• ঢাকা
  • শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল, ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

প্রযুক্তিগত উৎকর্ষে সমৃদ্ধ হোক বাংলা ভাষা


নিজস্ব প্রতিবেদক ফেব্রুয়ারি ২২, ২০১৬, ০২:১৬ পিএম
প্রযুক্তিগত উৎকর্ষে সমৃদ্ধ হোক বাংলা ভাষা

আবু সাঈদ খান

বাংলা ভাষাকে বিশ্বের দরবারে ঠাঁই দিতে হলে প্রযুক্তিগতভাবে বাংলা ভাষার ব্যবহার বাড়ানোর কোনো বিকল্প নেই। তবে তা হতে হবে পরিকল্পিত। কম্পিউটারে ইংরেজি টাইপে দুনিয়ার সর্বত্রই অভিন্ন কিবোর্ড অনুসৃত হতে পারছে অথচ বাংলার ক্ষেত্রে বিভিন্ন ফন্টের জন্য ভিন্ন ভিন্ন কিবোর্ডের নৈরাজ্য তৈরি হয়েছে। এর প্রতিবিধান কি কঠিন?
বহু জনগোষ্ঠী হারিয়ে ফেলেছে নিজস্ব ভাষা। ঔপনিবেশিক শক্তির দ্বারা পরাভূত হয়ে তারা আজ শাসকের ভাষায় কথা বলে। কিন্তু ভাষা প্রশ্নে আমরা গর্বিত পরম্পরার অংশীদার, আমরা মাতৃভাষা বাংলায় প্রাণ খুলে কথা বলি, গান গাই, সাহিত্য-রাজনীতি-অর্থনীতি চর্চা করি। বাংলা আজ বাংলাদেশের রাষ্ট্রভাষা হিসেবে স্বীকৃত।

কারও অজানা নয় যে, ভাষার অধিকার কেড়ে নেওয়ার ষড়যন্ত্র হয়েছিল পাকিস্তানি শাসনামলে। সেই ষড়যন্ত্রের জাল ছিন্ন করে ১৯৫২-এর ফেব্রুয়ারিতে রক্তাক্ত আন্দোলনের মধ্য দিয়ে আমরা বাংলাকে তৎকালীন পাকিস্তানের অন্যতম রাষ্ট্রভাষা হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করেছিলাম। ভাষা আন্দোলনের চেতনায় প্রায় বিস্তৃত বাঙালি জাতির নবউত্থান ঘটে। সে পথেই লড়াকু জনগণ জাতীয়তাবাদী চেতনায় সজ্জিত হয়ে ধাপে ধাপে এগিয়ে গিয়ে ছিনিয়ে এনেছে বাংলাদেশের স্বাধীনতা। আমাদের জন্য স্বস্তির বিষয় হলো- বাঙালি জাতীয়তাবাদী চেতনায় স্বাধীনতা সংগ্রাম শুরু হলেও ১৯৭১-এর মুক্তিযুদ্ধে শরিক কেবল বাঙালি নয়- চাকমা, মারমা, ত্রিপুরা, সাঁওতাল, গারো, খাসিয়া, মণিপুরিসহ বিভিন্ন ভাষাভাষী মানুষও। এবং স্বাধীন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার মধ্য দিয়ে এ দেশের ভিন্ন জাতিগুলোর সঙ্গে আমরা একই সমাজে পারস্পরিক শ্রদ্ধাবোধের সঙ্গে বাস করছি। কখনও রাষ্ট্র বা সরকার সংকীর্ণতার পরিচয় দিলেও সাধারণ্যে এই সহাবস্থানের প্রশ্নে কোনো দ্বিধা ছিল না।
বায়ান্নর ভাষা আন্দোলন বাঙালির মাতৃভাষার মর্যাদার কথা বলেছে, অন্যদের মাতৃভাষার প্রতি সম্মান দেখিয়েছে। এটি উর্দুর বিরুদ্ধে আন্দোলন ছিল না; দাবি করা হয়েছিল উর্দুর পাশাপাশি বাংলাকেও পাকিস্তানের অন্যতম রাষ্ট্রভাষার স্বীকৃতি দিতে হবে। এই মূল্যবোধের কারণেই ভাষা আন্দোলন কেবল আমাদের নয়, বিশ্বের সব মানুষের মাতৃভাষার মর্যাদা রক্ষার প্রতীকে পরিণত। এ উপলব্ধি থেকেই জাতিসংঘের ইউনেস্কো দিনটিকে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস ঘোষণা করেছে।

