের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সৈয়দ নাসিম মঞ্জুর তীব্র ভাষায় ক্ষোভের কথা জানিয়েছেন। একটি অনুষ্ঠানে তিনি বলেন, বাংলাদেশের কর ব্যবস্থা চূড়ান্তভাবে ব্যবসাবৈরী। আমরা যারা দেশে ব্যবসা করি, তারা কাল থেকে কান ধরে ব্যবসা ছেড়ে দিতে চাই।

তার ওই বক্তব্য আলোড়ন তোলে ব্যবসায়ী মহলে। প্রকাশ্যে বলতে আপত্তি থাকলেও দেশের বড় বড় শিল্প-উদ্যোক্তা সৈয়দ নাসিম মঞ্জুরের বক্তব্যে সমর্থন জানিয়েছেন। অন্তত শীর্ষ দশ ব্যবসায়ী নেতা জানিয়েছেন, কথা বললে বিপদ বাড়বে। আরো বেশি চাপে পড়ার আশঙ্কা আছে।

ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন এফবিসিসিআই’র সাবেক সহসভাপতি সিদ্দিকুর রহমান বলেন, বর্তমান কর ব্যবস্থা কোনোভাবেই ব্যবসাবান্ধব নয়। এ বছর যদি ৫ লাখ টাকা ট্যাক্স দিই, পরের বছর যতই লোকসান করি না কেন, ৫ লাখ টাকার বেশি ট্যাক্স দিতে হবে। এটা কোনো যৌক্তিক পদ্ধতি হতে পারে না। তিনি উল্লেখ করেন, যে-কোনো বছর ব্যবসায় লাভ কম হতে পারে, লোকসান হতে পারে। ট্যাক্স কেন কম হতে পারবে না? ঘুরেফিরে দেখা যায়, যারা ট্যাক্স দিচ্ছে, তাদের ওপরই বার বার চাপ আসছে।

তিনি বলেন, জাতীয় রাজস্ব বোর্ড তথা এনবিআরের কর্মকর্তাদের দোষ দিচ্ছি না। কারণ তাদের ট্যাক্স আদায়ের টার্গেট দেওয়া হয়। তারা টার্গেট পূরণ করতে যারা নিয়মিত ট্যাক্স দেয় তাদের ওপরই চাপ দেন।

সাবেক বিজিএমইএর এই সভাপতির মতে, ট্যাক্স আদায়ের টার্গেট না দিয়ে ট্যাক্সের আওতা বাড়ানো জরুরি। ভ্যাট-ট্যাক্স আদায় পদ্ধতিতে পরিবর্তন আনতে হবে। মধ্যম আয়ের দেশ হিসেবে টিকে থাকতে হলে ব্যবসায়ীদের সুযোগ দিতে হবে। জেলা ও উপজেলা পর্যায়ের ব্যবসায়ীদের করের আওতায় আনতে হবে। শুধু গুটিকয়েক ব্যবসায়ীকে চাপ দিয়ে মধ্যম আয়ের দেশ হিসেবে টিকে থাকা যাবে না।

সিদ্দিকুর রহমান বলেন, ব্যবসাকে সহজ করতে হবে। কিন্তু এনবিআরের কয়েকটি দপ্তর আছে, যারা সহজের পরিবর্তে কঠিন করে দিচ্ছে। মধ্যম আয়ের দেশ হিসেবে টিকে থাকতে হলে শুধু ব্যবসায়ীদের দেশপ্রেম থাকলে চলবে না, এনবিআরের সব দপ্তরেও দেশপ্রেম থাকতে হবে। সবকিছুতে ঢালাওভাবে ব্যবসায়ীদের দায়ী করা উচিত নয় বলেও মন্তব্য করেন তিনি।

সিদ্দিকুর রহমান আরো বলেন, যারা অন্যায়ভাবে ব্যবসা করছে, তাদের ধরুন। যারা ন্যয়ভাবে ব্যবসা করছে তাদের নাজেহাল করছেন কেন? তাদের সুযোগ দিন।

কর দেওয়ায় হয়রানি কমাতে নব্বইয়ের দশক থেকেই অটোমেশন ব্যবস্থার নানা প্রকল্প হাতে নেওয়া হয়। কিন্তু বাস্তবতা হলো, একমাত্র ব্যক্তিশ্রেণির টিআইএন গ্রহণ ছাড়া অন্য কোনো সুবিধাই স্বয়ংক্রিয় হয়নি।

