নীলফামারী: নীলফামারী সদর উপজেলার টুপামারী ইউনিয়নের কিসামত দোগাছি গ্রামের জসীম উদ্দিন দীর্ঘ পয়ত্রিশ বছর ধরে অন্যের জমি বর্গা নিয়ে নেপিয়ার জাতের ঘাস চাষ করেন। প্রতিদিন ক্ষেতের ঘাস কেটে ভ্যান করে বিভিন্ন হাট-বাজার, গ্রাম গঞ্জে বিক্রি করে থাকেন। ঘাস বিক্রির টাকায় সংসার চালানোর পাশাপাশি ছেলে মেয়েদের পড়ালেখার খরচ যোগাচ্ছেন তিনি।
জসীম উদ্দিন বলেন তার বসবাস করার ভিটেমাটি টুকুও নেই। পাঁচ বিঘা অন্যের জমি বর্গা নিয়ে এককোনায় বাড়ী করে থাকি আর বাকী অংশে নেপিয়ার জাতের গরুর খাবার ঘাস চাষ করি। আমার তিন ছেলে ও এক মেয়ে। বড় ছেলে আল আমিন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশুনা করেন ও মেজো ছেলে কায়কোবাদ আলী যশোর পলিটেকনিক্যাল কলেজে পড়েন। ছোট ছেলে আল লাফিস তৃতীয় শ্রেণীতে ও পাঁচ বছর বয়সের মেয়ে ফাতেমা আক্তার প্রথম শ্রেণীতে পড়ালেখা করেন। প্রতিদিন ঘাস কেটে ভ্যানে করে ঘুরে ঘুরে হাট বাজার গ্রাম গঞ্জে বিক্রি করি। ঘাস বিক্রির উপার্জন থেকে চার সন্তানের পড়াশুনার খরচ ও জীবিকা নির্বাহ করে আসছি।
প্রতিবেশী সমছের আলী, আব্দুল হামিদ, লোকমান হোসেনসহ অনেককে জানায় জসীম উদ্দীনের একমাত্র পেশা ঘাস চাষ করা। ঘাস চাষ ও বিক্রি করে ছেলেকে বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াচ্ছেন তিনি।
সদর উপজেলার টুপামারী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মছিরত আলী শাহ ফকির বলেন, জসীম উদ্দিন অন্যের জমি বর্গা নিয়ে সারা বছর (গো খাদ্যের) ঘাস চাষ করেন। সেই ঘাস কেটে আঁটি বেঁধে, ভ্যান যোগে প্রতিদিন হাট বাজার গ্রাম গঞ্জে ঘুরে ঘুরে বিক্রি করেন। ঘাস বিক্রি করে ছেলে মেয়েদের পড়ালেখার খরচ ও সংসার চালান তিনি।
সোনালীনিউজ/এগো/এসআই
আপনার মতামত লিখুন :