• ঢাকা
  • বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল, ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

‘একটা চুমুর শব্দের চেয়ে মিষ্টি সঙ্গীত তো আর কিছু হতে পারে না’


বিনোদন ডেস্ক সেপ্টেম্বর ১৩, ২০২১, ০২:৫৫ পিএম
‘একটা চুমুর শব্দের চেয়ে মিষ্টি সঙ্গীত তো আর কিছু হতে পারে না’

ছবি : শিলাজিৎ মজুমদার

ঢাকা : গানের শুরুতে শ্রোতাদের সিট বেল্ট বেঁধে নেওয়ার বার্তা দিয়েছিলেন শিলাজিৎ মজুমদার। কারণ? সর্বনাশ! তাই তো চেয়েছিলেন? গানে যে সর্বনাশা বানের জল আনতে চেয়েছিলেন তিনি, তার সিংহ ভাগ জুড়ে আছে তার গানের সঙ্গীতায়োজন। কুলকুচির শব্দ, পিংপং বলের ড্রপ খাওয়ার শব্দ, কাকের ডাক, চুমুর লেপ্টে থাকা— সবই গানের অংশ হয়ে এসেছে। বার বার। সুরের সঙ্গে মিলে গিয়েছে ‘বেসুর’ শব্দও। ‘অ্যান্টেনা’, ‘যা পাখি’, ‘ঝিন্টি’ তার উদাহরণও বটে। কী থেকে এমন ভাবনার শুরু?

একটি গণমাধ্যমের ফেসবুক লাইভে শিলাজিৎ শব্দ ও নিজের সঙ্গে সঙ্গীতের যোগ নিয়ে কথা বললেছেন। প্রশ্ন ছিল, ‘যা পাখি উড়তে দিলাম তোকে’ গানটি নিয়ে। গানটি শুরু হয় একটি টেলিফোনের বার্তালাপ দিয়ে। তার পরে আসে ফোন কেটে দেওয়ার পরের একটি টোন, যার কাছাকাছি একটি শব্দ শিলাজিৎ ব্যবহার করেছেন ‘ঝিন্টি’ গানটিতেও। তার পরে বাকি শব্দের সঙ্গে একটা পিংপং বল গড়িয়ে যাওয়ার শব্দ হয়। কেন?

শিলাজিৎ বললেন, ‘আমি যখন ভাবছিলাম গান গাইব, তখন থেকেই আমার অন্য রকম হওয়ার ইচ্ছা ছিল। আমি ভাবতাম, আমি অন্য। বেশ কিছু মানুষ পেয়েছিলাম যারা অন্য পথে ভাবেন। সোজা পথে না, একটু অন্য রকম করে ভেবে থাকেন।’ তার পরেই এক দর্শকের তরফ থেকে প্রশ্ন আসে, ‘সঙ্গীতের সংজ্ঞা কী?’ সেই প্রশ্নের জবাবে ‘অন্ধের হস্তি দর্শন’ আর ‘রামকৃষ্ণ কথামৃত’-র প্রসঙ্গ টানেন শিলাজিৎ। তার পরই স্পষ্ট বলেন, ‘কেউ মনে করে যে কোনও শব্দই গান। একটা চুমুর শব্দের থেকে মিষ্টি সঙ্গীত তো আর কিছু হতে পারে না। সেটা তো কোনও সাঙ্গীতিক যন্ত্র নয়। শেক্সপিয়রের কথায় প্রেমিক-প্রেমিকার কথার আদানপ্রদানে যে কথা হয়, সেটাই তো মিউজিক।’

সোনালীনিউজ/এসএন

Wordbridge School
Link copied!