• ঢাকা
  • শনিবার, ২০ এপ্রিল, ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১

রাত পোহালেই ভোট


নিজস্ব প্রতিবেদক ডিসেম্বর ২১, ২০১৬, ১০:৪৭ পিএম
রাত পোহালেই ভোট

ঢাকা: আজ বৃহস্পতিবার নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন (নাসিক) নির্বাচন। একটানা ১৬ দিনের প্রচার-প্রচারণা শেষে এখন ভোটকেন্দ্রে যাওয়ার অপেক্ষায় নগরবাসী।

সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত ১৭৪টি কেন্দ্রের এক হাজার ৩০৪টি ভোটকক্ষে টানা ভোটগ্রহণ চলবে।  নির্বাচনে ব্যালটের মাধ্যমে জনপ্রতিনিধি বেছে নেবেন তারা। সে লক্ষ্যে সব প্রস্তুতি শেষ করেছে নির্বাচন কমিশন। নির্বাচনী এলাকায় চলছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ও ভ্রাম্যমাণ আদালতের টহল। নগরীর সর্বত্রই সাধারণ ভোটার থেকে শুরু করে দলীয় কর্মী-সর্মথকদের মাঝে বিরাজ করছে টানটান উত্তেজনা, উৎসাহ-উদ্দীপনা।
পাশাপাশি ভোটারদের মাঝে আছে ভয়, শঙ্কা-উদ্বেগ-উৎকণ্ঠাও। এমন পরিস্থিতির মধ্যেই চলছে জোর আলোচনাকে জিতবে এ নির্বাচনে, নৌকা নাকি ধানের শীষ? কে হাসবে শেষ হাসি, আইভী না সাখাওয়াত? এমন প্রশ্নের উত্তরের অপেক্ষায় সবাই। কারণ এ নির্বাচনে মেয়র পদে পাঁচজন প্রার্থী মাঠে থাকলেও মূল লড়াই যে নৌকা ও ধানের শীষের মধ্যে হবেএ কথা সবার জানা।

সিটি করপোরেশনে মেয়র পদে প্রথমবারের মতো দলীয় প্রতীকে অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া এ নির্বাচন ঘিরে জাতীয় রাজনীতিতেও সৃষ্টি হয়েছে উত্তাপ। এ নির্বাচন এখন শুধু নৌকার প্রার্থী ডা. সেলিনা হায়াৎ আইভী এবং ধানের শীষের প্রার্থী অ্যাডভোকেট সাখাওয়াত হোসেনের ভোটযুদ্ধের মাঝে সীমাবদ্ধ নেই। আগামী জাতীয় নির্বাচনকে সামনে রেখে এই নির্বাচন এখন দেশের প্রধান দুই রাজনৈতিক শক্তি আওয়ামী লীগ ও বিএনপির মর্যাদার লড়াইয়ের একটি প্রতীকে পরিণত হয়েছে। দলীয় প্রার্থীকে জয়ী করতে সব ধরনের চেষ্টা চালিয়েছেন দল দুটির নেতারা। সাখাওয়াত হোসেন খানকে ধানের শীষ প্রতীকে ভোট দেয়ার আহ্বান জানিয়ে টুইট করেছেন খোদ বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া। এসব কারণেই সবার দৃষ্টি এখন নারায়ণগঞ্জের দিকে। রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, এ নির্বাচনের ফলাফলের ওপর নির্ভর করছে পরবর্তী জাতীয় ইস্যু।    

