• ঢাকা
  • শনিবার, ২০ এপ্রিল, ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১

পেঁয়াজের বীজ উৎপাদন দ্বিগুণ


ঝিনাইদহ প্রতিনিধি এপ্রিল ২, ২০২১, ১২:০৪ পিএম
পেঁয়াজের বীজ উৎপাদন দ্বিগুণ

ঝিনাইদহ : নিজে বীজ উৎপাদন করে উৎপাদন খরচ কমানো এবং পেঁয়াজ বীজ আমদানিকারক ও বাজারজাতকরণ কোম্পানির আধিপত্য কমানোর লক্ষ্যে ঝিনাইদহের কৃষকরা এবার দ্বিগুণের বেশি জমিতে বীজ ফলিয়েছেন, যা তাদের চাহিদার অর্ধেক। এমনটা চলতে থাকলে আগামী কয়েক বছরের মধ্যে তারা পেঁয়াজ বীজে স্বয়ংসম্পন্ন হতে পারবেন।

এতে যেমন প্রচুর বৈদেশিক মুদ্রা বাঁচবে, বীজ কেনার অর্থ সাশ্রয়ী হওয়ায় উৎপাদন খরচও কমে আসবে, এমনটাই আশা কৃষকদের। যদিও কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা বলছেন, কৃষকরা গতবারের ৪০ হেক্টরের পরিবর্তে এবার ৭২ হেক্টরে পেঁয়াজ বীজের চাষ করেছেন। এতে চাহিদার এক তৃতীয়াংশ জমি আবাদ করা যাবে।

জেলার সর্বাধিক পেঁয়াজ উৎপাদনকারী এলাকা শৈলকূপার মনোহরপুর গ্রামের প্রসিদ্ধ পেঁয়াজচাষি নূরুজ্জামান পাপ্পু জানলেন, তিনি এবং তার এলাকার বীজ উৎপাদনকারী কৃষকরা দ্বিগুণের বেশি বীজ উৎপাদন করেছেন। বীজ আমদানিকারক ও বাজারজাতকরণ কোম্পানির যথেচ্ছাচার কমিয়ে উৎপাদন নির্ভরতা কমানো, নিজের বীজ কৃষকের নিজে উৎপাদন করে বীজের খরচ এক-তৃতীয়াংশে নামিয়ে আনার লক্ষ্যে কৃষকদের এমন পণ। আবহাওয়া বেশ অনুকূল হওয়ায় বীজের মান ভালো হয়েছে বলে পাপ্পু জানালেন। মহিষাডাঙ্গার কৃষক অমল বিশ্বাসও একই সুরে কথা বললেন।

কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, গত মৌসুমে জেলায় ৪০ হেক্টরে পেঁয়াজ বীজ উৎপাদন হলেও চলতি মৌসুমে তা ৭২ হেক্টরে হয়েছে। যা দিয়ে এক তৃতীয়াংশ জমিতে আবাদ করা সম্ভব হবে। এবার ঝিনাইদহে ৯,০৫০ হেক্টরে আবাদ লক্ষ্যমাত্রার স্থলে ১০,৪৭২ হেক্টরে পেঁয়াজের আবাদ হয়। এবার ফলনও হয়েছে আশানুরূপ যা কৃষকের জন্য সুুখকর।

ওই অধিদপ্তরের ঝিনাইদহ উপ-পরিচালক আসগর আলী জানান, বছরে তিনবার ধান বা দানাশস্য উৎপাদনের কারণে ফেঁয়াজ আবাদের জমি বাড়ানো না গেলেও কৃষকরা যাতে বেশি ও উন্নতমানের বীজ উপাদন করতে পারেন, সেজন্য প্রযুক্তি সহায়তা দেওয়া হচ্ছে। বিভিন্ন গবেষণা প্রতিষ্ঠানের নতুন ও উন্নতজাতের পেঁয়াজ চাষে সীমিত পরিসরে প্রদর্শনী প্লটের মাধ্যমে কৃষকদের উৎসাহিত করা হচ্ছে। তাছাড়া, বেশি ফলন ও উৎপাদনের কারণে কৃষকদের গ্রীষ্মকালীন পেঁয়াজ চাষেও তারা উদ্বুদ্ধ করছেন।

সোনালীনিউজ/এমটিআই

Wordbridge School
Link copied!