• ঢাকা
  • বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ, ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

আরিয়ানার নতুন রেকর্ড


বিনোদন ডেস্ক সেপ্টেম্বর ২১, ২০২০, ০১:১০ পিএম
আরিয়ানার নতুন রেকর্ড

ঢাকা : সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ইনস্টাগ্রামে তার ফলোয়ার সংখ্যা স্পর্শ করল ২০ কোটির মাইলফলক। এটিই ইনস্টাগ্রামে কোনো নারীর সর্বোচ্চ ফলোয়ার সংখ্যা।

মার্কিন মুলুকে এ সময়ের সবচেয়ে আলোচিত কণ্ঠশিল্পী আরিয়ানা গ্রান্ডে। শুরুটা অভিনয় দিয়ে হলেও গানের বাজারে খুব অল্প সময়ে নিজের অবস্থান পাকাপোক্ত করে নিয়েছেন তিনি। কোটি কোটি অ্যালবাম বিক্রি হয়েছে তার। গান নিয়ে ট্যুর করেছেন পৃথিবীর নানা প্রান্তে। জয় করেছেন অনেক পুরস্কার। আমেরিকান গায়িকা আরিয়ানা গ্রান্ডের জনপ্রিয়তার ভান্ডারে এবার যুক্ত হলো আরেকটি পালক।

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ইনস্টাগ্রামে তার ফলোয়ার সংখ্যা স্পর্শ করল ২০ কোটির মাইলফলক। এটিই ইনস্টাগ্রামে কোনো নারীর সর্বোচ্চ ফলোয়ার সংখ্যা। ‘থ্যাংক ইউ, নেক্সট’ অ্যালবামের এই গায়িকা এই সপ্তাহে এমন মাইলফলকে পৌঁছালেন, যেটি তার আগে স্পর্শ করেছেন মাত্র একজন- পর্তুগিজ ফুটবল তারকা ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদো।
ফলোয়ার সংখ্যায় আরিয়ানার ঠিক পেছনেই রয়েছেন কাইলি জেনার (১৯ কোটি ৩০ লাখ) এবং সেলেনা গোমেজ (১৯ কোটি)। আরিয়ানাকে অভিনন্দন জানিয়ে ইনস্টাগ্রামে তার ‘রেইন অন মি’ গানের সহশিল্পী লেডি গাগা লিখেছেন, ‘ফলোয়ার সংখ্যা ২০ কোটি হওয়ায় আমার বন্ধু আরিয়ানাকে অভিনন্দন! তুমি তো রানি! মুকুট পরে নাও!’

এর আগে, গত রোববার এমটিভি মিউজিক ভিডিও অ্যাওয়ার্ডসের মঞ্চে নিজেদের গানটি পরিবেশনা করেছেন এই জুটি এবং জিতে নিয়েছেন ‘বেস্ট কোলাবরেশন’ ও ‘সং অব দ্য ইয়ার’ অ্যাওয়ার্ড। বন্ধুর বার্তার জবাবে আরিয়ানা লিখেছেন, ‘তোমাকে বন্ধু হিসেবে পেয়েছি বলে অনেক ধন্যবাদ, লেডি গাগা। তোমাকে অন্তরের সবটুকু দিয়ে, সব সময় ভালোবাসি।’ অবশ্য ২০ কোটি ফলোয়ারের মাইলফলকে পৌঁছানো নিয়ে এখনো কোনো পোস্ট দেননি ২৭ বছর বয়সী আরিয়ানা।

এদিকে করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের মাঝেও বসে নেই তিনি। এরই মধ্যে বেশ কয়েকটি নতুন গান প্রস্তুত করেছেন। তবে এ সময়ে নতুন করে কোনো অ্যালবাম মুক্তি দিতে স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করছেন না। সম্প্রতি নিউজিল্যান্ডের ডিজে জেইন লোর সঙ্গে অ্যাপেল মিউজিকের ‘অ্যাট হোম’ সিরিজে যোগ দেন। সামাজিক দূরত্বের এই সময়ে কী কারণে নতুন অ্যালবাম মুক্তি দিতে চাইছেন না, তা নিয়ে আলোচনা করেন আরিয়ানা। আলোচনায় ‘সেভেন রিংস’-খ্যাত এই গায়িকা জানান, এ সময়ে তিনি নতুন গান তৈরি করছেন, কিন্তু নতুন কোনো অ্যালবাম মুক্তি দেয়ার জন্য এটি সঠিক সময় নয় বলে মনে করেন তিনি।