নির্বাচনের প্রতীক বরাদ্দের পর থেকেই শান্তিময় শহর গড়ার প্রতিশ্রুতি দিয়ে ভোর থেকে গভীর রাত পর্যন্ত নগরীর বিভিন্ন ওয়ার্ড চষে বেড়িয়েছেন প্রার্থীরা। ভোট চাইতে ভোটারদের দ্বারে দ্বারে ছুটছেন তারা। ভোটের পরিবেশ নিয়ে প্রার্থীদের একাংশ উদ্বেগের কথা জানালেও নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন নির্বাচনে ভোটের পরিবেশ নিয়ে অভয় জানিয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। তারা ভোটারদের নির্ভয়ে ভোটদানের আহ্বান জানিয়েছে। সেই সঙ্গে ১৭৪টি কেন্দ্রের মধ্যে ১৩৭টিকে ঝুঁকিপূর্ণ বিবেচেনা করে ভোটের নিরাপত্তাব্যবস্থা সাজিয়েছে ইসি।

সার্বিক পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে ২২ প্লাটুন বিজিবিসহ মোতায়েন করা হয়েছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সাড়ে ৯ হাজার সদস্য। এর মধ্যে সাড়ে পাঁচ হাজার সদস্য রয়েছেন টহল দলে। আর চার হাজার সদস্য মোতায়েন থাকবেন নির্বাচনের দিন ১৭৪টি ভোটকেন্দ্রে।

এ ছাড়া প্রতিটি ওয়ার্ডে একজন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের নেতৃত্বে কাজ করছে একটি করে টিম। এর বাইরে মঙ্গলবার থেকেই ১৪ জন জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটের নেতৃত্বে পুরো নির্বাচনী এলাকায় কাজ শুরু করেছে ১৪টি টিম। অন্য এলাকার বাসিন্দাদের নারায়ণগঞ্জে অবস্থানের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে সোমবার মধ্যরাত থেকে। আর এ নির্বাচন দেখতে ১৬টি সংস্থার ৩২০ জনকে অনুমোদন দিয়েছে ইসি। এই পর্যবেক্ষকদের মধ্যে ৩১৮ জন দেশি, দুইজন বিদেশি।

গতবারের চেয়ে প্রায় ৭০ হাজার বেড়ে এবার নারায়ণগঞ্জ নগরীতে মোট ভোটারের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে চার লাখ ৭৪ হাজার ৯৩১। এর মধ্যে পুরুষ দুই লাখ ৩৯ হাজার ৬৬২। আর নারী ভোটার দুই লাখ ৩৫ হাজার ২৬৯। ভোটকেন্দ্র ১৭৪টি। এর মধ্যে চারটি অস্থায়ী কেন্দ্র। বুথের সংখ্যা এক হাজার ৩০৪টি। নিয়োগ দেয়া হয়েছে চার হাজারের বেশি নির্বাচন কর্মকর্তা। নির্বাচনে ২৭টি সাধারণ ওয়ার্ডে কাউন্সিলর পদে লড়ছেন ১৫৬ প্রার্থী। ৯টি সংরক্ষিত ওয়ার্ডে নারী কাউন্সিলর পদে প্রার্থী হয়েছেন ৩৮ জন। আর মেয়র পদে প্রার্থী পাঁচজন।

তফসিল ঘোষিত হয় ১৪ নভেম্বর। আর ৫ ডিসেম্বর থেকে শুরু হয় আনুষ্ঠানিক প্রচারণা। ভোটগ্রহণ হবে আজ ২২ ডিসেম্বর সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত।

ঝুঁকিপূর্ণ কেন্দ্রে বিশেষ নজর-
রিটার্নিং কর্মকর্তা মো. নুরুজ্জামান তালুকদার বলছেন, সুষ্ঠু ভোট আয়োজনে পুরো শহর নিরাপত্তার চাদরে ঢেকে ফেলার পরিকল্পনা নিয়েছেন তারা। নগরীর ১৭৪টি কেন্দ্রের প্রতিটিতে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর ২৪ জন করে সদস্য থাকবেন। তবে ১৩৭টি ভোটকেন্দ্রে ‘বিশেষ নজর’ রাখা হবে।
রবিবার আইনশৃঙ্খলা সমন্বয় ও মনিটরিং সেলের বৈঠক শেষে রিটার্নিং কর্মকর্তা বলেন, ‘এবার নারায়ণগঞ্জে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ৫৬০০ সদস্য মাঠে থাকবেন। ১৩৭টি কেন্দ্রের তালিকা পেয়েছি একটি গোয়েন্দা সংস্থা থেকে। এগুলোকে বিশেষ বিবেচনায় নিয়ে নিরাপত্তা ব্যবস্থা সাজানো হবে।’

