• ঢাকা
  • বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল, ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

দ্রব্যমূল্য ও ডলারের দাম নিয়ন্ত্রণে উদ্যোগ নিচ্ছে সরকার


নিজস্ব প্রতিবেদক মে ১৯, ২০২২, ০৮:২৭ পিএম
দ্রব্যমূল্য ও ডলারের দাম নিয়ন্ত্রণে উদ্যোগ নিচ্ছে সরকার

ঢাকা: দেশে ডলারের চাহিদা বেড়েছেই চলেছে। কিন্তু চাহিদা অনুযায়ী প্রবাসী ও রপ্তানি আয় হচ্ছে না। ফলে খোলাবাজারে ডলারের ওপর চাপ সৃষ্টি করছে। ইতোমধ্যে অতীতের সব রেকর্ড ছাড়িয়ে সেঞ্চুরি করেছে ডলার। পরিস্থিতি সামাল দিতে আমদানি নিয়ন্ত্রণে উদ্যেগ নিচ্ছে সরকার। 

বৃহস্পতিবার (১৯ মে) মন্ত্রিসভার বৈঠক সূত্রে এতথ্য জানা গেছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উপস্থিতিতে মন্ত্রিসভার বৈঠক শেষে সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন। 

তিনি বলেন, দ্রব্যমূল্য নিয়ে ডিটেইল আলোচনা হয়েছে। কমার্স অ্যান্ড ফাইন্যান্স মিনিস্ট্রিকে কতগুলো নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে, পর্যাপ্ত এবং ক¤িপ্রহেনসিভ ব্যবস্থা নিয়ে সবার কাছে তুলে ধরার জন্য। বিশেষ করে এই যে জিনিসপত্রের দাম বেড়ে যাচ্ছে বা সাপ্লাই কমে যাচ্ছে, এই জিনিসগুলো কীভাবে হ্যান্ডেল করতে পারবো। কোন জায়গায় রেস্ট্রিকশন দিলে ভালো হবে বা ওপেন করলে ভালো হবে। এগুলো দু-তিন দিনের মধ্যে আলাপ-আলোচনা করে তুলে ধরতে হবে। 

তিনি বলেন, ডলারের যে ক্রাইসিস হচ্ছে, এটা কীভাবে সমাধান করা যায় তা বাংলাদেশ ব্যাংকের সঙ্গে বসে দু-তিনদিনের মধ্যে প্রেসের সামনে জানতে হবে। আগামী ২ থেকে ৩ দিনের মধ্যে অর্থ মন্ত্রণালয়, বাণিজ্য মন্ত্রণালয় ও বাংলাদেশ ব্যাংকে বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত জানিয়ে দেবে। 

আনোয়ারুল ইসলাম বলেন, তাদের বলা হয়েছে, এই সিনারিওতে আমাদের কী করণীয়। যেমন মনে করেন আপনি একটি সাজেশন দিলেন ফল আনার মধ্যে ট্যাক্স বাড়িয়ে দেন, যাতে ফল বেশি না আসে। এখন বৈশাখ মাস। এখন তো আমাদের আম, জাম কাঁঠাল পর্যাপ্ত থাকবে। এরকম একটি সাজেশন আপনি দিলেন, এটা বিবেচনা করে লজিক্যাল কিনা, সেটা বিবেচনা করে সিদ্ধান্ত নেওয়া।

তিনি বলেন, বছরে দেশে ৮/৯ হাজার কোটি টাকার ফল আসে বিদেশ থেকে। এখন ট্যাক্স যদি সাময়িকভাবে বাড়ানো হয় বা অন্য যে ফ্যান্সি আইটেমগুলো আছে সেগুলোতে ট্যাক্স বাড়ান, এ বিষয়গুলো আলোচনা করে ২-৩ দিনের মধ্যে একটি সিদ্ধান্ত নিতে বলা হয়েছে।

তিনি আরও বলেন, সারা পৃথিবীই কিন্তু ভুগছে। কালই দেখলাম নয় পারসেন্ট মুদ্রাস্ফিতি হয়েছে গ্রেট ব্রিটেনে। আমেরিকাতে আট পারসেন্টের বেশি। আমরা তো ওয়ার্ল্ডের বাইরে না, আমরা তো ওয়ার্ল্ডের অংশ। সেক্ষেত্রে  আমাদেরও হয়তো কিছু কিছু ক্ষেত্রে আরও রেশনাল বিহেভ করতে হবে। সেজন্য আমরা মিডিয়াকে অনুরোধ করবো এটাই, একটু পজিটিভওয়েতে প্রচার করার জন্য। আমরা সবাই যেন একটু সাশ্রয়ী থাকি বা রেশনাল থাকি।

এর আগে গত ১০ মে বিলাসবহুল পণ্য আমদানি কমাতে নতুন শর্ত জুড়ে দেয় বাংলাদেশ ব্যাংক। শর্ত অনুযায়ী গাড়ি ও হোম অ্যাপ্লায়েন্সের পণ্য আমদানির বিপরীতে ঋণপত্র স্থাপনের (এলসি) নগদ মার্জিন হার ন্যূনতম ৭৫ শতাংশ সংরক্ষণ করতে হবে। অন্যান্য এলসির ক্ষেত্রে মার্জিন হার ৫০ শতাংশ নির্ধারণ করে দিয়েছে আর্থিক খাতের এ নিয়ন্ত্রণ সংস্থা। তবে শিশুখাদ্য, জ্বালানিসহ অত্যাবশ্যকীয় খাদ্যপণ্য, জীবন রক্ষাকারী ওষুধ, স্থানীয় ও রপ্তানিমুখী শিল্প এবং কৃষি খাত সংশ্লিষ্ট পণ্য আমদানির ঋণপত্র এ নির্দেশনার বাইরে থাকবে।

সোনালীনিউজ/আইএ

Wordbridge School
Link copied!