• ঢাকা
  • শনিবার, ২০ এপ্রিল, ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

প্রধান শিক্ষক ছাড়াই চলছে রাজশাহীর ৪২০ প্রাথমিক বিদ্যালয়


নিউজ ডেস্ক সেপ্টেম্বর ১৮, ২০২২, ০৮:৫৯ পিএম
প্রধান শিক্ষক ছাড়াই চলছে রাজশাহীর ৪২০ প্রাথমিক বিদ্যালয়

রাজশাহী: রাজশাহী জেলার ৯ উপজেলা ও মহানগরে মোট প্রাথমিক বিদ্যালয় ১ হাজার ৫৭টি। এর মধ্যে জেলার ৪২০টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষক নেই। এসব স্কুলে ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষকও নেই। প্রধান শিক্ষক অবসর নেওয়ার পর সহজে আর নতুন প্রধান শিক্ষক মিলছে না। কোনো সহকারী শিক্ষককে ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক হিসেবে দায়িত্বও দেওয়া হয়নি। এতে বিভিন্ন সমস্যা হচ্ছে। ব্যাহত হচ্ছে প্রাথমিক শিক্ষার কার্যক্রমও। 

এই অবস্থায় দ্রুত প্রধান শিক্ষক পদায়নের দাবি জানিয়েছেন স্কুলের শিক্ষকেরা।

জানা গেছে, জেলার ১ হাজার ৫৭টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মধ্যে ৪৩৮টি স্কুলে এখন প্রধান শিক্ষক আছেন, আর ১৯৩টি স্কুলে আছেন ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক। এ ছাড়া মামলা-সংক্রান্ত জটিলতায় ৬টি প্রাথমিক স্কুলে প্রধান শিক্ষকের দায়িত্ব স্থগিত রয়েছে। অন্য ৪২০টি স্কুলে কোনো প্রধান শিক্ষকই নেই। এসব স্কুলের গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত গ্রহণের কেউ নেই। ব্যবস্থাপনা কমিটির সভাপতির কথামতো চলছে স্কুলগুলো।

প্রধান শিক্ষক না থাকা ৪২০টি স্কুলের মধ্যে নগরীর বোয়ালিয়া থানা শিক্ষা অফিসের অধীনে আছে ৮টি। এর বাইরে গোদাগাড়ী উপজেলার ৩১টি, চারঘাটের ৪৫, তানোরের ৭২, দুর্গাপুরের ৩১, পুঠিয়ার ৩৯, পবার ৩৩, বাগমারার ১০১, বাঘার ৩০ ও মোহনপুরের ৩০টি বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষকের পদ শূন্য রয়েছে। 

রাজশাহী নগরীর কাশিয়াডাঙ্গা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী প্রধান শিক্ষক হেলেনা পারভীন সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমাদের স্কুলে এখন কোনো প্রধান শিক্ষক নেই। আমিই ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষকের দায়িত্ব পালন করছি। নিয়োগপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক না থাকায় প্রতিষ্ঠান পরিচালনা করতে গিয়ে বেগ পেতে হচ্ছে। দ্রুতই এ সমস্যার সমাধান হওয়া উচিত।’

শিক্ষকেরা জানান, স্কুলগুলোতে শিক্ষকসংকট প্রতি মাসেই বাড়ছে। প্রতি মাসেই কেউ না কেউ অবসরে যাচ্ছেন, কিন্তু নিয়োগ হচ্ছে না। আবার জ্যেষ্ঠ সহকারী শিক্ষকদের পদোন্নতি দিয়ে প্রধান শিক্ষকও করা হচ্ছে না। ফলে সংকট কাটছে না। এতে স্কুলগুলোতে বিশৃঙ্খলা দেখা দিচ্ছে। প্রাথমিক শিক্ষায় এখন শিক্ষকসংকট বড় আকার ধারণ করেছে।

জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো. সাইদুল ইসলাম সাংবাদিকদের বলেন, ‘ভারপ্রাপ্ত দিয়েও তো ভালো কাজ হয় না। সংকট থেকেই যায়। সংকটের কথা জানিয়ে আমরা প্রতি মাসেই ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে লিখছি। কর্তৃপক্ষ সবই জানে। কিন্তু ২০১৮ সালের পর থেকে শিক্ষকদের পদোন্নতি দেওয়া হয়নি। এ কারণে প্রধান শিক্ষকসংকট দেখা দিয়েছে। এখন কর্তৃপক্ষ চাইলেই সংকট দূর হবে। আমরা আমাদের জানানোর কাজটা করছি।’

সূত্র -আজকের পত্রিকা

সোনালীনিউজ/আইএ

Wordbridge School
Link copied!