মার্কিন গায়িকা আরিয়ানা গ্রান্ডে মানেই যেন ভিন্ন রকম উন্মাদনা। সুরের জাদুতে তিনি বিমোহিত করেন হাজারো শ্রোতার মন। তার অভিনয় যেন কথা বলে। নিত্যনতুন ফ্যাশনে নিজেকে ভিন্ন রকমভাবে উপস্থাপনেও তিনি কম যান না। তাই তো পৃথিবীজুড়ে ছড়িয়ে থাকা ভক্তরা সব সময় আরিয়ানার নিয়মিত খবর নিতে চোখ রাখেন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে। পৃথিবীজুড়ে ইনস্টাগ্রামে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ফলোয়ারের সংখ্যাও এখন তার দখলে। সম্প্রতি তার সিঙ্গেল ‘সেভেন রিং’ গানটি টানা আট সপ্তাহ ধরে বিলবোর্ডে শীর্ষ দশে জায়গা করে নিয়েছে। গানটি এ সপ্তাহে বিলবোর্ডের ১৬তম স্থানে রয়েছে।

সুর আর অভিনয় আরিয়ানার জন্ম থেকেই বন্ধু। জন্ম ২৬ জুন ১৯৯৩ সালে ফ্লোরিডাতে। আরিয়ানা গ্রান্ডে যখন তার মায়ের গর্ভে তখন তাদের পুরো পরিবার ইতালি থেকে ফ্লোরিডাতে চলে আসে। তার ভাইয়ের নাম ইডওয়ার্ড বুটেরা।

আরিয়ানা যখন স্টেজে ওঠেন, তার ভক্তদের মধ্যে তখন তীব্র উন্মাদনা সৃষ্টি হয়। এই তারকা চার স্বরগ্রামে, কখনো হালকা, কখনো গভীর গলায় গাইতে পারেন। তার এই বিশেষ দক্ষতার জন্য তাকে তুলনা করা হয় মারিয়া ক্যারির মতো প্রতিষ্ঠিত শিল্পীর সঙ্গে। বয়স মাত্র ২৫ হলেও স্টেজ পারফরম্যান্সে তার অভিজ্ঞতা বারো বছরের।
শিশুদের টিভি সিরিজ ‘ভিক্টোরিয়াসে’ মুখ্য ভূমিকায় ছিলেন আরিয়ানা। আর নিজের ইউটিউব চ্যানেলও চালু করেন অল্প বয়সে। সেই চ্যানেলের সাবসক্রাইবার প্রায় দুই কোটি। আরিয়ানার মধ্যে এক সরল কিন্তু আবেদনময়ী ‘লুক’ খুঁজে পান অনেকে। তাকে প্রায়শই মিনি স্কার্ট এবং ক্রপটপের সঙ্গে লম্বা স্টিফেল পরতে দেখা যায়। তার বদৌলতে এই পোশাক বেশ জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে।

আরিয়ানা এই বয়সেই জয় করেছেন অসংখ্য পুরস্কার। শুধু সংগীতশিল্পী হিসেবেই নয়, মঞ্চে অভিনয় এবং টিভি অভিনয়ের জন্যও তিনি জয় করেছেন অনেক অ্যাওয়ার্ড। বিশ্বের সব প্রান্তেই আরিয়ানার ভক্ত মিলবে। আর তিনি জানেনও কীভাবে লাইমলাইটে থাকতে হয়। নিজের অ্যালবাম ‘মাই এভরিথিং-’এর প্রোমো ট্যুরে গিয়ে তিনি টোকিওর এক শপিংমলে নেচেছিলেন, যা তার জাপানি ভক্তদের হূদয় জয় করেছে।

অন্যদের সঙ্গে পারফরম্যান্স, বিশেষ করে ছয়জন একসঙ্গে নাচার মতো বিষয়াদি বেশ পছন্দ করেন আরিয়ানা। একটি ছবিতে নিকি মিনহাজ এবং আরো কয়েকজন সহশিল্পীর সঙ্গে ‘সাইড টু সাইড’ গানে তাকে পারফর্ম করতে দেখা গেছে। গানটি ইউটিউবে প্রায় ১০০ কোটিবার দেখা হয়েছে।

সোনালীনিউজ/এমটিআই

Wordbridge School
Link copied!