অনলাইনের ভ্যাট রিটার্ন দেওয়ার ব্যবস্থাও বন্ধ হয়ে গেছে। গ্রিন চ্যানেলের মতো সুবিধা দেওয়ার জন্য অথরাইজ ইকোনমিক অপারেটর (এইও) ব্যবস্থাও নিয়মিত করা যায়নি।

দক্ষিণ এশিয়ায় বাংলাদেশে করপোরেট কর সবচেয়ে বেশি। সরাসরি আয়কর আদায়ের সক্ষমতাও সবচেয়ে কম জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর)। মোট আয়করের প্রায় ৮৫ শতাংশ আসে উৎসে ও অগ্রিম কর হিসেবে। যার মানে, আয়-ব্যয় হিসাব করার আগেই ব্যবসা শুরু বা পরিচালনা পর্যায়ে উৎসে ও অগ্রিম করের নামে বিপুল অর্থ কেটে রাখা হয়। যা ব্যবসার খরচ বাড়িয়ে দেয়।

আবার যদি বার্ষিক লেনদেন (টার্নওভার) ৩ কোটি টাকার বেশি হয়, তা হলে ওই ব্যবসায় লোকসান হলেও দশমিক ৫ শতাংশ হারে কর দিতে হবে। কাঁচামাল বা অন্য পণ্য আনলে, আমদানি পর্যায়ে ৪ শতাংশ আগাম ভ্যাট দিতে হয়। এই ভ্যাট ফেরত পাওয়ার কথা থাকলেও অনেক ক্ষেত্রে তা পাওয়া যায় না।

এনবিআরের তথ্য বলছে, অ-তালিকাভুক্ত কোম্পানির ক্ষেত্রে বর্তমানে সাড়ে ৩২ শতাংশ কর দিতে হচ্ছে। একই সঙ্গে শেয়ারবাজারের তালিকাভুক্ত কোম্পানির ক্ষেত্রে বর্তমানে কর দিতে হয় ২৫ শতাংশ। যেখানে প্রতিযোগী দেশ থাইল্যান্ডে দিতে হচ্ছে ২০ শতাংশ, মিয়ানমারে ২০ শতাংশ, ইন্দোনেশিয়া, কম্বোডিয়াতেও ২০ শতাংশ, শ্রীলঙ্কায় ২৯ শতাংশ, পাকিস্তানে ২৭ শতাংশ, ভারতে পুরোনো কোম্পানি হলে ২০ শতাংশ ও নতুন কোম্পানিকে দিতে হচ্ছে ১৫ শতাংশ।

ঢাকা চেম্বারের সভাপতি রিজওয়ান রাহমান বলেন, প্রতিযোগী দেশগুলোর চেয়ে এখানে ট্যাক্স বেশি হলে বিদেশি বিনিয়োগ আসবে কেন? আমরা চেষ্টা করছি মিয়ানমার, চীন থেকে কিছু ব্যবসা দেশে নিয়ে আসতে। ওরা যখন খোঁজ নেবে, তখন তো জানবে এখানে ট্যাক্স রেট কেমন।

তিনি মনে করেন, আমাদের করের হার ওই দেশগুলোর মতো হলে আমরাও ব্যবসাবান্ধব পরিবেশ তৈরি করতে পারতাম। আরো বিদেশি বিনিয়োগ আনতে পারতাম। এর জন্য আগে স্থানীয় শিল্পকে শক্তিশালী করতে হবে। লোকাল ব্যবসায়ীদের পরিস্থিতি দেখেই তো বিদেশিরা উৎসাহ পাবে।

রিজওয়ান রাহমান বলেন, সমস্যার চেয়ে সমাধানের কথা বলা বেশি দরকার। করের আওতা বাড়াতে হবে। ট্যাক্স রিটার্ন ও ভ্যাট রিটার্ন পুরোপুরি অটোমেশনে আনতে হবে। দেশে করদাতা বাড়ছে না বলেই এনবিআরকে বার বার গুটিকয়েক ব্যবসায়ীকে চেপে ধরতে হচ্ছে বলে মন্তব্য করেন তিনি।

তিনি উল্লেখ করেন, করের আওতা বাড়লে আয়ও বাড়বে। সব অটোমেশনে এলে দেখা যাবে কম্পিউটার কোনো ব্যক্তিকে টার্গেট করছে না। তখন কেউ নাজেহাল বা হয়রানির শিকার হবে না। পাশাপাশি বিশ্বব্যাংকের ‘ইজি অব ডুয়িং বিজনেস’ তথা বা সহজে ব্যবসা করার সূচকে বাংলাদেশের র্যাংকও ভালো হবে।

