• ঢাকা
  • শুক্রবার, ২৯ মার্চ, ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

সাফারি পার্কে পাখি কলোনি


শ্রীপুর (গাজীপুর) প্রতিনিধি অক্টোবর ২৬, ২০২১, ০১:৩১ পিএম
সাফারি পার্কে পাখি কলোনি

গাজীপুর : শরতের প্রস্থানের পরই হেমন্ত তার রূপ ঢেলে দিয়েছে প্রকৃতিতে। দুপুরের পর বিকেলে স্বর্ণোজ্জ্বল রৌদ্রের আলোর সঙ্গে দর্শনার্থীদের কোলাহল নেমে আসতেই শ্রীপুরের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব সাফারি পার্কে শুরু হয় সুনসান নিস্তব্ধতা। সেই নিস্তব্ধতা ভেঙে পার্কটির কুমির বেষ্টনীর পাশের গাছগুলোতে শুরু পাখির কোলাহল। ঝাঁকে ঝাঁকে উড়ে আসে বিভিন্ন জাতের পাখি। এ যেন এক পাখির স্বর্গরাজ্য।

সাফারি পার্ক কর্তৃপক্ষ জানায়, সম্পূর্ণ প্রাকৃতিক পরিবেশে গড়ে তোলা হয়েছে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব সাফারি পার্ক। পার্কটি প্রতিষ্ঠার পর থেকেই ভ্রমণ প্রিয় ও প্রকৃতি প্রিয় মানুষের কাছে অন্যতম বিনোদন কেন্দ্রে পরিণত হয়েছে।

দেশের নানা বিলুপ্ত, বিপন্ন উদ্ভিদের ভিড়ের জায়গা হয়েছে জিরাফ, জেব্রাসহ দেশ-বিদেশি নানা ধরনের প্রাণী। এর পাশাপাশি প্রাকৃতিকভাবেই পার্কেই গড়ে উঠেছে পাখি কলোনি। পাখিদের নিরাপদ পরিবেশ, প্রাকৃতিকভাবে আহারের ব্যবস্থা, প্রজনন ক্ষেত্র, তৈরি হওয়ায় পাখিরা আসছে।

পার্কের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা তবিবুর রহমান বলেন, বাইরের পরিবেশ পাখিরা নিরাপদ মনে করছে না, সেখানে পাখি শিকারিসহ নানা পেশার মানুষ পাখিদের বিরক্ত করছে।

পার্কের কুমির বেষ্টনী ঘিরে তৈরি হয়েছে পাখি কলোনি, পাখিদের জীবন ও জীবিকার উপযোগী পরিবেশ তৈরি করে দেওয়ায় এখানে পাখিরা আসছে। এখানে তাদের কেউ বিরক্ত করছে না। আহারের ব্যবস্থা স্বরূপ পার্কের বিভিন্ন লেকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে মাছ, পাশাপাশি পার্কে রোপণ করা হয়েছে বিভিন্ন প্রজাতিক গাছ।

তিনি বলেন, পার্কে নানা জাতের রংবেরঙের হাজারো দেশি-বিদেশি পাখির মেলা বসে। সকালে খাবারের উদ্দেশ্যে তারা দূরদূরান্তে চলে যায়; দিন শেষে ভরপেটে তাদের যেমন চিৎকার চেঁচামেচিতে পার্কটির পরিবেশ ভারী করে।

এসব পাখির মধ্যে রয়েছে- আবাবিল, মুনিয়া, টিয়া, খঞ্জনা, সাদা খঞ্জনা, কালো খঞ্জনা, পানকৌড়ি, কাঠশালিক, ইন্ডিয়ান পন্ড হিরণ, বিভিন্ন জাতের ঘুঘু, চাইন পন্ড হিরণ, ভাতশালিক, ঝুটি শালিক, বক, বিভিন্ন প্রজাতির মাছরাঙা, হট্টিটি, হরিয়াল ও নীলকণ্ঠি।

সোনালীনিউজ/এমটিআই

Wordbridge School
Link copied!