• ঢাকা
  • শুক্রবার, ২৯ মার্চ, ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

কৌশলে নাম পাল্টিয়ে ফেলেন শাকিব খান!


সোনালীনিউজ ডেস্ক  সেপ্টেম্বর ৩০, ২০২২, ০৫:৩৭ পিএম
কৌশলে নাম পাল্টিয়ে ফেলেন শাকিব খান!

ঢাকা: ১৯৯৮ সালে নৃত্য পরিচালক আজিজ রেজার আমন্ত্রণে সায়েদাবাদে তার ড্যান্স একাডেমিতে যাবার পর সুদর্শন যে তরুণটি হাত বাড়িয়ে বলেছিলেন ‘আমি মাসুদ রানা’, তিনিই আজকের শাকিব খান!

ঢাকাই সিনেমার সিংহাসনে প্রায় এক যুগেরও বেশি সময় ধরে সাফল্যের সঙ্গে বসে আছেন শাকিব। বছরের ব্যবসা সফল ছবির মধ্যে সবসময় এগিয়ে থাকে তার ছবি। তাকে ভালোবেসে কেউ কেউ ঢালিউড কিং বলে ডাকেন।

১৯৭৯ সালের ২৮ মার্চে তিনি নারায়ণগঞ্জে জন্মগ্রহণ করেন। তবে তার পৈতৃক বাড়ি গোপালগঞ্জের মুকসুদপুর উপজেলার রাঘদী গ্রামে।

শাকিব খানের প্রকৃত নাম মাসুদ রানা। তার বাবা ছিলেন একজন সরকারি চাকরীজীবী। মা গৃহিণী। তারা এক ভাই ও এক বোন। শাকিব খানের ইচ্ছে ছিল ডাক্তার বা ইঞ্জিনিয়ার হওয়ার। মনের অজান্তেই অভিনয়ের প্রতি ঝোঁক চলে আসে তার। এরপর দর্শকের ভালোবাসা, বিনোদনের প্রতি নিজের ভালোলাগা, সবকিছু মিলিয়েই এখন তিনি বেশ আনন্দের সঙ্গে অভিনয় চালিয়ে যাচ্ছেন।

আফতাব খান টুলুর পরিচালনায় শাকিবের প্রথম ছবি ‘সবাইতো সুখী হতে চায়’। ছবিটির শুটিং চলাকালীনই শাকিব খানের সুনাম ছড়িয়ে পড়ে ঢালিউডের পরিচালক-প্রযোজকদের মাঝে। এটা ১৯৯৯ সালের কথা। সিনেমা হলে শাকিব খানের মুক্তিপ্রাপ্ত প্রথম ছবি সোহানুর রহমান সোহান পরিচালিত ‘অনন্ত ভালোবাসা’। ১৯৯৯ সালের ২৮ মে ‘অনন্ত ভালোবাসা’ মুক্তি পায়।

এ ছবিতে তার বিপরীতে অভিনয় করেছিলেন চলচ্চিত্রের জনপ্রিয় অভিনয় শিল্পী মৌসুমীর ছোট বোন ইরিন। কিন্তু এ ছবিটি শাকিবকে নায়ক হিসেবে খ্যাতি এনে দিতে না পারলেও পরবর্তীতে বিভিন্ন ব্যবসাসফল সিনেমার কারণে তিনি দ্রুত সবচেয়ে সফল এবং জনপ্রিয় নায়ক হয়ে ওঠেন।

অভিনয়ের স্বীকৃতি হিসেবে মোট চারবার জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার পেয়েছেন শাকিব খান। ২০১২ সালে ‘ভালোবাসলেই ঘর বাঁধা যায় না’, ২০১৪ সালে ‘খোদার পরে মা’, ২০১৬ সালের ‘আরও ভালোবাসবো তোমায়’ ও ২০১৭ সালে ‘সত্তা’ ছবির জন্য শ্রেষ্ঠ অভিনেতা হিসেবে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার পেয়েছেন তিনি।

ঢালিউডে একচ্ছত্র অধিপতি হিসেবে শাকিবের উত্থানটা ২০০৮ সালের দিকে। তারপর থেকে ঢাকাই ছবির শীর্ষ নায়ক তিনি। তাকে ঘিরেই এখানে টাকা লগ্নি হয়; ব্যবসার বীজ বোনেন প্রযোজক-হল মালিকরা। অনেক নতুন মুখ আসে আবার হারিয়েও যাচ্ছে। কিন্তু শাকিব বহাল তবিয়তে রাজার আসনে বসে আছেন বাংলা ছবির নায়কদের রাজত্বে।

সমসাময়িক প্রায় সব প্রবীণ-নবীন নির্মাতার সাথেই কাজ করেছেন শাকিব। নায়ক হয়েছেন মৌসুমী-শাবনূর থেকে শুরু করে আজকের নবাগতা কয়েকজন নায়িকার সঙ্গেও। তার ক্যারিয়ারে মোট নায়িকার সংখ্যা ৬৪ জন। তালিকায় আছেন রচনা ব্যানার্জি, স্বস্তিকা ব্যানার্জি, নুসরাত জাহান, শুভশ্রী গাঙ্গুলী, সায়ন্তিকা, শ্রাবন্তীর মতো কলকাতার নায়িকারাও।

ক্যারিয়ারজুড়ে অনেক সমালোচনারও জন্ম দিয়েছেন তিনি। দেশের পরিচালক-প্রযোজক ও শিল্পীদের সম্মানহানি করা মন্তব্য করে চলচ্চিত্র পরিবারে বয়কট ছিলেন অনেকদিন। বিবাদে জড়িয়েছেন চিত্রনায়ক ফারুকসহ আরও অনেক সিনিয়র জুনিয়রদের সঙ্গেই।

অনেক প্রযোজকের শিডিউল ফাঁসিয়েছেন। দুই একজন তার প্রতিবাদও করেছেন। কেউ কেউ মামলার হুমকি ধামকিও দিয়েছেন। তবে সবকিছুই শাকিব খান নিয়ন্ত্রণ করেছেন কৌশলে।

সোনালীনিউজ/এম


 

Wordbridge School
Link copied!