তিনি আরো উল্লেখ করেন, এই মুহূর্তে ৫০ লাখ টিআইএনধারী আছে। কিন্তু এর মধ্যে অর্ধেক ট্যাক্স দিচ্ছেন। বাকিরা দেন না কেন? তারা কি কোনও জটিলতা বোধ করছেন? সেক্ষেত্রে কর দেওয়াটাকে আরো সহজ করতে হবে। করের হার কমিয়ে আনলেও কর দিতে অনেকে আগ্রহী হবে। এতে আখেরে রাষ্ট্রের আয় বাড়বে।

ঢাকা চেম্বারের সভাপতি রিজওয়ান রাহমান বলেন, আমরা চাই আগামী বছর থেকে এনবিআরের প্রতিটি সার্কেলকে অন্তত এক শতাংশ করে ট্যাক্স নেট বা করদাতার সংখ্যা বাড়ানোর টার্গেট দেওয়া হোক। অর্থাৎ যে সার্কেলে ১০০ জন করদাতা আছেন, সেখানে মাত্র একজন করদাতা বাড়ুক। এই এক শতাংশ বাড়লেই প্রকৃত ব্যবসায়ীদের ওপর চাপ কমে আসবে।

তিনি উদাহরণ দিয়ে আরও বলেন, ধরা যাক, কোনো ব্যবসায়ীর ১০ কোটি টাকা লাভ হলো। তিনি ৩ কোটি ২৫ লাখ টাকা ট্যাক্স দিলেন। দেখা গেল, আগামী বছর তার লাভ ৫ কোটি টাকা হলো। তারপরও তাকে ৩ কোটি ২৫ লাখ টাকার বেশি ট্যাক্স দিতে হবে। এমনটা কেন? দেখা গেল কোনো প্রতিষ্ঠান ২০১৯ সালে ক্যাশ ডিভিডেন্ট দিয়েছে ৫০ শতাংশ। সেই প্রতিষ্ঠান গত বছর দিয়েছে ১০ শতাংশ। আবার এ বছর হয়তো দিতেই পারবে না। অথচ ট্যাক্স প্রতি বছর বাড়ছেই। শুধু যে বাড়ছে তা নয়, ঘুরেফিরে ওই ব্যবসায়ীদের ওপরই বোঝা চাপানো হচ্ছে। এ অবস্থায় এনবিআরের কর্মকর্তাদের লক্ষ কোটি টাকার ট্যাক্স বাড়ানোর টার্গেট না দিয়ে, নতুন এক লাখ করদাতা বাড়ানোর টার্গেট দিতে হবে।

মেট্রোপলিটন চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির (এমসিসিআই) সহ-সভাপতি আনিস এ খান বলেন, যে ব্যবসায়ীরা সৎ পথে উপার্জন করছেন তাদের হয়রানি করা বন্ধ করতে হবে। একজন সৎ ব্যবসায়ীকে ৪০ শতাংশ পর্যন্ত কর দিতে হবে কেন? তার ওপর কর নির্ধারণ করা আছে ২৫ শতাংশ। কিন্তু সম্পদ বেশি থাকার কারণে তাকে দিতে হচ্ছে আরো ১০ শতাংশ সারচার্জ। এরপর আছে একের পর এক অডিট আর শোকজ। অথচ যারা অসৎ তাদের কোনো ঝামেলাই পোহাতে হচ্ছে না। অন্যায়ভাবে শত শত কোটি টাকার মালিকদের জন্য কোনো শোকজ নেই, অডিট নেই। দেশের কোটি কোটি মানুষ ট্যাক্স দিচ্ছে না। তাদের করের আওতায় আনা হচ্ছে না কেন?

