• ঢাকা
  • বুধবার, ২৪ এপ্রিল, ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১

এস কে সুর চৌধুরী ও তার স্ত্রীর হিসাব স্থগিত


নিজস্ব প্রতিবেদক জুলাই ৭, ২০২১, ০৩:৪৭ পিএম
এস কে সুর চৌধুরী ও তার স্ত্রীর হিসাব স্থগিত

ফাইল ফটো

ঢাকা: বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক ডেপুটি গভর্নর সিতাংশু কুমার সুর (এস কে সুর) চৌধুরী ও তার স্ত্রী সুপর্ণা সুর চৌধুরীর ব্যাংক হিসাব স্থগিত করেছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)। 

বুধবার (৭ জুলাই) জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সেল (সিআইসি) থেকে এ বিষয়ে বিভিন্ন বাণিজ্যিক ব্যাংকে চিঠি দেয়া হয়েছে।

পুনরাদেশ না দেয়া পর্যন্ত তাদের অর্থ উত্তোলন ও স্থানান্তর বন্ধ রাখার নির্দেশ দিয়েছে এনবিআর।

বিভিন্ন আর্থিক প্রতিষ্ঠান দখল করে সাড়ে তিন হাজার কোটি টাকা আত্মসাতে অভিযুক্ত বিদেশ পলাতক প্রশান্ত কুমার হালদারকে (পি কে হালদার) সহযোগিতার অভিযোগ রয়েছে সুর চৌধুরীর বিরুদ্ধে।

এনবিআরের চিঠি পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে নির্দেশনা কার্যকর করতে বলা হয়েছে ব্যাংকগুলোকে।

একই সঙ্গে আগামী সাত দিনে একটি প্রতিবেদন পাঠাতে বলা হয়েছে এনবিআরের কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সেল।

এর আগে গত সোমবার তাদের ব্যাংক হিসাব চেয়ে সব ব্যাংকে চিঠি পাঠিয়েছে এনবিআরের কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সেল।

ওই চিঠিতে বাংলাদেশ ব্যাংকের বর্তমান নির্বাহী পরিচালক শাহ আলমের হিসাবের তথ্যও চাওয়া হয়েছে। এর পাশাপাশি তার দুই স্ত্রী শাহীন আক্তার শেলী ও নাসরিন বেগমের সব ধরনের ব্যাংক হিসাব চেয়েছেন কর গোয়েন্দারা। অবশ্য তাদের আলাদা ঠিকানা ব্যবহার করা হয়েছে।

চিঠিতে সাত দিনের মধ্যে সব ধরনের ব্যাংক হিসাবের তথ্য দিতে বলা হয়েছিলো। এই হিসাবের তালিকায় সব ধরনের মেয়াদি আমানত, চলতি হিসাব, সঞ্চয়ী হিসাব, ঋণ হিসাব, ফরেন কারেন্সি হিসাব, ক্রেডিট কার্ড, লকার বা ভল্ট, সঞ্চয়পত্রসহ সব ধরনের হিসাব দিতে বলা হয়েছে। শেয়ারবাজারে অর্থাৎ বিও হিসাবে কত টাকা আছে, তাও জানতে চেয়েছে এনবিআর। এসব হিসাবের ২০১৩ সালের জুলাই থেকে এই পর্যন্ত হালনাগাদ তথ্য চাওয়া হয়েছে। এমনকি আগের ব্যাংক হিসাব কিন্তু এখন বন্ধ হয়ে গেছে, এমন হিসাবের তথ্যও দিতে হবে।

এস কে সুর চৌধুরী ও শাহ আলমের বিরুদ্ধে বিভিন্ন আর্থিক প্রতিষ্ঠান থেকে ঘুষ নিয়ে দুর্নীতি চাপা দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। আদালতে দেওয়া জবানবন্দিতে ইন্টারন্যাশনাল লিজিংয়ের সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) রাশেদুল হক বলেছেন, আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোর অনিয়ম চাপা দিতে বাংলাদেশ ব্যাংকের পরিদর্শন কর্মকর্তাদের পাঁচ থেকে সাত লাখ টাকা করে দিত রিলায়েন্স ফাইন্যান্স ও ইন্টারন্যাশনাল লিজিং। আর কেন্দ্রীয় ব্যাংকের আর্থিক প্রতিষ্ঠান ও বাজার বিভাগের তৎকালীন মহাব্যবস্থাপক শাহ আলমকে প্রতি মাসে দেওয়া হতো দুই লাখ টাকা করে। আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোর অনিয়ম-দুর্নীতি ‘ম্যানেজ’ করতেন সাবেক ডেপুটি গভর্নর এস কে সুর চৌধুরী।

সোনালীনিউজ/এমএইচ

Wordbridge School
Link copied!