নিরাপত্তাব্যবস্থা-
নির্বাচনের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে রবিবার নারায়ণগঞ্জ জেলা পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা, বিভিন্ন সংস্থার কর্মকর্তাসহ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের নিয়ে রুদ্ধদ্বার বৈঠক করেন রিটার্নিং কর্মকর্তা। আইনশৃঙ্খলা বাহিনী মোতায়েন কৌশল নির্ধারণ নিয়ে মূলত এ বৈঠকের আয়োজন করা হয়।

ইসি কর্মকর্তারা জানান, সিদ্ধিরগঞ্জ এলাকাকে ‘বেশি ঝুঁকিপূর্ণ’ বিবেচনা করে সেখানে ‘বাড়তি ফোর্স’ মোতায়েন করার সিদ্ধান্ত হয় বৈঠকে। যে ২২ প্লাটুন বিজিবি সদস্যের নারায়ণগঞ্জে দায়িত্ব পালনের কথা রয়েছে, তার মধ্যে ১০ প্লাটুনই থাকবে সিদ্ধিরগঞ্জে। তারা দুটি স্থানে অবস্থান নিয়ে টহলে থাকবেন। এ ছাড়া শহর এলাকায় সাত প্লাটুন ও বন্দর এলাকায় পাঁচ প্লাটুন বিজিবি থাকবে।

আজ বৃহস্পতিবার র‌্যাবের ২৭টি মোবাইল টিম মাঠে নামবে। প্রতিটি দলে থাকবেন ১২ জন করে। প্রতিটি ওয়ার্ডে পুলিশের তিনটি করে মোট ৮১টি টিম টহলে থাকবে। প্রতিটি টিমের সদস্যসংখ্যা হবে ১২ জন।

নির্বাচনে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে বৈঠকে পুলিশের সংখ্যা বাড়ানোর সিদ্ধান্ত হয়। ভোটের সময় শিল্প পুলিশের ২০০ জন সদস্য জেলা পুলিশের সঙ্গে যোগ দেবেন বলে ইসি কর্মকর্তারা জানান।

তারা বলছেন, ভোটের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে অস্ত্রসহ সাতজন পুলিশ, অস্ত্রসহ তিনজন ব্যাটালিয়ন আনসার, অঙ্গীভূত আনসার-ভিডিপির ১৪ সদস্যসহ মোট ২৪ জন থাকবেন প্রতিটি কেন্দ্রে।

২৭টি ওয়ার্ডের প্রতিটিতে ৫ ডিসেম্বর থেকে মাঠে রয়েছেন নির্বাহী হাকিম। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সঙ্গে ভোটের দিন আরো নয়জন যোগ হবেন। তখন ১৪ জন বিচারিক হাকিম মাঠে থাকবেন।

মেয়র পদে লড়ছেন যারা-
এ নির্বাচনে মেয়র পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন ৫ জন প্রার্থী। এরা হলেন, আওয়ামী লীগ দলীয় প্রার্থী সাবেক মেয়র ও জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি ডা. সেলিনা হায়াৎ আইভী, বিএনপি দলীয় প্রার্থী জেলা আইনজীবী সমিতির সাবেক সভাপতি অ্যাডভোকেট সাখাওয়াত হোসেন খান, বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির প্রার্থী মাহবুবুর রহমান ইসমাইল, ইসলামী শাসনতন্ত্র আন্দোলন বাংলাদেশের প্রার্থী মাসুম বিল্লাহ, ও স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে মেজবাহ উদ্দিন ভুলু।

