• ঢাকা
  • শনিবার, ২০ এপ্রিল, ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১

হতে চাইলে উদ্যোক্তা


নিউজ ডেস্ক সেপ্টেম্বর ২০, ২০২১, ০৩:১৬ পিএম
হতে চাইলে উদ্যোক্তা

ঢাকা : অনেকেই উদ্যোক্তা হতে চান; কিন্তু কতজনই-বা সফল হতে পারেন। না হওয়ার পেছনের অন্যতম কারণ হিসেবে সঠিক গাইডলাইন, কঠোর পরিশ্রম, ধৈর্য এবং অধ্যবসায়ের অভাবকে চিহ্নিত করা যেতে পারে। কারণ বর্তমান সময়ের প্রতিযোগিতার বাজারে নিজের প্রতিষ্ঠানকে টিকিয়ে রাখাটা কঠিন ও কষ্টকর। তবে আপনি যদি নিজের লক্ষ্য অর্জনে হাঁটতে চান কিংবা নিজেকে সফল উদ্যোক্তার কাতারে রাখতেই চান, তাহলে কিছু বিষয়াদি মেনে চললে, পথটা কিছুটা সহজ হয়ে যেতে পারে।

বই-পুস্তকের জ্ঞানের থেকেও বেশি গুরুত্বপূর্ণ ব্যবহারিক জ্ঞান। সফল উদ্যোক্তা হতে হলে কি করবেন? এই প্রশ্নের উত্তর কেউই দিতে পারবে না। কারণ বাস্তবতা রূঢ় সত্য। বাস্তবতার সামনে বই-পুস্তকের জ্ঞান বা নিয়মনীতি একটা পর্যায়ে ফসকে পেছনে পরে যায়। তবে আপনি যদি কারো অধীনে না থাকতে চান। কিংবা নিজেই নিজের বস হতে চান, নিজের লক্ষ্যে অর্জনে হাঁটতে চান। নিজেকে একজন সফল উদ্যোক্তার তালিকায় রাখতেই, তাহলে কিছু বিষয়াদি মেনে চললে পথটা কিছুটা সহজ হয়ে যেতে পারে। অনেকেই উদ্যোক্তা হতে চান; কিন্তু কতজনই-বা সফল হতে পারেন সেই প্রশ্ন থেকেই যায়। না হওয়ার পেছনের অন্যতম কারণ হিসেবে সঠিক গাইডলাইন, কঠোর পরিশ্রম, ধৈর্য এবং অধ্যবসায়ের অভাবকে চিহ্নিত করা যেতে পারে। কারণ বর্তমান সময়ের প্রতিযোগিতার বাজারে নিজের প্রতিষ্ঠানকে টিকিয়ে রাখাটা কঠিন ও কষ্টকর।

লাভজনক ব্যবসা নির্বাচন করা : শুরুতে বা প্রথমেই একটি লাভজনক ব্যবসা বা বাজার ধরার মতো একটি ব্যবসা নির্বাচন করতে হবে। এটি নিজেই ক্রেতা ও বাজার বিশ্লেষণ করার মাধ্যমে করতে হবে। এ ছাড়া নির্বাচনের ক্ষেত্রে প্রাধান্য দিতে পারেন-কোন ব্যবসাটি আপনার জন্য পারফেক্ট, কোনটি নিয়ে সামনের দিকে এগিয়ে যেতে পারবেন ইত্যাদি। অমুক এই ব্যবসাটি করে সফল হয়েছে তাই আপনিও সফল হবেন, এমন ধারণা কখনো করবেন না। কারণ সফলতার সংজ্ঞা ব্যক্তিভেদে ভিন্নতাও হতে পারে। মোটকথা নিজের ইচ্ছা, আগ্রহ এবং জানাশোনা আছে এমন ব্যবসা নির্বাচন করুন।

পরিকল্পনা করা : সফল ব্যবসায়ী হওয়ার অন্যতম একটি কারণ ব্যবসায়িক পরিকল্পনা। কারণ এটি একটি আনুষ্ঠানিক দলিল। ব্যবসা পরিকল্পনার সময় ব্যবসার লক্ষ্যগুলো কী কী, লক্ষ্য অর্জনের জন্য কী কী পদক্ষেপ নেবেন, আর্থিক সামর্থ্য, বাজেট, প্রতিষ্ঠানের মিশন ইত্যাদি বিষয়গুলো মাথায় রাখতে পারেন। শুরুতেই প্রতিষ্ঠান নিয়ে স্বল্পমেয়াদি এবং দীর্ঘমেয়াদি দুই পরিকল্পনাই করুন।

ফোকাস যে-কোনো একদিকে : যে-কোনো একটি বিভাগ বা ক্যাটাগরির দিকে নজর দিন। প্রথমেই একাধিক ব্যবসা শুরু করার দিকে মনোযোগ দেবেন না। কারণ একসাথে একাধিক ব্যবসা নিয়ে বাজারে নামলে সফল হওয়াটা কঠিন হয়ে যায়। তার চেয়ে ভালো একটি নিয়ে সফল হওয়ার পর ক্রমান্বয়ে নতুন নতুন ব্যবসা যুক্ত করতে পারেন। কারণ একবার কোনো ব্যবসায় সফল হতে পারলে, তারপরের যে-কোনো ব্যবসায় হাত দিলেই দেখবেন সফলতা ধরা দিচ্ছে।