বিজিএমইএর সভাপতি ফারুক হাসান বলেন, করের আওতা বাড়াতে চেষ্টার দরকার। যারা নিয়মিত কর দিচ্ছেন তাদের ওপর অহেতুক চাপ দেওয়া ঠিক হচ্ছে না বলেও মন্তব্য করেন তিনি।

অর্থনীতিবিদরা বলছেন, জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) করজাল বিস্তৃত করার চেয়ে সহজে কর আহরণে বেশি মনোযোগী। এ প্রসঙ্গে বেসরকারি গবেষণা প্রতিষ্ঠান পলিসি রিসার্চ ইনস্টিটিউটের (পিআরআই) নির্বাহী পরিচালক আহসান মনসুর বলেন, সহজে কর আহরণের উপায় হিসেবে উৎসে কর ও অগ্রিম করেই বেশি আগ্রহ দেখান কর কর্মকর্তারা।

এনবিআরের সদস্য (আয়কর ও নীতি) আলমগীর হেসেন বলেন, করের আওতা যতই বাড়ুক, আর রেট যতই কমানো হোক না কেন, ব্যবসায়ীরা সন্তুষ্ট হবে না। প্রতি বছরই তাদের সুযোগ দেওয়া হচ্ছে। কিন্তু গত দশ বছর ধরে তারা একই কথা বলে আসছেন।

তিনি বলেন, করের আওতা বাড়ানোর চেষ্টা চলছে। তবে যেসব ব্যবসায়ী কর ফাঁকি, ভ্যাট ফাঁকি ও শুল্ক ফাঁকি দেন তারা এ কাজ বন্ধ করলেও করের রেট কমে আসবে।

বৈশ্বিক অবস্থানের দিক থেকে ও মোট দেশজ উৎপাদনের (জিডিপি) অনুপাতে করের পরিমাণের (কর-জিডিপি) দিক থেকে (কর-জিডিপি অনুপাত) বাংলাদেশ দক্ষিণ এশিয়ায় আট দেশের মধ্যে সবার নিচে। দীর্ঘদিন ধরে কর-জিডিপি অনুপাত ছিল ৮ শতাংশের ঘরে। করোনার কারণে এই অনুপাত ৭ শতাংশে নেমেছে, যা ছিল ১৪ বছর আগে।

পরিসংখ্যান বলছে, ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠান-উভয় শ্রেণির সংখ্যা ও রাজস্বের পরিমাণ গত কয়েক বছরে খুব বেশি বাড়াতে পারেনি এনবিআর। এসব কারণে সহজে কর আদায় করা যায়, এমন পথেই হাটে সংস্থাটি।

আয়করের প্রায় ৮৪ শতাংশই আদায় হচ্ছে উৎসে ও অগ্রিম কর হিসেবে। এনবিআরের বার্ষিক প্রতিবেদন বলছে, যত টাকা উৎসে বা অগ্রিম আয়কর আদায় হয়, তার ২২ শতাংশই আসে ঠিকাদারদের বিল পরিশোধের সময়। আমদানিকারকরা পণ্য আমদানিকালে যে অগ্রিম কর দেন, সেটার পরিমাণ প্রায় ২০ শতাংশ। ব্যাংকে রাখা স্থায়ী ও চলতি আমানতের ওপর উৎসে কর থেকে আসে প্রায় ১৬ শতাংশ।

জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) চেয়ারম্যান আবু হেনা মো. রহমাতুল মুনিম বলছেন, এবারের অর্থবছরের বাজেটে কর বিভাগে বড় পরিবর্তন আসবে। তিনি উল্লেখ করেন, করের আওতা বাড়ানোর জন্য বিশেষ উদ্যোগও থাকবে। পাশাপাশি মানুষের মাঝে কর দেওয়া নিয়ে যেন কোনও ভীতি কাজ না করে, সে লক্ষ্য নিয়ে কাজ করে যাচ্ছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড।

তিনি বলেন, হিসাবে স্বচ্ছতা আনতে আইসিএবির সঙ্গে ডকুমেন্ট ভেরিফিকেশনের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। ফলে অসাধু ব্যবসায়ীরা অনিয়ম করতে পারবেন না। এতে ভবিষ্যতে করপোরেট কর হারও কমানো সম্ভব হবে। এ ছাড়া এনবিআর-এ অটোমেশন প্রক্রিয়াও দ্রুত সম্পন্ন হচ্ছে বলেও জানান তিনি।

চলতি অর্থবছরের মূল বাজেটে এনবিআরের রাজস্ব লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছিল ৩.৩০ লাখ কোটি টাকা। যা জিডিপির ১০.৪ শতাংশ। আগামী বাজেটে এটি মাত্র ৭৮ কোটি টাকা বাড়ানো হচ্ছে। চলতি অর্থবছরের সংশোধিত বাজেটে এনবিআরের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে তিন লাখ এক হাজার দুই কোটি টাকা, যা জিডিপির ৯.৭ শতাংশ।

সোনালীনিউজ/এমটিআই

Wordbridge School
Link copied!