ইসির অধীনে শেষ বড় নির্বাচন-
বর্তমান কমিশনের অধীনে নাসিকই শেষ বড় নির্বাচন। ৮ ফেব্রুয়ারি এ কমিশনের মেয়াদ শেষ হচ্ছে। কমিশনারদের সঙ্গে আলাপ করে জানা গেছে, উপজেলা, পৌরসভা ও ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন নিয়ে নানা বিতর্ক থাকলেও শেষ এ নির্বাচন সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করতে সর্বোচ্চ চেষ্টা চালাচ্ছে কমিশন। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন নির্বাচন কমিশনার বলেন, ‘আমাদের সব অভিজ্ঞতা উজাড় করে এ নির্বাচনের আয়োজন করা হয়েছে। ভোটের দিন সব কিছু মনিটরিংয়ের ব্যবস্থা করা হয়েছে।’

মাঠে থাকবেন ইসির ৯ গোপন পর্যবেক্ষক-
নাসিক এলাকায় নির্বাচন কমিশনের নিজস্ব ৯ জন কর্মকর্তা গোপন পর্যবেক্ষক হিসেবে মাঠে নেমেছেন। তারা নিজেদের পরিচয় গোপন রেখে তথ্য সংগ্রহ করে সরাসরি নির্বাচন কমিশনকে জানাবেন। ব্যালট ছিনতাই, আইনশৃংখলা পরিস্থিতির অবনতি, ভোটারদের কেন্দ্রে প্রবেশে বাধা, জাল ভোট এবং অবৈধ প্রভাব বিস্তারের চেষ্টার মত ঘটনা নজরে এলে তারা তাৎক্ষণিকভাবে ইসি সচিব বা অতিরিক্ত সচিবকে জানাবেন। তাদের তথ্যের ভিত্তিতে তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নেবে কমিশন।

ভয় কাউন্সিলর প্রার্থীদের ঘিরেই-
একাধিক স্থানীয় ভোটার, দলীয় কর্মীদের সঙ্গে কথা হলে তারা জানান, এবারের নির্বাচনে মেয়র প্রার্থীদের নিয়ে তেমন কোনো শঙ্কা না থাকলেও কাউন্সিলর প্রার্থীদের নিয়ে ভয়-শঙ্কা আছে। নগরীর  টানবাজার এলাকার সরকারদলীয় এক ওয়ার্ড নেতা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, এ নির্বাচনে বিভিন্ন ওয়ার্ডে সরকারি দলেরই একাধিক প্রার্থী রয়েছেন। সেক্ষেত্রে সরকারদলীয় প্রার্থীদের মাঝেই ক্ষমতা প্রদর্শনের প্রতিযোগিতা হতে পারে।

সাখাওয়াতের মুখে বিষাদের ছাপ-
আশায় বুক বাঁধলেও বিষাদের ছাপ সাখাওয়াতের মুখে! দলের পক্ষ থেকে সমর্থন ও ধানের শীষ প্রতীক বরাদ্দ পাওয়ার পর থেকেই উৎফুল্ল ছিলেন সাখাওয়াত হোসেন খান। তার এই উচ্ছ্বাসের মাত্রা আরো বাড়িয়েছিলেন কেন্দ্র থেকে আগত শীর্ষ নেতৃত্ব। তবে নির্বাচনী প্রচারণার শেষ দিন মঙ্গলবার তাকে অনেকটা বিমর্ষ অবস্থায় দেখা গেছে।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, বহিরাগতদের অবস্থানে নিষেধাজ্ঞার কারণে সোমবার রাতে কেন্দ্র থেকে আগত দলের সব নেতাকে নারায়ণগঞ্জ ছেড়ে যেতে হয়। কেন্দ্রীয় নেতারা চলে যাওয়ার পর থেকেই যেন অভিভাবকহীন হয়ে পড়েন সাখাওয়াত। স্থানীয় নেতারা এখনো সাখাওয়াতের বিপক্ষে এই গুঞ্জন নারায়ণগঞ্জজুড়ে। শোনা যাচ্ছে কেন্দ্রীয় নেতারা নারায়ণগঞ্জ ছেড়ে দেয়ার পর থেকেই জেলা বিএনপির প্রভাবশালী নেতারা সাখাওয়াতকে সহযোগিতা করছেন না।