নতুনত্ব বা ইউনিক কিছু মার্কেটে আনা : মার্কেটে যা আছে সেটিকে পুঁজি করেই এর থেকে ভালো কিছু তৈরি করুন। আপনাকে নতুন কিছু আবিষ্কার করতে হবে বিষয়টা এমন নয়। বাজারে যা আছে তা সাথে নিয়ে, এর সাথে কিছু নতুনত্ব যুক্ত করে বাজারে আনতে পারেন। মনে রাখবেন, উদ্যোক্তা এবং ব্যবসায়ীর মধ্যে পার্থক্য রয়েছে। যেমন-একটি তরমুজের দাম ১০০ টাকা। আর ১ গ্লাস তরমুজের জুসের দাম প্রায় ৮০ টাকা। আপনি একটা তরমুজ থেকে কমপক্ষে ৬ গ্লাস জুস অনায়াসে তৈরি করতে পারবেন। এখানে আপনার কত টাকা লাভ হচ্ছে নিজেই হিসাব করে নিন। এখানে পণ্য একটাই, আপনি শুধু একটু ভিন্নভাবে পরিবেশন করবেন।

সঠিক মূল্য নির্বাচন করা : আপনার ব্যবসা বা পণ্যটি এমনভাবে মানুষের কাছে তুলে ধরুন যেন তা সর্বস্তরের মানুষের নাগালের মধ্যে থাকে। যেটি বাজারে ছাড়বেন যদি সেই পণ্যটি বা সেবাটি শুধু উচ্চবিত্তদের জন্য হয় তাহলে সেটি ব্যবসার জন্য ক্ষতিকর। সকল স্তরের গ্রাহকদের কথা মাথায় রেখেই পণ্য বাজারে আনতে হবে এবং দাম নির্ধারণ করতে হবে।

পণ্য বা সেবার মান ঠিক রাখা : যে পণ্য বা সেবার মাধ্যমে ব্যবসাটি শুরু করতে চাচ্ছেন, সেই পণ্যটি অবশ্যই গুণগত মানসম্মত রাখতে হবে। মনে রাখবেন, গ্রাহক আপনার কোম্পানিকে মনে রাখবে পণ্যের মাধ্যমে। পণ্যের মাধ্যমে গ্রাহকদের মনে জায়গা করে নিতে হবে। শুধু ভালো পণ্য বিক্রি করেই নিজেকে দায়মুক্ত ভাবলে চলবে না, বিক্রি পরবর্তী সেবাগুলোও আপনাকে ভালো করে খেয়াল রাখতে হবে।

টিম ওয়ার্ক : সবকিছু একা করতে গেলে, একটা সময় দেখা যাবে কোনো কিছুই সঠিকভাবে করা হচ্ছে না। সেজন্য টিম বা গ্রুপে কাজ করা, সফল উদ্যোক্তার মূলমন্ত্রের একটি। একজন সফল উদ্যোক্তা তার কাজ করার সময় কখনো এটা বলে না যে, আমি কীভাবে কাজটি করতে পারি। বরং বলে কীভাবে কাজটি সবচেয়ে ভালোভাবে হতে পারে। একজন সফল উদ্যোক্তা তার পণ্য বা সেবাটি বাজারে ছাড়ার সময় মার্কেটিং, বাজেটিং, ইঞ্জিনিয়ারিং, প্রডাকশন সবকিছু একজনের ওপর দায়িত্ব না দিয়ে আাালাদা আলাদা মানুষের কাছে দায়িত্ব ভাগ করে দিয়ে থাকেন। এতে কাজ দ্রুত এবং সুন্দর হয়।

স্বাস্থ্যের দিকে নজর :  যদি সূর্য ওঠার আগে ঘুম থেকে ওঠেন তাহলে আপনি সফলতার শিখরে আরোহণ করতে পারবেন। সকালে ঘুম থেকে উঠে মহান স্রষ্টার নিকট প্রার্থনা করুন। প্রায় সকল সফল উদ্যোক্তার কয়েকটা কমন গুণের মধ্যে খুব সকালে ঘুম থেকে ওঠা একটি। তারপর ১০ মিনিটের জন্যে রিলেক্স করুন। আপনি যদি প্রতিদিন মাত্র ১০ মিনিট এটি করতে পারেন তাহলে দেখবেন প্রতিটি কাজে আপনার মনোযোগ আগের থেকে অনেক গুণ বেড়ে যাচ্ছে। তারপর কিছুক্ষণ ব্যায়াম করুন অথবা হাঁটুন। সকালের কিছুক্ষণ ব্যায়াম আপনাকে সারাদিন রিফ্রেশ রাখবে, কাজ করতে আরো শক্তি জোগাবে। সকালের খাবারের তালিকায় পুষ্টিকর খাবার রাখুন।

সোনালীনিউজ/এমটিআই

Wordbridge School
Link copied!