নেত্রকোণা: নেত্রকোনার পূর্বধলায় জারিয়া ইউনিয়নের নোয়াগাঁও গ্রামের পাল্লা বিল সুইজগেট হয়ে কংস নদীর সাথে যোগস্থল এখন পাখির রাজ্য হিসেবে পরিচিত হয়ে উঠেছে। এলাকায় বাঁশের ঝাড়ে এবং বড় বড় গাছে দেশি ও অতিথি পাখির সমারোহে এই গ্রামের মানচিত্র হয়ে উঠেছে অপূর্ব দৃষ্টিনন্দন। ভোর থেকেই শুরু হয় পাখিদের কোলাহল-কলরব, ডানা মেলে অবাধ বিচরণ, ঝাঁকে-ঝাঁকে উড়া-উড়ি। এতে যেমন মন কাড়ছে তেমন দৃষ্টি কাড়ছে সবার। অতিথি পাখির কলতানে মুখরিত হয়ে উঠেছে এলাকা।
উত্তরের হাওয়া বয়েছে ঝিরঝির, ঠোঁটে মুখে ধরেছে টান, চুপিচুপি এসে মিটিমিটি হাসে এসেছে বাংলায়। বাংলার আকাশে উড়ছে ঝাঁকে ঝাঁকে অতিথি পাখির দল দেখা চোখে অতি অপরূপ মনোহর, কত প্রজাতির শত শত অতিথি পাখি এসে পড়িল কাননে । কত নাম নিশাচর হেরন,ডুবুরি,বুনো হাঁস, ছোট সারস,খয়রা কাস্তেচরা, কুলি পাখি; কেহ সাদা,কেহ কালা,কেহ সাদা কালা আবার কেহ কালা-সাদা ঘিয়ে, কেহ সাদা-কালা-বাদামী, কেহ ধূসর নীল রঙের যেন মনে হয় বাহারি রঙের অরণ্য; মানুষের নেত্র জুড়ায় চিত্ত ভুলায় বিচিত্র কলরবে মুখরিত।
ভিলের চরে ঝাঁকে ঝাঁকে অতিথি পাখি আগমনে, সকাল সন্ধ্যায় পাখির কলহল সত্যি মন খারা মতন এক অপূর্ব দৃশ্য। দিনের আলোতে বিল জুড়ে দলবদ্ধ অতিথি পাখির বিচরণে মুগ্ধ করবে যেকোনো মানুষকে। এসব পাখিরা ক্ষেতের ক্ষতিকর পোকা-মাকড় ও শামুক খেয়ে জীবনধারণ করে এবং তাদের নিঃসরণকৃত বৃষ্টায় জমির উর্বর শক্তি বৃদ্ধি পায়। এতে খেতে ফসলের ফলন বাড়ে। কৃষকরা উপকৃত হয়।
সোনালীনিউজ/এমএস/এসআই
আপনার মতামত লিখুন :