• ঢাকা
  • বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল, ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

আন্তর্জাতিক মানের পর্যটন কেন্দ্রে রুপ নিচ্ছে কক্সবাজার


নিজস্ব প্রতিবেদক ডিসেম্বর ৫, ২০২২, ০৮:১৩ পিএম
আন্তর্জাতিক মানের পর্যটন কেন্দ্রে রুপ নিচ্ছে কক্সবাজার

ঢাকা: আন্তর্জাতিক মানের পর্যটন কেন্দ্রে রুপ নিচ্ছে বিশ্বের দীর্ঘতম সমুদ্রসৈকত কক্সবাজার। ইতোমধ্যে সব প্রস্তুতির পর এর উন্নয়ন কার্যক্রম শুরু হয়েছে। সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন নতুন কার্যক্রমের মধ্যে তিন লাখ কোটি টাকারও বেশি শতাধিক প্রকল্প স্থান পেয়েছে। 

এর মধ্যে ২৫টি মেগা প্রকল্পসহ ৭৭টি বাস্তবায়নের কাজ চলছে। যার মধ্যে রয়েছে রেললাইন, ১২শ’ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ কেন্দ্র, গভীর সমুদ্র বন্দর, সাবরাং ট্যুরিজম পার্ক ও অর্থনৈতিক অঞ্চল। যা বাস্তবায়ন হলে পর্যটন শিল্পের বিকাশে কক্সবাজার হয়ে উঠবে অন্যতম মাধ্যম।

বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ (বেবিচক), পর্যটন কর্পোরেশন ও ট্যুরিজম বোর্ডের একাধিক কর্মকর্তা জানান, মূলত থাইল্যান্ড ও সিঙ্গাপুরের আদলে কক্সবাজারকে গড়ে তুলতে এমন উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। তাই আন্তর্জাতিক মানের করা হচ্ছে কক্সবাজার বিমানবন্দরকে। এটি হবে সমুদ্রপৃষ্ঠের ওপর নির্মিতব্য দেশের সবচেয়ে বড় রানওয়ে। যেখানে সাগর ছুঁয়ে ২৪ ঘণ্টা বিমান ওঠানামা করবে। এটির নির্মাণে ব্যয় হবে এক হাজার ৫৬৮ কোটি ৮৬ লাখ টাকা। 

এছাড়া সংযোগ হবে রেল লাইন, গড়ে তোলা হবে অর্থনৈতিক অঞ্চল, বৈদ্যুতিক হাব ও দ্বীপভিত্তিক পর্যটন পার্ক। এ কারণে টেকনাফের সাবরাং, নাফ ও মহেশখালীর সোনাদিয়া দ্বীপকে এখন নতুন করে ঢেলে সাজানো হচ্ছে। এর কার্যক্রম আগামী ৩০ সালের মধ্যে শেষ হতে পারে বলে উদ্যোক্তারা ধারণা করছেন। 

সংশ্লিষ্টরা জানান, সাবরাং ট্যুরিজম পার্কে থাকবে নানা রকমের বিনোদনের সুবিধা, বিদেশি পর্যটকদের জন্য বিশেষ সংরক্ষিত এলাকা, সেন্টমার্টিনে ভ্রমণের বিশেষ ব্যবস্থা, ভাসমান জেটি, ৫ তারকা হোটেল, ইকো-ট্যুরিজম, মেরিন অ্যাকুরিয়াম ও সি-ক্রুজ, শিশু পার্ক, ইকো-কটেজ, ওশেনেরিয়াম, আন্ডার ওয়াটার ও ভাসমান রেস্টুরেন্ট। 

এছাড়া, টেকনাফ শহরের অদূরে নাফ নদীর মোহনায় জালিয়ার দ্বীপ ঘীরে নাফ টুরিজম পার্ক প্রতিষ্ঠার কাজ চলছে। যেখানে ক্যাবল কার, সন্ধ্যায় নিয়ন আলো, ঝুলন্ত সেতুও,ইকো কটেজ, লাইফ এন্টারটেইনমেন্ট থিয়েটার, মেগা শপিং মল, সিনেমা হল, গলফ ক্লাব, ওয়াটার স্পোর্টস বিচসহ নানা আয়োজন থাকবে। 

অন্যদিকে সমুদ্রদ্বীপ সোনাদিয়াকেও ইকো ট্যুরিজমের আওতায় আনা হয়েছে। যেখানে পার্ক স্থাপনের একটি প্রকল্প হাতে নিয়েছে বেজা। ৮৯৬৭ একর জায়গা জুড়ে ধাপে ধাপে পার্কটি গড়ে তোলার পরিকল্পনা রয়েছে। এসব অবকাঠামোর বাইরে মহেশখালীর মাতারবাড়িতে নির্মাণ হচ্ছে গভীর সমুদ্রবন্দর। যা হবে জাপানের কাশিমা বন্দরের আদলে। 

এদিকে অর্থনৈতিক সমৃদ্ধি ও পর্যটনকে আরো বেশি এগিয়ে নিতে টেকনাফের সাবরাং পর্যটন অঞ্চলের কাজ চলছে পুরোদমে। এরই মধ্যে মাটি ভরাটের প্রথম ধাপের কাজ শেষ হয়েছে আর প্রকল্প এলাকার সার্বিক অগ্রগতি হয়েছে ৫০ শতাংশের বেশি। এখন পর্যন্ত ১৮টি দেশী-বিদেশী কোম্পানি সাবরাংয়ে বিনিয়োগের অনুমোদন পেয়েছে। কক্সবাজারের টেকনাফে নাফ নদীর মোহনায় প্রায় ২শ ৯০ একরের অধিক জায়গা জুড়ে নির্মানাধীন এ পার্কটি। বাংলাদেশ অর্থনৈতিক অঞ্চল বেজার তদারকিতে থাইল্যান্ডের সিয়াম সিয়াম ইন্ট্যারন্যশনাল বিনিয়োগ করেছে প্রায় ৫০ কোটি মার্কিন ডলার।

সোনালীনিউজ/এআর

Wordbridge School
Link copied!