রাজশাহী: দুর্নীতির অভিযোগ প্রমাণিত হওয়া এবং আওয়ামী লীগ সরকারের আস্থাভাজন হিসেবে পরিচিত অধ্যাপক ড. আনারুল হককে রাজশাহী কলেজের অধ্যক্ষ হিসেবে পদায়নের প্রতিবাদে অবস্থান কর্মসূচি পালন করেছেন বৈষমবিরোধী শিক্ষার্থীরা। তারা আনারুল হক যেন কলেজে প্রবেশ করতে না পারেন, এ জন্য অবস্থান নেন এবং তাকে বয়কট করেন। বিক্ষোভে রাজশাহী কলেজের কয়েকশ শিক্ষার্থী অংশ নেন। আজ মঙ্গলবার (১০ সেপ্টেম্বর) সকাল ১০টা থেকে কর্মসূচি চলছে।
এসময় শিক্ষার্থীরা কোনভাবেই অধ্যাপক আনারুল হককে রাজশাহী কলেজে ঢুকতে দেওয়া হবে না বলে জানান। তারা দ্রুত তার পদায়ন বাতিল করার জন্য শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের প্রতি অনুরোধও করেন।
আন্দোলনকারীদের অভিযোগ, দেশসেরা রাজশাহী কলেজে অধ্যক্ষ হিসেবে পদায়ন দেওয়া হয়েছে শহীদ বুদ্ধিজীবী সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর ড. আনারুল হককে। প্রথমত, স্বৈরাচারী আওয়ামী লীগ সরকারের দলীয় এজেন্ডা বাস্তবায়নের জন্যই দলের সুপারিশে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে পদ বাগিয়ে নেন অধ্যাপক আনারুল। শিক্ষা বোর্ডে পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক থেকে শুরু করে রাজশাহীর শহীদ বুদ্ধিজীবী সরকারি কলেজেও অধ্যক্ষের পদ দখল করেন তিনি। আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ও সাবেক দুর্নীতিবাজ মেয়র এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটনের মদদেই এসব পদ দখল করতেন তিনি।
দ্বিতীয়ত, রাজশাহী শিক্ষা বোর্ডে ২০১৬-১৭ অর্থ বছরে বোর্ডের ১৮ লাখ টাকা আত্মসাতের ঘটনায় ২০২০ সালে তিনটি মামলা করে দুদক। দুদকের তদন্ত প্রতিবেদনেও এসব তথ্য উঠে আসে। আত্মসাতের সমপরিমাণ টাকা বোর্ডের ফান্ডে জমা দেওয়ার মাধ্যমে আসামিরা মামলা থেকে অব্যাহতি পান। এতকিছুর পরও শিক্ষাবোর্ড চেয়ারম্যান হওয়ার তদবিরে উঠে পড়ে নামেন এই বিতর্কিত শিক্ষক। যা বিভিন্ন গণমাধ্যমেও বেরিয়ে এসেছে।
তৃতীয়ত, রাজশাহী বোর্ড চেয়ারম্যানের স্বপ্ন পূরণ না হলেও তৎকালীন মেয়র লিটনের সুপারিশে পেয়েছেন বুদ্ধিজীবী কলেজের অধ্যক্ষের চেয়ার। সেই বিতর্কিত, দুর্নীতিবাজ, স্বৈরাচার সরকারের দালাল, শিক্ষক নামের পা চাটা গোলামকে দেশসেরা রাজশাহী কলেজের অধ্যক্ষ পদায়নের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই।
আমরা আমাদের প্রাণের ক্যাম্পাস রাজশাহী কলেজে এই বিতর্কিত শিক্ষককে অধ্যক্ষ হিসেবে চাই না। অবিলম্বে তাকে অন্যত্র পাঠিয়ে শিক্ষার্থী বান্ধব, সৎ ও যোগ্য কাউকে অধ্যক্ষ হিসেবে পদায়নের দাবি জানাই। অন্যথায় দেশসেরা কলেজের শিক্ষার্থীরা কঠোর আন্দোলনে নামতে বাধ্য হবে।
এসএস
আপনার মতামত লিখুন :