• ঢাকা
  • শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল, ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

বাংলাদেশ ব্যাংকের বিজ্ঞপ্তিতে বড় পতন দিয়ে লেনদেন শুরু ডিএসইতে


নিজস্ব প্রতিনিধি ডিসেম্বর ২, ২০২১, ০১:৪৭ পিএম
বাংলাদেশ ব্যাংকের বিজ্ঞপ্তিতে বড় পতন দিয়ে লেনদেন শুরু ডিএসইতে

ফাইল ছবি

ঢাকা: বাংলাদেশ ব্যাংকের সঙ্গে বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এ্ক্সচেঞ্জ কমিশন-বিএসইসির মধ্যে গত মঙ্গলবার বৈঠকের পর সংস্থাটির পক্ষ থেকে দেয়া বক্তব্যের প্রতিক্রিয়ায় বুধবার পুঁজিবাজারে বড় উত্থান হওয়ার পর কেন্দ্রীয় ব্যাংকের পক্ষ থেকে দেয়া একটি বক্তব্যে আবারো বড় পতনের আভাস দিচ্ছে।

বৃহস্পতিবার (২ ডিসেম্বর) সপ্তাহের শেষ কার্যদিসে লেনদেন শুরুর মাত্র ১৫ মিনিটের মধ্যে ডিএসইর প্রধান সূচক ডিএসইএক্স কমেছে ৬৪ পয়েন্ট। 

বুধবার বাংলাদেশ ব্যাংক এক বিজ্ঞপ্তিতে জানায়, মঙ্গলবারের বৈঠকে কোনো বিষয়ে সিদ্ধান্ত হয়নি। অবশ্য সেই বৈঠকের পর বিএসইসির কমিশনার শেখ শামসুদ্দিন আহমেদও বলেননি সিদ্ধান্ত হয়েছে। তিনি নীতিগতভাবে একমত হওয়ার কথা বলেছিলেন।

বাংলাদেশ ব্যাংকের জনসংযোগ বিভাগের মহাব্যবস্থাপক জী এম আবুল কালাম আজাদ সাক্ষরিত এই বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ‘সভায় পুঁজিবাজারে তফসিলি ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোর বিনিয়োগ সংক্রান্ত অন্যান্য বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়।

‘ব্যাংক কোম্পানি আইন, ১৯৯১ এবং আর্থিক প্রতিষ্ঠান আইন, ১৯৯৩ এ পুঁজিবাজারে ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোর বিনিয়োগের বিষয়ে বিদ্যমান কতিপয় আইনি সীমাবদ্ধতার বিষয়েও বিএসইসি প্রতিনিধি দলকে স্পষ্টীকরণ করা হয়। তবে এ সব বিষয়ে কোনো সিদ্ধান্ত নেয়া হয়নি।’

বিজ্ঞপ্তিতে আর যেসব বিষয় উঠে এসেছে: কেন্দ্রীয় ব্যাংকের বিজ্ঞপ্তিতে মঙ্গলবারের বৈঠকের বিষয়ে বলা হয়, ‘বাংলাদেশ ব্যাংকের ডেপুটি গভর্নর একেএম সাজেদুর রহমান খানের সভাপতিত্বে ৩০ নভেম্বর বিএসইসির একটি প্রতিনিধি দলের সঙ্গে পূর্বনির্ধারিত সভা বাংলাদেশ ব্যাংকে অনুষ্ঠিত হয়।

‘সভায় বিএসইসি -এর উদ্যোগে ক্যাপিটাল মার্কেট স্ট্যাবিলাইজেশন ফান্ড গঠনের ফলে তফসিলি ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের ক্ষেত্রে সৃষ্ট জটিলতা নিরসন এবং পুঞ্জিভূত লোকসান বিদ্যমান থাকলেও সংশ্লিষ্ট বছরের মুনাফা তে নগদ লভ্যাংশ বিতরণের বিষয়ে আলোচনা হয়।

‘সভায় ব্যাংক কোম্পানি আইন, ১৯৯১ এর ৩৫(১)(গ) ধারা ও ২২ ধারা এবং আর্থিক প্রতিষ্ঠান আইন, ১৯৯৩ এর ১০ ধারার বিষয়গুলো ব্যাখ্যাপূর্বক ক্যাপিটাল মার্কেট স্ট্যাবিলাইজেশন ফান্ডে ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানসমূহের অদাবীকৃত তহবিল স্থানান্তরের এবং পুঞ্জিভূত লোকসান বিদ্যমান থাকলেও সংশ্লিষ্ট বছরের মুনাফা হতে নগদ লভ্যাংশ বিতরণের বিষয়টি ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের ক্ষেত্রে আইনসম্মত নয় বলে বিএসইসি প্রতিনিধিদলকে অবহিত করা হয় এবং এতদবিষয়ে বিএসইসি-এর নোটিফিকেশনে প্রয়োজনীয় সংশোধন আনয়নের বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করা হয়।’

বাংলাদেশ ব্যাংকের বিজ্ঞপ্তির পর বৃহস্পতিবার লেনদেন শুরু হয় মাথা নিচু করেই। এদিন লেনদেন শুরুর ১৫ মিনিট পর ডিএসইর প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ৬৪ পয়েন্ট কমে দাঁড়িয়েছে ৬ হাজার ৭৮২ পয়েন্টে। 

এসময় পর্যন্ত অপর দুই সূচকের মধ্যে শরীয়াহ ভিত্তিক কোম্পানিগুলো নিয়ে গঠিত ডিএসইএস ১৩ পয়েন্ট কমে ১৪২৪ পয়েন্ট পৌঁছায়। আর বাছাই করা কোম্পানিগুলো নিয়ে গঠিত ডিএসই ৩০ সূচক ২৭ পয়েন্ট কমে হয়েছে ২৫৬২ পয়েন্ট। 

এদিন বেলা সাড়ে সোয়া ১০টা নাগাদ ডিএসইতে টাকার অংকে লেনদেন হয়েছে ৬৭ কোটি ৮৬ লাখ টাকা।

এসময় পর্যন্ত ডিএসইতে মোট ২৫৬টি কোম্পানির শেয়ার লেনদেন হয়েছে। এর মধ্যে দর বেড়েছে ৪৪টির, কমেছে ১৭৪টির। বাকি ৩৮টি কোম্পানির শেয়ার দর এসময় অপরিবর্তিত ছিল।

সোনালীনিউজ/এমএইচ

Wordbridge School
Link copied!