ভাষা আন্দোলনের পথ ধরে স্বাধীনতা এবং বায়ান্নর শহীদ দিবস আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস হিসেবে ঘোষিত হওয়াই আজ শেষ কথা নয়। বাংলাকে আজ জাতিসংঘের অন্যতম দাফতরিক ভাষা হিসেবে গ্রহণ করার প্রস্তাবও উত্থাপিত হয়েছে। এ ব্যাপারে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের সমর্থন মিলছে। আশা করা যায়, একদিন ইংরেজি, ফরাসি, স্প্যানিশ, রুশ, চীনা ও আরবির পাশাপাশি বাংলাও জাতিসংঘের দাফতরিক ভাষার মর্যাদা লাভ করবে। হিন্দিকে জাতিসংঘের দাফতরিক ভাষা করার প্রস্তাব করা হয়েছে, তবে ভারতের তামিলসহ অন্য ভাষাভাষীদের মধ্য থেকে তার বিরোধিতা আছে। সে দেশের অন্যান্য ভাষার মানুষ মনে করে, হিন্দি জাতিসংঘের দাফতরিক ভাষা হলে অন্য ভাষাগুলোর ওপর হিন্দির আধিপত্য আরও প্রকট হবে। উর্দুর ক্ষেত্রেও এমন সমস্যা আছে; পাকিস্তানের পাঞ্জাবি, বেলুচরা উর্দুর আধিপত্যের বিরুদ্ধে কথা বলছে। বাংলাদেশের ক্ষেত্রে সে সমস্যা নেই। তদুপরি বাংলা পৃথিবীর পঞ্চম বৃহত্তম ভাষা। বিশ্বের প্রায় ৩৫ কোটি নরনারী এই ভাষায় কথা বলে।

প্রশ্ন উঠতে পারে, আন্তর্জাতিক মানদণ্ডে বাংলা ভাষার অবস্থান কোথায়। বাংলা সমৃদ্ধ ভাষা। বাংলা ভাষার বিপুল শব্দভাণ্ডার রয়েছে। ভাষাটির রয়েছে অন্য ভাষা থেকে শব্দরাশি গ্রহণ করার অপূর্ব ক্ষমতা। প্রাকৃতজনের মুখের এই ভাষা অগণিত সংস্কৃত, ফার্সি, আরবি, তুর্কি, পর্তুগিজ, ইংরেজি শব্দ গ্রহণ করে গভীরতা ও বৈচিত্র্য বাড়িয়ে তুলেছে। অষ্টাদশ শতকে বিদ্যাসাগরের হাতে এই ভাষা আধুনিক রূপ পেয়েছে, রামমোহন-মাইকেল-রবীন্দ্র-নজরুল-জীবনানন্দের হাতে ঐশ্বর্যমন্ডিত হয়েছে। বাংলা ভাষায় প্রতি বছর প্রবীণ-নবীন লেখকদের অসংখ্য বই প্রকাশিত হচ্ছে। এ সত্ত্বেও বাংলা ভাষা আদালতের ভাষা কিংবা বিজ্ঞান-প্রযুক্তির পূর্ণাঙ্গ বাহনে পরিণত হতে পেরেছে- এমনটা দাবি করা যায় না।

এটি অস্বীকার করা যাবে না যে, বাংলা ভাষা আদালতের ভাষা বা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির ভাষায় পরিণত করার জন্য যে উদ্যোগ, যে ধরনের ভাষাপ্রযুক্তির উদ্ভাবন ও গবেষণা দরকার ছিল, তা অনেকাংশেই অনুপস্থিত। যেমন ইংরেজিতে শব্দভান্ডার সমৃদ্ধ করার জন্য যুতসই শব্দ উদ্ভাবন ও বিদেশি শব্দ গ্রহণের প্রাতিষ্ঠানিক যে প্রক্রিয়া রয়েছে, বাংলা ভাষায় সেটি নেই। অক্সফোর্ড অভিধানের প্রতিটি সংস্করণেই ইংরেজি শব্দভাণ্ডারে বিভিন্ন ভাষার নতুন নতুন শব্দকে বরণ করে নেওয়া হচ্ছে। এখন ইংরেজি অভিধানে শব্দের সংখ্যা প্রায় ৭ লাখ।

