• ঢাকা
  • শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল, ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

বাংলাদেশে নৃত্যচর্চার জনকের প্রয়াণ দিবস আজ


বিনোদন ডেস্ক সেপ্টেম্বর ২১, ২০২১, ০৩:০৪ পিএম
বাংলাদেশে নৃত্যচর্চার জনকের প্রয়াণ দিবস আজ

ছবি : নৃত্যচর্চার জনক গওহর জামিল

ঢাকা : বাংলাদেশের প্রাতিষ্ঠানিক নৃত্যচর্চার জনক, নৃত্যগুরু, নির্দেশক, অভিনেতা ও সংগীতজ্ঞ গওহর জামিল। আজ এই গুণী নৃত্যশিল্পী প্রয়াণ দিবস।

তিনি ১৯২৭ সালে মুন্সীগঞ্জ সিরাজদিখানের বিখ্যাত নাগ পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। তার পারিবারিক নাম ছিল গণেশচন্দ্র নাগ। মাত্র আট বছর বয়সে তিনি বিখ্যাত নৃত্যশিল্পী কালু নায়েরের শিকারির নৃত্য দেখে নৃত্যশিল্পী হওয়ার স্বপ্ন দেখা শুরু করেন। 

এরপর থেকে গওহর জামিলের প্রাতিষ্ঠানিক নাচ শেখা শুরু হয়।  বিভিন্ন শিক্ষকের কাছে নাচে তালিম নেওয়া শুরু করেন তিনি। ১৯৩৫ সাল থেকে ১৯৫৪ সাল পর্যন্ত ভাস্কর দেব, রবি শংকর, উদয় শংকর, বুলবুল চৌধুরীর কাছে  নৃত্য শিখেন জামিল।

তিনি ১৯৫০ সালে সাংস্কৃতিক সংস্থা কলা ভবন ও ১৯৫৯ সালে জাগো আর্ট সেন্টার প্রতিষ্ঠা করেন। তিনি ১৯৫২-তে প্রখ্যাত নৃত্যশিল্পী ও অভিনেত্রী রওশন জামিলকে বিয়ে করেন। এই সময় ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করে গওহর জামিল নাম গ্রহণ করেন।

গওহর জামিল বেশ কয়েকটি নৃত্যনাট্য রচনা করেন। এগুলোর মধ্যে উল্লেখযোগ্য নৃত্যনাট্যগুলো হলো- সামান্য ক্ষতি, আনার কলি, বিচার, কাঞ্চনমালা, ইতিহাসের একটি পাতা, ছিয়াত্তরের মন্বন্তর ইত্যাদি। খণ্ড নৃত্যের মধ্যে জেলে নৃত্য (পলো), সাঁওতাল, গারো, মুরং, গ্রাম্য মেলা, জিপসি, ধোপা, সুখী জোড়া, চা বাগান ও মাতৃস্নেহ উল্লেখযোগ্য।

তিনি নানা সময়ে বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সাংস্কৃতিক উৎসবে বাংলাদেশের প্রতিনিধি হিসেবে যোগদান করেছেন। এ উপলক্ষে তিনি রাশিয়া, চীন, হংকং, মধ্যপ্রাচ্য ও যুক্তরাজ্যসহ পৃথিবীর অনেক দেশে নৃত্য পরিবেশন করে ভূয়সী প্রশংসা অর্জন করেছেন। যুক্তরাষ্ট্র ভ্রমণকালে তিনি সেখানকার বিভিন্ন সংগীত ও নৃত্য প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন করেন। তিনি চলচ্চিত্রের নৃত্য পরিচালক হিসেবেও দারুণ খ্যাতি অর্জন করেন।

এই সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব  ১৯৮০ সালের ২১ সেপ্টেম্বর সড়ক দুর্ঘটনায় মাত্র ৫২ বছর বয়সে মৃত্যুবরণ করেন।

বাংলাদেশ সরকার ১৯৮১ সালে জামিলকে শিল্পকর্মের জন্য  মরণোত্তর একুশে পদকে ভূষিত করেন এবং জাতীয় ডাক বিভাগ ২০০১ সালে তার নামে ডাকটিকিট প্রকাশ করেন। 

সোনালীনিউজ/এসএন

Wordbridge School
Link copied!