• ঢাকা
  • শুক্রবার, ২৯ মার্চ, ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

বউ চুরির উৎসব


ফিচার ডেস্ক সেপ্টেম্বর ২০, ২০২১, ০৬:৪৭ পিএম

ঢাকা : পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে পালিত হয় অদ্ভুতসব রীতিনীতির উৎসব। যার অনেক কিছুই আমাদের কাছে একেবারেই স্বাভাবিক আবার অনেক কিছু অস্বাভাবিক। তবুও নিজেদের সংস্কৃতি ও প্রথাগুলো ঘটা করে পালন করে তারা। 

আফ্রিকার দেশগুলোর উপজাতিদের ভেতর রয়েছে তাদের উদ্ভটসব রীতিনীতি পালনের সংস্কৃতি। এই যেমন ‘বউ চুরির উৎসব’। খানিকটা অবাক হলেও সত্যি এই চুরির কোনো শাস্তি নেই। আফ্রিকার নাইজারের যাযাবর উপজাতি ওডাআবে এই উৎসব পালন করা হয়। 

এই প্রতিযোগিতায় পুরুষরা নারীদেরকে আকৃষ্ট করার চেষ্টা করেন। উৎসবের মাধ্যমে নারী-পুরুষরা একে অন্যের পছন্দসই জীবনসঙ্গী নির্বাচন করেন এবং তারা আগের সম্পর্ক ভেঙে নতুন জীবন গড়ার স্বপ্ন দেখেন। 

মেয়েরা বিয়ের আগে যার সঙ্গে ইচ্ছে সম্পর্কে যেতে পারেন। এসব বিষয় তাদের কাছে খুবই স্বাভাবিক ও বৈধ। আবার বিয়ের পরও তারা যত খুশি স্বামী রাখতে পারেন। এই উপজাতির নারী ও পুরুষ তাদের শারীরিক সৌন্দর্য নিয়ে গর্ববোধ করে।

এই উৎসবের কয়েকমাস আগে থেকেই পুরুষরা প্রতিযোগিতার জন্য নিজেদের তৈরি করা শুরু করে। ওডাআবে পুরুষদের ধারণা, তাদের সৌন্দর্য লুকিয়ে থাকে চোখের ধবধবে সাদাভাব, লম্বা নাক ও ঝকঝকে সাদা দাঁতে। তাই রূপচর্চার জন্য সঙ্গে আয়না রাখতে ভুলেন না তারা।

বউ চুরি প্রতিযোগিতা শুরু হওয়ার প্রায় ৬ ঘণ্টা আগ থেকে সাজগোজ করেন পুরুষরা। মুখে মাখেন লাল মাটি, চোখে লাগান কাজল, ঠোঁটে দেন লাল লিপস্টিক। একইসঙ্গে নাকে সাদা বা হলুদ রেখা টানেন, আবার মাথার চুলে বিনুনি করে পুঁতি ও কড়ি লাগান। মাথায় পড়েন উটপাখির পালক।

এই প্রতিযোগিতায় বিচারক হন এই উপজাতির সেরা তিনজন বিবাহিত নারী। তারাই সেরা পুরুষদেরকে বেছে নেন। আর বাছাইয়ের পর সেরা পুরুষরা তাদের পছন্দসই নারীকে বেছে নিতে পারেন। 

এই প্রতিযোগিতার পরেই শুরু হয় বউ চুরি উৎসব। নৃত্য প্রতিযোগিতা চলাকালীন পুরুষরা নাচের মাধ্যমে নারীদেরকে আকৃষ্ট করার চেষ্টা করেন। অনেক নারীই তাদেরকে সঙ্গী হিসেবে পেতে চান। তবে নৃত্যরত পুরুষ যাকে চান তাকে তিনি পরে খুঁজে নেন।

প্রতিযোগিতা শেষে, ওই নারীকে  ভিড়ের মধ্যে খুঁজে, সুযোগ তার কাঁধে টোকা দেন। সেই ডাকে সাড়া দেয় নারীও। এরপর পরস্ত্রীকে নিয়ে পালিয়ে যান ওই পুরুষ। বউ চুরি করে ধরা না পড়লে ওই নারীর সমাজ স্বীকৃত দ্বিতীয় স্বামী হয়ে যান পুরুষটি।

এদিকে ওই নারীর সংসারে রেখে যাওয়া সন্তানদের লালন-পালনের দায়িত্ব নেয় তার পরিবার। এই উৎসবটি তাদের কাছে খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এজন্য প্রতিবছরের সেপ্টেম্বর মাস নিয়ে তাদের জল্পনা কল্পনা থাকে তুঙ্গে।

সোনালীনিউজ/এসএন

Wordbridge School
Link copied!