• ঢাকা
  • বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ, ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

চুটিয়ে প্রেম, এরপর ঐশ্বরিয়াকে বিয়ে করেন তামিল নায়ক ধানুশ


বিনোদন ডেস্ক জুলাই ২৯, ২০২১, ০৩:৩৮ পিএম
চুটিয়ে প্রেম, এরপর ঐশ্বরিয়াকে বিয়ে করেন তামিল নায়ক ধানুশ

ঢাকা : তামিল চলচ্চিত্রের অন্যতম সেরা তারকা ধানুশ চারবার জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার পেয়েছেন। ৭টি ফিল্মফেয়ার সাউথ পুরস্কার ও ১৩টি সিমা অ্যাওয়ার্ড লাভ করেছেন। তামিল অভিনেতা ধানুশের কথা। হ্যাংলা-পাতলা যুবক। প্রথম দর্শনে অনেকেই বিস্ময় প্রকাশ করবেন, এই শারীরিক গঠন আর লুক নিয়ে নায়ক হলেন কি করে?

তবে যখনই সিনেমায় তার অভিনয়ে ডুবে যাবেন তখন দর্শক মানতে বাধ্য হবেন কিছু তো একটা আছে এই হিরোর মধ্যে। অভিনয় দক্ষতা দিয়েই ধানুশ তামিল ইন্ডাস্ট্রিতে টিকে আছেন বীরদর্পে। উপহার দিয়েছেন একের পর এক হিট সিনেমা। বলি শাহেনশাহ অমিতাভ বচ্চনও ধানুশের অভিনয়কে, তার ব্যক্তিত্বকে স্যালুট দেন। একসঙ্গে একই সিনেমায় অভিনয়ও করেছেন ধানুশের সঙ্গে।

ধানুশের আরো একটি পরিচয় আছে। তিনি বিয়ে করেছেন ঐশ্বরিয়াকে। নাহ, বলিউড অভিনেত্রী ঐশ্বরিয়া নয়। তিনি তো অমিতাভের পুত্রবধূ। ধানুশ বিয়ে করেছেন দক্ষিণী ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রির অবিসংবাদিত অভিনেতা রজনীকান্তের বড় মেয়ে ঐশ্বরিয়াকে।

চুটিয়ে প্রেম করে রজনীকান্তের বড় মেয়েকে ২০০৪ সালের ১৮ নভেম্বর বিয়ে করেন ধানুশ। ২৮ জুলাই ছিল ধানুশের জন্মদিন। তার বিশেষ এই দিনে ভারতীয় গণমাধ্যমগুলো জানিয়েছে, ঐশ্বরিয়ার সঙ্গে ধানুশের প্রেম ও বিয়ের পেছনের গল্প।

ধানুশের সঙ্গে ঐশ্বরিয়াকে প্রথম পরিচয় করিয়ে দেন বাবা রজনীকান্তই। তবে তামিল সিনেমায় সবেমাত্র পা রেখেছেন ধানুশ।

রজনীকান্তের সঙ্গে ধানুশ, ঐশ্বরিয়া

তার ক্যারিয়ারের দ্বিতীয় সিনেমা ‘কাদাল কোন্দেইন’-এর বিশেষ প্রদর্শনীতে সপরিবারসহ এসেছিলেন রাজনীকান্ত। তখনই সৌজন্যমূলক সাক্ষাৎ হয় ধানুশ ও ঐশ্বরিয়ার।

সিনেমা দেখা শেষে একদিন পর ধানুশকে একটি ফুলের তোড়া পাঠান ঐশ্বরিয়া। সঙ্গে চিরকুটে লেখা ছিল ‘ভালো কাজ’।

এখান থেকেই যোগাযোগটা বেড়ে যায় দুজনের। ধানুশ দেখেন তার বোনের বান্ধবী ঐশ্বরিয়া। যে কারণে দেখা-সাক্ষাৎটা একটু বেশিই হতো দুজনার। সেই গল্প-আড্ডাবাজি দ্রুতই রূপ নেয় প্রেমে। এরইমধ্যে ধানুশের কয়েকটি সিনেমা সুপারহিট হয়। রাতারাতি তারকা বনে যান তিনি। তখনই ধানুশ-ঐশ্বরিয়ার প্রেম প্রকাশ্যে আনেন পাপারাজ্জিরা। এ নিয়ে হইচই পড়ে যায় সাউথ-ইন্ডিয়ান ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রিতে। খবর কানে পৌঁছায় রজনীকান্তের।

খেপে যান তিনি। উল্টোদিকে ক্ষেপে যায় ধানুশের পরিবারও। কারণ ধানুশের চেয়ে ঐশ্বরিয়া দুই বছরের বড়। এটা মেনে নিতে পারছিলেন না ধানুশের পরিবার।

কিন্তু ধানুশ-ঐশ্বরিয়ার প্রেম এতোটাই গভীর ছিল যে, অবশেষে হার মানতেই হয় দুই পরিবারকে। তাই শেষ পর্যন্ত পরিবার তাদের সম্পর্ক মেনেই নেয় এবং ২০০৪ সালে পারিবারিক আয়োজনেই তাদের বিয়ে সম্পন্ন হয়।

তামিল চলচ্চিত্রের অন্যতম সেরা তারকা ধানুশ চারবার জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার পেয়েছেন। ৭টি ফিল্মফেয়ার সাউথ পুরস্কার ও ১৩টি সিমা অ্যাওয়ার্ড লাভ করেছেন। অন্যদিকে তার স্ত্রী ঐশ্বরিয়া একজন নির্মাতা ও গায়িকা।এ দম্পতির যাত্রা ও লিঙ্গা নামে দুই সন্তান রয়েছে।

সোনালীনিউজ/এমএএইচ

Wordbridge School
Link copied!