আইভী ও সাখাওয়াত ভোট দেবেন যে কেন্দ্রে-
ডা. সেলিনা হায়াৎ আইভী দেওভোগ শিশু কানন কিন্ডারগার্টেন স্কুল কেন্দ্রে ভোট দেবেন। জানা গেছে, সকালেই নিজের ভোট প্রদানের পরই স্থানীয় নেতাকর্মীদের নিয়ে বিভিন্ন কেন্দ্র পরিদর্শন করবেন তিনি। আর সাখাওয়াত হোসেন খান ভোট দেবেন ফতুল্লা থানার মাসদাইর এলাকায় অবস্থিত আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয় ও কলেজ কেন্দ্রে।

ভোট চেয়ে খালেদার টুইট-
আজকের নির্বাচনে বিএনপির মেয়র প্রার্থী সাখাওয়াত হোসেন খানকে ধানের শীষ প্রতীকে ভোট দেয়ার আহ্বান জানিয়েছেন দলের চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া। পাশাপাশি বিএনপি মনোনীত কাউন্সিলর প্রার্থীদেরও বিজয়ী করতে ভোটারদের প্রতি আহ্বান জানান তিনি। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় এক টুইটে বিএনপি চেয়ারপারসন এ আহ্বান জানান। টুইটে বিএনপির মেয়র প্রার্থী অ্যাডভোকেট সাখাওয়াত হোসেন খানের ছবি ও ধানের শীষের প্রতীকও সংযুক্ত করা হয়েছে।

ব্যালট বাক্স পাঠানো হয়েছে কেন্দ্রে-
নির্বাচন উপলক্ষে রিটার্নিং অফিসারের কার্যালয় থেকে ব্যালট পেপার, স্বচ্ছ ব্যালট বাক্সসহ আনুষঙ্গিক সামগ্রী ভোটকেন্দ্রে পাঠানো হয়েছে। বুধবার সকাল সাড়ে ১১টা থেকে ফতুল্লার চাঁদমারীতে অবস্থিত নির্বাচন কার্যালয় থেকে এসব সামগ্রী পাঠানো শুরু হয়।

পর্যবেক্ষকদের আশা-
স্থানীয় সরকারের সাম্প্রতিক নির্বাচনগুলোতে সহিংসতা ও অনিয়মের ব্যাপক অভিযোগের পর নারায়ণগঞ্জ সিটি ভোটের আগের দিন পর্যন্ত শান্তিপূর্ণ উৎসবমুখর পরিস্থিতি দেশে নির্বাচনী পরিবেশ ফেরার আশা জাগিয়েছে পর্যবেক্ষকদের মনে।

কয়েকটি নির্বাচন পর্যবেক্ষক সংগঠনের মোর্চা ইলেকশন ওয়ার্কিং গ্রুপের (ইডব্লিউজি) পরিচালক আবদুল আলীম বলেন, ‘নারায়ণগঞ্জের ভোটে আমরা জাতীয় নির্বাচনের আবহ দেখতে পাচ্ছি। বড় দুই দলের জাতীয় নেতারা মাঠে গেছেন, অথচ কোনো বাধা-হামলা ঘটেনি। প্রচারে এ পর্যন্ত নেতিবাচক তেমন কিছুই দেখিনি। সব মিলিয়ে বছর শেষে ভালো নির্বাচন হতে যাচ্ছে বলা যায়।’


সোনালীনিউজ/ঢাকা/আকন

Wordbridge School
Link copied!