• ঢাকা
  • শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল, ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

গোপনীয়তা রক্ষা করতে না পারার দায় নিলেন মিথিলা


নিজস্ব প্রতিবেদক নভেম্বর ৬, ২০১৯, ১২:৩৭ পিএম
গোপনীয়তা রক্ষা করতে না পারার দায় নিলেন মিথিলা

ঢাকা : ছোট পর্দার জনপ্রিয় অভিনেত্রী রাফিয়াত রশিদ মিথিলা। মঙ্গলবার (৫ নভেম্বর) সন্ধ্যা থেকে দেশের মূল আলোচনায় ছিলেন তিনি। কারণ নির্মাতা ইফতেখার আহমেদ ফাহমির সঙ্গে মিথিলার ব্যক্তিগত মুহূর্তের বেশকিছু ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে। যা নিয়ে দিনজুড়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলোতে চলেছে আলোচনা-সমালোচনা।

ওই ঘটনার প্রায় ২৪ ঘণ্টা পর এই প্রসঙ্গে নিজের অবস্থানের কথা জানিয়েছেন মিথিলা।  মঙ্গলবার (৫ নভেম্বর) রাত সাড়ে ১০টায় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে এই অভিনেত্রী জানিয়েছেন, কী ঘটেছে তার কোনও ব্যাখ্যা দিতে আসিনি। বরং সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে আমার কিছু ব্যক্তিগত ছবি নিয়ে যা হয়েছে সেই সম্পর্কে নিজের অবস্থান পরিষ্কার করতে চাই। এসব ছবির কিছু বাস্তব, কিছু মনগড়া। আমার সুনাম ক্ষুণ্ণ করতে কিছু অপরাধী প্রতিহিংসাপরায়ণ হয়ে এগুলো অনলাইনে ছেড়ে দিয়েছে। তার (ফাহমি) ফেসবুক প্রোফাইল হ্যাক হয়েছিল। তখনই অপরাধীরা খারাপ উদ্দেশ্যে ব্যবহারের জন্য এগুলো খুঁজে নিয়েছে। এখানে ডেটিং শব্দটির ওপর জোর দিতে চাই, যার অর্থ আমরা একটি সম্পর্কে ছিলাম। সহজভাবে বললে দুটি মানুষ একে অপরের সঙ্গে জড়ালে ঘনিষ্ঠ মুহূর্ত কাটায়, ছবি তোলে। প্রযুক্তির যুগে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তারা এগুলো ভাগ করে নেয়। তবে নিজের গোপনীয়তা রক্ষা করতে না পারার দায় আমারই।

মিথিলা আরো লিখেছেন, আমি দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি, আমার সম্মান ও মর্যাদা শুধু আমার শরীর বা অন্তর্বাসে কিংবা ব্যক্তিগত ছবির মধ্যে সীমাবদ্ধ নয়। জীবনে কঠোর পরিশ্রম, সৃজনশীলতা ও শিক্ষার মাধ্যমে সব অর্জন করেছি। আমার অতীতের ব্যক্তিগত মুহূর্তগুলো চুরি করে কিছু অপরাধীর কুকর্মের কারণে এসব ভেঙে যাওয়ার মতো ঠুনকো নয়।

এদিকে এই ঘটনায় সাইবার অপরাধ বিভাগে আনুষ্ঠানিকভাবে অভিযোগ করার ইমেলের স্ক্রিনশট দিয়ে মিথিলা লিখেছেন, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সহায়তায় যারা আমার মান-সম্মান নিয়ে খেলেছে সেই দুষ্কৃতিকারীদের চিহ্নিত করে ছাড়বো। শপথ করছি, নিজের জন্য এবং হ্যাকার ও সাইবার অপরাধীদের শিকার হওয়া সবার জন্য লড়বো।

ওই স্ট্যাটাসে বেশ কিছু গণমাধ্যমকে উদ্দেশ্য করে মিথিলা আরও লিখেছেন, আমার লজ্জা লাগছে এই ভেবে, দেশের কিছু কুৎসিত লোক আমার ব্যক্তিগত মুহূর্তগুলো সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ইচ্ছেমতো পোস্ট, শেয়ার ও ব্যবহারের সুযোগকে কাজে লাগিয়েছে। আমার খ্যাতি ও ভাবমূর্তিকে অসম্মান করে তারা সাবস্ক্রিপশন বাড়াচ্ছে ও নানান খবর ছড়িয়ে দিচ্ছে। আমাকে কার্যত ধর্ষণ করা হচ্ছে। আমার লজ্জা হয় সেইসব মিডিয়ার জন্য, বিশেষ করে কয়েকটি নিউজ পোর্টাল আমার অনুমতি ছাড়াই আমাকে উদ্ধৃত করে এই খবর প্রকাশ করেছে। অথচ আমি এ নিয়ে কখনোই কথা বলিনি বা কোনও বক্তব্য দেইনি। ঘরে-বাইরে, ভার্চুয়াল জগতসহ সর্বত্র যেকোনো জায়গায় নারীদের যৌন হেনস্তা করা হলে একইভাবে লজ্জিত ও ক্ষিপ্ত হই।

স্ট্যাটাসের শেষ অংশে মিথিলা দুঃসময়ে পাশে থাকার জন্য পরিবার, বন্ধু ও সহকর্মীদের ধন্যবাদ জানিয়েছেন। যদিও এই প্রতিবেদন প্রকাশের সময় মিথিলার এই স্ট্যাটাস ও ফেসবুক পেইজটি ফেসবুকে খুঁজে পাওয়া যায়নি।

সোনালীনিউজ/এএস

 

Wordbridge School
Link copied!