• ঢাকা
  • বুধবার, ২৪ এপ্রিল, ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১

ড্রাগন চাষে ভাগ্যবদল


আত্রাই (নওগাঁ) প্রতিনিধি অক্টোবর ৬, ২০২১, ০৩:৩২ পিএম
ড্রাগন চাষে ভাগ্যবদল

নওগাঁ : শখের বশে ড্রাগন চাষ করে স্বাবলম্বী হয়েছেন উপজেলার মোল্লাপাড়া গ্রামের আব্দুল মান্নান মুন্টু। তার সফলতা দেখে প্রতিবেশীরাও ঝুঁকছেন ড্রাগন চাষে। বিদেশি ফল হওয়ায় উৎসাহ নিয়ে প্রতিদিন লোক দেখতে আসেন।

জানা গেছে, বাড়ির আঙিনায় ১৫টি বিদেশি ড্রাগন ফলের সারিসারি সবুজ গাছ। সবুজ গাছে শোভা পাচ্ছে লাল গোলাপি ফল। বাগানে প্রতিনিয়ত পরিচর্যায় ব্যস্ত সময় পার করছেন মান্নান। ড্রাগনের পাশাপাশি কলা, লিচু, পেয়ারা, লেবু ও পেঁপের গাছ রয়েছে।

মান্নান বলেন, কয়েক বছর আগে কৃষক উদ্ধুদ্ধকরণ প্রশিক্ষণ ট্যুরে নাটোর যাই। সেখানে কামরুজ্জামান নামে এক ব্যক্তির বাগান দেখে উদ্ধুদ্ধ হই। পরে নওগাঁর বদলগাছীতে হটিকালচার সেন্টার থেকে চারা এনে বাড়ির আঙিনায় রোপণ করি। মাত্র ছয় মাসেই গাছে ফল আসায় আমি অবাক হয়ে যাই। যত্ন নিতে থাকি গাছগুলোর। আমার ১৫টির মতো গাছ রয়েছে। প্রত্যেক গাছ ১২-১৫ কেজি ফল হয়। ফল সারে ৩শ থেকে ৪শ টাকায় বিক্রি করেছি। এছাড়া ড্রাগন গাছের কাটিং দিয়ে চারা তৈরি করে বিক্রি করে ভালো আয় হচ্ছে।

প্রতিবেশী খলিল বলেন, মান্নানের বাড়ির উঠানে ড্রাগন চাষ দেখে অবাক হয়েছি। ফলন ও দাম অনুযায়ী অন্য ফসলের তুলনায় এর চাষ লাভজনক।

উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা কেরামত আলী বলেন, চারা লাগানোর এক বছরের মধ্যে ফল আসতে শুরু করে। পুষ্টিগুণ, আকার-আকৃতি ও দামের কারণে বাজারে এ ফলের ব্যাপক চাহিদা রয়েছে। ক্যাকটাস জাতীয় গাছ হওয়ায় রোগবালাইও কম। তাই সহজে এ ফল চাষ করা যায়।

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কেএম কাওছার হোসেন বলেন, ড্রাগন একটি বিদেশি ও জনপ্রিয় ফল। পুষ্টিগুণ, আকার-আকৃতি ও দামের কারণে বাংলাদেশসহ বিশ্ব বাজারে এই ফলের ব্যাপক চাহিদা রয়েছে। এ ফলের বাগান সমপ্রসারণে কৃষি বিভাগ কাজ করে যাচ্ছে।

সোনালীনিউজ/এমটিআই

Wordbridge School
Link copied!