• ঢাকা
  • বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল, ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

ইন্স্যুরেন্স সেক্টরে প্রচুর সম্ভাবনা রয়েছে : বিএসইসি চেয়ারম্যান


নিজস্ব প্রতিবেদক অক্টোবর ১৩, ২০২১, ১১:০৬ এএম
ইন্স্যুরেন্স সেক্টরে প্রচুর সম্ভাবনা রয়েছে : বিএসইসি চেয়ারম্যান

ঢাকা : শেয়ারবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) চেয়ারম্যান অধ্যাপক শিবলী রুবায়েত উল ইসলাম বলেছেন, বর্তমানে শস্য বিমা করার কথা উঠেছে। এ বিষয়টি আমি যখন সাধারণ বিমা কর্পোরেশনের চেয়ারম্যান ছিলাম তখনই করার চেষ্টা করেছি। এ নিয়ে দেশের তিনটি স্থানে (নোয়াখালি, সিরাজগঞ্জ এবং রাজশাহী) শস্য বিমা নিয়ে প্রজেক্ট করেছি। কিন্তু সেখানেও অনেক বাধা আছে। তবে আমাদের দেশের ইন্স্যুরেন্স সেক্টরে প্রচুর সম্ভাবনা রয়েছে।

তিনি বলেন, আমাদের দেশে সবচেয়ে বড় সমস্য হচ্ছে আমরা কেন জানি গন্ডির বাহিরে যেতে চাই না। আমরা কেন জানি সেই একই চিন্তা থেকে বের হতে চাই না। একই নিয়ম নীতির মধ্যে থাকতে চাই। সেই একই গন্ডি সীমানার মধ্যে থাকতে চাই। এর বাহিরে যে কত সুযোগ রয়েছে সেই সুযোগ আমরা কেউই নেওয়ার চেষ্টা করি না। এর ফলে আমাদের মাঝে সম্পদের কাড়াকাড়ি। এতে করে আমরা মার্কেটকে ছোট করে রাখছি। এর ফলে যেমন আমাদের ব্যবসা বাড়ে না। নিজেদের মাঝে ব্যবসা নিয়ে প্রতিযোগিতা করতে গিয়ে ক্ষতির মূখে পড়তে হয়। লাভ খুব কম সময়ই হয়।

মঙ্গলবার (১২ অক্টোবর) বিশ্ব বিনিয়োগকারী সপ্তাহ’২১ এর শেষ দিনে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) আয়োজিত ‘টু আইডিয়া সিকিউরিটিজ ইনভেস্ট প্রটেক্ট ইন্স্যুরেন্স” অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সিএসইর চেয়ারম্যান আসিফ ইব্রাহিম। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন ডিএসইর চেয়ারম্যান মো. ইউনুসুর রহমান।

অনুষ্ঠানে আলোচক হিসেবে ছিলেন ডিএসইর পরিচালক শাকিল রিজভী, সালমা নাসরীন, বিএসইসির নির্বাহি পরিচালক মো. সাইফুর রহমান ও ডিএসইর ব্যবস্থাপনা পরিচালক তারিক আমিন ভূইয়া। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন ডিএসইর উপ-মহাব্যবস্থাপক শফিকুর রহমান।

শিবলী রুবাইয়াত বলেন, আমি খুবই খুশি যে ডিএসই আজ বীমা পণ্য নিয়ে আলোচনার আয়োজন করেছে। আমাদের আইডিআরএ চেয়ারম্যান আগে থেকেই শেয়ারবাজারের সঙ্গে পরিচিত। যার জন্য তিনি ক্যাপিটাল মার্কেট বুঝেন। আমি উনার সঙ্গে কয়েক মাস আগে কথা বলেছি। তখন বন্ড জনপ্রিয় করার জন্য কিছু করছি না কেনো বললাম। এটি জনপ্রিয় করতে গিয়ে শুরুর দিকে ধাক্কা আসবে। এছাড়া বর্তমানে ব্যাংকের বিনিয়োগ সীমা বন্ডের জন্য একটি বড় বাধা।

