• ঢাকা
  • বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ, ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

১৪ জুনের মধ্যে শিক্ষকদের ১৩তম গ্রেডের বকেয়া পরিশোধ


নিজস্ব প্রতিবেদক মে ২৮, ২০২২, ১০:৫৩ এএম
১৪ জুনের মধ্যে শিক্ষকদের ১৩তম গ্রেডের বকেয়া পরিশোধ

ঢাকা : সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষকদের ১৩তম গ্রেডের বকেয়া বেতন দিতে ৬৯৭ কোটি ৭৮ লাখ টাকা বরাদ্দ দিয়েছে সরকার। ৫১৩টি উপজেলার শিক্ষকদের বকেয়া বেতন ভাতা পরিশোধ ও অন্যান্য খরচ মেটাতে এ টাকা বরাদ্দ দেয়া হয়েছে।

আগামী ১৪ জুনের মধ্যে এসব উপজেলার যেসব শিক্ষকের বকেয়া বেতন নির্ধারণ করা হয়েছে তাদের বকেয়া অবশ্যই পরিশোধ করার নির্দেশ দিয়েছে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর।

বৃহস্পতিবার (২৬ মে)  প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর থেকে এ টাকা ব্যয়ের ক্ষমতা উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তাদের দিয়ে আদেশ জারি করেছে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর।

অধিদপ্তর বলছে, ২০২১-২২ অর্থবছরে রাজস্ব বাজেটে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় খাতে পাওয়া বরাদ্দ থেকে ৬৯৭ কোটি ৭৮ লাখ ৮৯ হাজার টাকা ৫১৩টি উপজেলা শিক্ষা অফিসের আওতায় কর্মরত শিক্ষকদের বেতনভাতা ও অন্যান্য খাতের ব্যয় নির্বহের জন্য ঘাটতি বাজেটে বরাদ্দ ও মঞ্জুরি দেয়া হয়েছে এবং উপজেলা শিক্ষা অফিসারকে এ টাকা বিধিমোতাবেক ব্যয়ের ক্ষমতা দেয়া হয়েছে।

আদেশে বলা হয়েছে, এ ব্যয় ২০২১-২২ অর্থবছরের রাজস্ব বাজেটে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের খাতে বরাদ্দকৃত টাকা থেকে মেটানো হবে। এ টাকা সরকারি বিধি মোতাবেক ব্যয় করতে হবে। যেকোনো প্রকার অনিয়মিত ব্যয়ের জন্য সংশ্লিষ্ট আয়ন ব্যয়ন কর্মখর্তার ব্যক্তিগতভাবে দায়ী থাকবেন।

অধিদপ্তর আরও জানিয়েছে, ২০২১-২২ অর্থ বছরে বরাদ্দকৃত টাকা থেকে শিক্ষকদের ১৩তম গ্রেডের বকেয়া পরিশোধ করা যাবে। ইতোমধ্যে যাদের ১৩তম গ্রেডে বেতন নির্ধারণ হয়েছে, তাদের প্রাপ্য বকেয়া আগামী ১৪ জুনের মধ্যে অব্যশ্যিকভাবে পরিশোধ করতে হবে। তা না হলে আয়ন-ব্যয়ন কর্মকর্তা দায়ী থাকবেন।

অব্যয়িত টাকা ১৫ জুনের মধ্যে সমর্পন করতে হবে। চাহিদার অতিরিক্ত টাকা প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের অ্যাকাউন্টিং ইনফরমেশন সিস্টেমের মাধ্যমে জমা দিতে হবে। সিস্টেমে মাসিক খরচ এন্ট্রি দিতে হবে।

২০২০ খ্রিষ্টাব্দে সহকারী শিক্ষকদের ১৩তম গ্রেড কার্যকর হওয়ার অনেক শিক্ষকেই বকেয়া বেতন ভাতা পাবেন। গত ১১ মে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর থেকে শিক্ষকদের ১৩তম গ্রেডের বকেয়ার চাহিদা জানতে চাওয়া হলো।

২০১৯ খ্রিষ্টাব্দের নভেম্বর মাসে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষকদের বেতন গ্রেড-১৪ (প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত) এবং বেতন গ্রেড-১৫ (প্রশিক্ষণবিহীন) থেকে গ্রেড-১৩ তে উন্নীত করা হয়। কিন্তু শিক্ষাগত যোগ্যতা নিয়ে দ্বিধা-দ্বন্দ্ব হওয়ায় সব শিক্ষকের বেতন গ্রেড উন্নিত হওয়া নিয়ে সংশয় সৃষ্টি হয়েছিলো। পড়ে সে জটিলতা নিরসণের পর আইবাস প্লাস প্লাসে শিক্ষকদের বেতন নির্ধারণ ও ফিক্সেশন নিয়ে ফের জটিলতা হয়। এত কিছুর পর ২০২১ খ্রিষ্টাব্দের শেষের দিকে শিক্ষকরা ১৩তম গ্রেডে বেতন পাওয়া শুরু করেন। বেতন নির্ধারণের পর বেতন প্রাপ্তির সময় পর্যন্ত সব শিক্ষকের ১৩তম গ্রেডে বেতনের কিছু অংশ বকেয়া ছিলো।

সোনালীনিউজ/এমটিআই

Wordbridge School
Link copied!