• ঢাকা
  • শুক্রবার, ২৯ মার্চ, ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

ধানের শীষের চেয়েও তাদের কাছে স্বজনরাই বড়!


জেলা প্রতিনিধি ডিসেম্বর ২২, ২০১৬, ০৯:২৩ পিএম
ধানের শীষের চেয়েও তাদের কাছে স্বজনরাই বড়!

নারায়ণগঞ্জ: নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন (নাসিক) নির্বাচনে স্থানীয় বিএনপির তিনজন শীর্ষ নেতাকে দলীয় প্রার্থীর চেয়ে নিজেদের আত্মীয়-স্বজন কাউন্সিলর প্রার্থীর পক্ষেই বেশ তৎপরতা দেখা গেছে। ফলে বৃহস্পতিবার (২২ ডিসেম্বর) সকাল থেকেই ওইসব প্রার্থীদের স্ব স্ব ওয়ার্ডেই বেশি তৎপরতা দেখা গেছে।

নাসিক নির্বাচনে বিএনপির তিন নেতা চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ও জেলা বিএনপির সভাপতি অ্যাডভোকেট তৈমূর আলম খন্দকার, তিনবারের সাবেক এমপি আবুল কালাম ও সাবেক এমপি গিয়াসউদ্দিনকে বলা হয়। কিন্তু এরা কেউই নির্বাচনে থাকতে রাজি হয়নি।

এভাবে অনেক নাটকীয়তার পর ধানের শীষের মনোনয়ন পান আইনজীবী নেতা সাখাওয়াত হোসেন খান। পরে চেয়ারপারসন তিন নেতাকে ডেকে সাখাওয়াতের পক্ষে কাজ করার কড়া নির্দেশনা দেন। এক্ষেত্রে তৈমূরকে নারায়ণগঞ্জ শহর, গিয়াসউদ্দিনকে সিদ্ধিরগঞ্জ ও আবুল কালামকে বন্দরের দায়িত্ব দেন।

তবে অভিযোগ উঠেছে, দলীয় প্রার্থীর চেয়ে এসব নেতার কাছে কাউন্সিলর প্রার্থী হিসেবে নিজের আত্মীয়-স্বজনই বড় হয়ে ওঠে। ভোটের মাঠে এ প্রমাণ দেখা গেছে।

সূত্রমতে, তৈমূরের ছোট ভাই মহানগর যুবদলের আহ্বায়ক ও দুইবারের কাউন্সিলর মাকছুদুল আলম খন্দকার খোরশেদ শহরের ১৩নং ওয়ার্ড, আবুল কালামের ছেলে মহানগর ছাত্রদলের আহ্বায়ক আবুল কাউসার আশা ২৩নং ওয়ার্ড ও গিয়াসউদ্দিনের ছেলে গোলাম মোহাম্মদ সাদরিল ৫নং ওয়ার্ডে কাউন্সিলর পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।

কেন্দ্রীয় নেতাদের কারণে এই তিন নেতাকে দলীয় প্রার্থীর পক্ষে বেশ সক্রিয় দেখা গেলেও ভোটের দিন বৃহস্পতিবার (২২ ডিসেম্বর) সকাল থেকে তিনজনকেই স্ব স্ব ওয়ার্ডে ব্যস্ত থাকতে দেখা যায়।

তৈমূর আলম খন্দকারকে সকাল সোয়া ৮টায় শহরের মাসদাইরে নারায়ণগঞ্জ আদর্শ স্কুলে বিএনপির প্রার্থী সাখাওয়াত হোসেন খানের সঙ্গে দেখা যায়। পরে তিনি যান শহরের আমলাপাড়া গার্লস স্কুল কেন্দ্রে। এটাও ১৩নং ওয়ার্ডে। দুপুরে তৈমূর শহরের শায়েস্তা খান সড়কে বিএনপির মিডিয়া সেলে যান। সেখান থেকে ১টার পর তৈমূরকে আবারও ১৩নং ওয়ার্ডের বিভিন্ন কেন্দ্রে ঘুরতে দেখা গেছে।

তৈমূর বলেন, ‘আমার সকল নেতাকর্মী প্রতিটি কেন্দ্রে কেন্দ্রে কাজ করছে। আমি এক বিন্দুও অলসতা দেখাইনি। প্রতি মুহূর্তে ব্যস্ত থেকে সবাইকে তাগিদ দিচ্ছি।’ অন্যদিকে গিয়াসউদ্দিন বলেন, ‘আমার ছেলে নির্বাচন করলেও দলের প্রার্থীর পক্ষেই আমি সরব ছিলাম, এখনো আছি।’ আবুল কালামের ছেলে আবুল কাউসার আশা জানান, বিএনপি ও এর সহযোগি সংগঠনের নেতাকর্মীরা বন্দর থেকে শুরু করে শহরের সবগুলো কেন্দ্রে স্বতঃস্ফূর্তভাবে কাজ করছে। 

সোনালীনিউজ/এমএন

Wordbridge School
Link copied!