• ঢাকা
  • বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল, ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

শেয়ারবাজারের লেনদেনে ধস, সংকটে ব্রোকারেজ হাউজগুলো


আবদুল হাকিম ডিসেম্বর ৭, ২০২২, ০২:৪১ পিএম
শেয়ারবাজারের লেনদেনে ধস, সংকটে ব্রোকারেজ হাউজগুলো

ফাইল ছবি

ঢাকা : দেশের শেয়ারবাজারে লেনদেনের ধস যেন কাটছে না। লেনদেন কমতে কমতে সবশেষ বুধবার ৩১১ কোটি টাকায় নেমেছে।এই মন্দা পরিস্থিতিকে সব চেয়ে বড় ক্ষতির মুখে পড়েছে ব্রোকারেজ হাউজগুলো। কয়েক মাস ধরে অনেক ব্রোকারেজ হাউজে কোনো লেনদেন নেই। আবার যারা লেনদেন করতে পারছে, তাতে তাদের তেমন মুনাফা হচ্ছে না। ফলে এসব প্রতিষ্ঠান পরিচালন লোকসানে রয়েছে বলে জানা গেছে।  

সেন্ট্রাল ডিপজিটরি বাংলাদেশ লিমিটেডের (সিডিবিএল) তথ্যে জানা যায ইদানিং শেয়ারশূন্য বিও অ্যাকাউন্টের সংখ্যা যেসব ব্রোকারেজ হাউজ ঋণে ব্যবসা করে না, তাদের আয় আসে শেয়ার লেনদেনের বিপরীতে পাওয়া কমিশন থেকে এবং পোর্টফোলিও বা নিজস্ব পত্রকোষের বিনিয়োগ থেকে পাওয়া মুনাফা বাবদ। কিন্তু দুই মাসের বেশি সময় ধরে এ দুটি খাত থেকে ব্রোকারেজ হাউসগুলো তেমন আয় করতে পারছে না। কারণ, বাজারে বিনিয়োগকারীদের অংশগ্রহণ এবং লেনদেন দুটোই তলানিতে নেমে গেছে।

শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত বেশির ভাগ কোম্পানির শেয়ারই এখন নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) বেঁধে দেওয়া ফ্লোর প্রাইস বা সর্বনিম্ন দামে নেমে এসেছে। এসব শেয়ারের লেনদেন হচ্ছে না বললেই চলে। ফলে এসব শেয়ারে সাধারণ ও প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের বিনিয়োগ আটকে আছে। 

আজ বুধবার ডিএসইতে লেনদেন নেমেছে ৩১০১ কোটি টাকা, যা গত ২০ মাসের মধ্যে সর্বনিম্ন। এর আগে গত বছরের ৫ মে ডিএসইতে সর্বনিম্ন ২৩৭ কোটি টাকার লেনদেন হয়েছিল। লেনদেনের পাশাপাশি বুধবার সূচক কিছুটা বেড়েছে। ডিএসইর প্রধান সূচক ডিএসইএক্স এদিন ৪ পয়েন্ট বেড়ে ৬ হাজার ২৩৩ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে।

পুরোনো ব্রোকার হাউজগুলো কিছুটা চলার মতো অবস্থা থাকলেও শেয়ারবাজারে লেনদেন সেবা প্রদানের সনদ বা ট্রেক লাইসেন্স পাওয়া নতুন প্রতিষ্ঠানগুলো একেবারেই বিনিয়োগকারী খুঁজে পাচ্ছে না। ফলে প্রতিষ্ঠানগুলো লেনদেনও চালু করতে পারছে না।

নতুন ট্রেক পাওয়া একটি ব্রোকারেজ হাউজের নির্বাহী কর্মকর্তা সোনালী নিউজকে জানায়, আমরা নতুন বাজারে এসেছি আমাদের একটা প্রস্তুতি আছে কমপক্ষে এক বছরের। কিন্তু বর্তমানে যে লেনদেন হচ্ছে সেটা বলা যায় পুরো পরিচালন প্রক্রিয়াই লোকসানে। তাছাড়া লেনদেন করে বিনিয়োগকারীদের লোকসান করা তো ঠিক হবে না। সেজন্য লেনদেন বাড়ানো যাচ্ছে না।বড় ব্রোকারেজ হাউজগুলোতে মিনিমাম ১০০ কোটি টাকা লেনদেন হলে সেটা আশা জনক কিন্তু এখন লেনদেন হচ্ছে মাত্র ৩০-৪০ কোটি।সে হিসেবে বলা যায় প্রতিষ্টান খোলা রাখাই এখন বড় চ্যালেঞ্জ।

আরেক ব্রোকারেজ হাউজের নির্বাহী কর্মকর্তা সোনালী নিউজকে বলেন, বাজারের বর্তমান পরিস্থিতিতে মন মানসিকতা কোনটাই ঠিক নাই। কারণ এতে কম লেনদেন এর মধ্যে যদি ব্লক মার্কেটের লেনদেনটা বাদ দেওয়া হয় এটা আরো কমে যাবে।সুতারাং বলা যায় তারল্য সংকট বাড়ছেই।এখন প্রতিষ্ঠান কোন রকমে ধরে রাখা আরকি।এছাড়া আর কোন উপায় ও নাই।বাজার আবার স্বাভাবি না হলে এই সমস্যার সমাধানও পাওয়া যাবে না।

এছাড়া অন্যান্য ব্রোকারেজ হাউজের অবস্থাও একি। কেউ কেউ প্রতিষ্টানের কার‌্যক্রম বন্ধ করতে বাধ্য হচ্ছে।কিছু প্রতিষ্টান চলছে তাদের দেওয়া ঋণ থেকে যে সুদ আসছে তা দিয়ে।

সোনালীনিউজ/এমএএইচ

Wordbridge School
Link copied!