তিনি বলেন, সামনে বন্ড মার্কেট অনেক বড় হবে। এটি জনপ্রিয় হওয়ার আগ পর্যন্ত বিনিয়োগকারীদের সুরক্ষা দিতে হবে। তা না পারলে ভালো কোন রিটার্ন আসবে না। আপনি যদি গ্রাহককে খুশি করতে না পারেন, তাহলে সে কেনো আপনার কাছে আসবে।

অনুষ্ঠানে আলোচকরা বিনিয়োগকারীদেরকে সুরক্ষা দিতে হবে জানিয়েছেন উল্লেখ করে বিএসইসি চেয়ারম্যান বলেন, কিন্তু কিভাবে দেব? আমিতো জানি না কোন কোম্পানি কখন কি ঘটায় ফেলবে। কে যে আজ তদারকির পরে কালকে কি করবে, তাতো জানি না। আমরাতো সারাক্ষন কারও উপর চোখ বা ক্যামেরা লাগিয়ে বসে থাকতে পারি না। ঘটনাতো হঠাৎ ঘটে যায়। তখন কিভাবে বিনিয়োগকারীদেরকে সুরক্ষা দেব? এর সমাধান বীমা খাত।

তিনি বলেন, বন্ডকে জনপ্রিয় করতে এবং বন্ড ক্রেতাদেরকে সুরক্ষা দেওয়ার জন্য আমরা আইডিআরএর সঙ্গে একটি প্রোডাক্ট ডিজাইন করেছি। এটা হয়তো সামনে আইডিআরএ চেয়ারম্যান আলোচনা করে সবার সামনে নিয়ে আসবেন। এই বন্ডের ব্যবসা হচ্ছে হাজার হাজার কোটি টাকার। এই বন্ডে বিনিয়োগকারীদের সুরক্ষা দিতে পারলে আমরা জনপ্রিয় করতে পারব এবং বীমা কোম্পানিগুলোর কমিশন থেকে অনেক আয় করতে পারবে।

তিনি আরও বলেন, মানুষ কিন্তু ১০০ টাকা বিনিয়োগ করে ১০ টাকা মুনাফা করতে গিয়ে ১ টাকার বীমা করতে অনাগ্রহ দেখাবে না। এটাকে তারা কিচ্ছু মনে করবে না। তারা মনে করে, বীমা করতে গিয়ে যদি ১০০ টাকা ফেরত নিশ্চিত হয় এবং ১০ টাকা লাভ হয়, তাহলে ১ টাকা দিতে রাজি আছি। এখন সেই জিনিসটাতো সঠিকভাবে তুলে ধরতে হবে।

তাই বীমা ও শেয়ারবাজারের রেগুলেটরদের একসঙ্গে এগিয়ে যেতে হবে উল্লেখ করে শিবলী রুবাইয়াত বলেন, আমাদেরকে নতুন নতুন পণ্য নিয়ে আসতে হবে। শেয়ারবাজারের বিনিয়োগকারীদেরকে সুরক্ষা দেওয়ার জন্য আমাদের কি কাজ করা যায়, সেটা নিয়ে কাজ করতে হবে। এজন্য যে শুধু রেগুলেটরদের কাজ করতে জবে, তা না। এ নিয়ে বিভিন্ন সংগঠনগুলো কাজ করতে পারে। সবাইকেই চিন্তা করতে হবে কিভাবে কাজ করলে শেয়ারবাজার ও বীমা খাত লাভবান হয়।

তিনি বলেন, যখন শেয়ারবাজার ও বীমা খাতে হাজার হাজার কোটি টাকার টার্নওভার করবে, তখন সরকারের রাজস্ব বাড়বে। এতে করে দেশের অর্থনীতি বাড়বে এবং জীবনযাত্রার মান বাড়বে। অতএব আমাদেরকে নতুন নতুন পণ্য নিয়ে চিন্তা করতে হবে। এখানে প্রচুর সম্ভাবনা রয়েছে।

সোনালীনিউজ/এমএইচ/এমটিআই

Wordbridge School
Link copied!