• ঢাকা
  • রবিবার, ০৭ ডিসেম্বর, ২০২৫, ২২ অগ্রহায়ণ ১৪৩২
SonaliNews

গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার অনুমোদিত নিউজ পোর্টাল

পেঁয়াজের বাড়তি দাম, ভারী হচ্ছে কার পকেট!


নিজস্ব প্রতিবেদক নভেম্বর ৬, ২০২৫, ০২:২৭ পিএম
পেঁয়াজের বাড়তি দাম, ভারী হচ্ছে কার পকেট!

ফাইল ছবি

ঢাকা: ভারত থেকে পেঁয়াজ আমদানি বন্ধ থাকায় বাজারে শুধু দেশি পেঁয়াজই বিক্রি হচ্ছে। এরমধ্যে প্রবল বৃষ্টিপাতের পরপরই পেঁয়াদের দাম বাড়তে থাকে। এক বা দুই টাকা নয় এক লাফে নিত্য প্রয়োজনীয় এই পণ্যটির দাম প্রতি কেজিতে ৩০-৩৫ টাকা বেড়েছে। তবে এই দাম বৃদ্ধিতে বিপাকে পড়েছেন সাধারণ ক্রেতারা। তারা এখন প্রশ্ন তুলেছেন পেঁয়াজের বাড়তি দাম যাচ্ছে কার পকেটে?

এদিকে ব্যবসায়ীরা বলছেন, মৌসুম শেষ হওয়ার কারণে বাজারে সরবরাহ কমেছে। নতুন ফলন আসার আগ পর্যন্ত দাম বাড়বেই। তবে দেশের বাইরে থেকে আমদানি হলে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসবে।

জানা গেছে, স্বাভাবিক সময়ে প্রতিদিন খাতুনগঞ্জ ও চাক্তাই বাজারে ১৫ থেকে ১৮ ট্রাক পেঁয়াজ আসে। এখন তা কমে ৩-৪ ট্রাকে নেমেছে। দক্ষিণাঞ্চলের হিমাগার থেকেও পর্যাপ্ত সরবরাহ আসছে না। ব্যবসায়ীরা জানাচ্ছেন, দেশের পাবনা, রাজবাড়ী, নাটোর, কুষ্টিয়া, ঝিনাইদহ, সিরাজগঞ্জ, মাগুরা ও চুয়াডাঙ্গা জেলা থেকে পেঁয়াজ আসে। মৌসুমের শেষ সময়ে আড়তদাররা সুযোগ নিচ্ছে, ফলে দাম বাড়ছে। 

দিনাজপুরের হিলিতে সরবরাহ কমের অজুহাতে বেড়েছে দেশীয় পেঁয়াজের দাম। এক সপ্তাহের ব্যবধানে খুচরা বাজারে প্রতি কেজিতে দাম বেড়েছে ৩৫ থেকে ৪০ টাকা। এতে বিপাকে পড়েছেন সাধারণ ক্রেতারা।

ক্রেতারা বলছেন, সপ্তাহের ব্যবধানে এতো টাকা বাড়ানো অযৌক্তিক। বিক্রেতারা বলছেন, প্রতিদিনই ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে বেশি দামে কিনতে হচ্ছে পেঁয়াজ,জানতে চাইলে তারা বলেন চাহিদার তুলনায় সরবরাহ কম।

এদিকে আমদানিকারকরা বলছেন, বর্তমান বাজারে পেঁয়াজের যে দাম তা হাতের নাগালের বাহিরে চলে গেছে, তা যদি নিয়ন্ত্রণ করা না যায় তাহলে ক্রেতাদের ২০০ টাকা কেজি কিনে খেতে হবে। তাই ভারত থেকে যদি পেঁয়াজ আমদানি করা হয় তাহলে দামট অনেক কমে আসবে।

ক্রেতাদের অভিযোগ, পেঁয়াজ চাষ করে কৃষক ন্যায্য দাম পান না, অথচ মধ্যস্বত্বভোগীরা এই সুযোগে রমরমা মুনাফা লুটে নেয়। খুচরা ব্যবসায়ী ও ক্রেতাদের অভিযোগ, দেশে এখনো পর্যাপ্ত পেঁয়াজ রয়েছে। কৃষকদের কাছ থেকে মধ্যস্বত্বভোগীরা পেঁয়াজ ক্রয় করে মজুদ করে কৃত্রিম সংকট তৈরি করে বাজারে দাম বাড়িয়ে বিক্রি করছে। এতে করে কৃষক ও খুচরা ব্যবসায়ীরা ক্ষতির মুখে পড়লেও পেঁয়াদের বাড়তি টাকা যাচ্ছে মধ্যস্বত্বভোগীর কাছে। 

তাদের দাবি, সরকার যদি সঠিকভাবে মনিটরিং ব্যবস্থা চালু রাখে তবে মধ্যস্বত্বভোগীরা পেঁয়াজ মজুদ করতে পারবে না। পারবে না বাড়তি দামে পেঁয়াজ বিক্রি করতে। তখন বাজারে পেঁয়াজের দাম স্বাভাবিক অবস্থা ফিরে আসবে।

পিএস

Wordbridge School
Link copied!