ঢাকা ও কলকাতা থেকে প্রকাশিত কোনো অভিধানেই ৭০-৮০ হাজার শব্দের বেশি নেই। তার চেয়ে বড় কথা, বাংলা ভাষায় একাডেমিক কোনো অভিধান নেই। বাংলা একাডেমী আঞ্চলিক ও ব্যবহারিক অভিধান প্রকাশ করেই থমকে আছে। আইন, বিজ্ঞান, বাণিজ্যের জন্য সর্বজনস্বীকৃত কোনো পরিভাষা কোষ নেই। এ নিয়ে গবেষণা করে পরিভাষা কোষ প্রণয়নের তেমন উদ্যোগও অনুপস্থিত। তার চেয়ে দুঃখজনক, স্বীকৃত কোনো বানানরীতি নেই। যে যার খুশিমতো বানানরীতি অনুসরণ করছে। প্রায় প্রতিটি বড় পত্রিকারই রয়েছে নিজস্ব বানানরীতি, যা অনুসরণ করে শিক্ষার্থীরা বিভ্রান্ত হচ্ছে, বুঝে উঠতে পারছে না তারা কোনটি ব্যবহার করবে। এমনকি পাঠ্যপুস্তকেও বিভিন্ন বানানরীতির সংমিশ্রণ রয়েছে। অথচ পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে ইংরেজি চালু থাকার পরও একই ধরনের বানানরীতি চালু আছে। সামান্য তারতম্য ছাড়া ইংরেজি বা ফরাসি, জার্মান ভাষায় অভিন্নতা আছে; আছে ভাষার নিয়ন্ত্রণ সংস্থাও। আমাদের বাংলা একাডেমী সেই দায়িত্বপ্রাপ্ত হতে পারত; কিন্তু বাস্তবে তা হয়ে ওঠেনি। বাংলা একাডেমীর এই নিষ্ক্রিয়তায় অনেকেই খেয়ালখুশিমতো ভাষার অথরিটি সেজে ভাষাকে বিকৃত করছে। ইদানীং অনেক লেখকের লেখায় প্রমিত বাংলাকে অগ্রাহ্য করা হচ্ছে। কোনো কোনো ক্ষেত্রে আঞ্চলিক রূপও চাপিয়ে দেওয়ার চেষ্টা হচ্ছে। এর মানে এই নয়, আমি আঞ্চলিক ভাষারূপকে অগ্রাহ্য করছি। নাটকে-উপন্যাসে কথোপকথনের প্রয়োজনে তা উঠে আসতেই পারে। তবে তা মান ভাষা হতে পারে না।

কোনো কোনো মহল থেকে বলা হচ্ছে যে, পশ্চিমবঙ্গের সঙ্গে বাংলাদেশের বাংলার মধ্যে পার্থক্য তৈরি করতে হবে। এ প্রসঙ্গে বলা আবশ্যক, একদা একদল মুসলমানি বাংলা তৈরি করতে গিয়ে আরবি হরফে বাংলা লেখা কিংবা সংস্কৃত শব্দ বর্জনের ফতোয়া দিয়েছিল, অপরদিকে বাংলার হিন্দুয়ানি রূপ ফোটাতে আরবি-ফরাসি বর্জনের প্রয়াসও দেখা গেছে। এই উভয় প্রচেষ্টা ছিল বাংলা ভাষাকে পঙ্গু করার ষড়যন্ত্র। এখন আঞ্চলিকতার নামে ভাষার প্রমিত রূপ যদি অগ্রাহ্য হয় তাকে কী বলব- নির্বুদ্ধিতা, না ষড়যন্ত্র? কোনো নিয়ন্ত্রণের ব্যবস্থা না থাকায়ও এটি হতে পারছে। যেমন ইদানীং চালু হয়েছে বাংলিশ। বাংলা-ইংরেজি মিশিয়ে সে ভাষায় মন্ত্রী-আমলা থেকে শিক্ষার্থীরা পর্যন্ত কথা বলছেন। এমনকি সভা-সেমিনার-গোলটেবিল ও টেলিভিশনের টক শোতে এমনই খিচুড়ি ভাষার ব্যবহার করা হচ্ছে। মনে করা হচ্ছে, এটি বুঝি আভিজাত্য। এর পেছনে ইংরেজি জানি- এমন অপ্রচারের হীন মানসিকতা যে করছে, তা নিয়ে কোনো সংশয় নেই। রেডিও-টেলিভিশনের ধারাবিবরণীতে, বিজ্ঞাপনে হিন্দি-ঢঙে বাংলা বলার প্রবণতাও লক্ষ্য করা যাচ্ছে। এ ক্ষেত্রে ভারতের বাংলা চ্যানেলগুলোর অন্ধ অনুকরণপ্রিয়তাই আসল কারণ। এমনই অজ্ঞতা, অনুকরণপ্রিয়তা, অসচেতনতায় আমাদের ভাষা বিকৃত হচ্ছে, বিনষ্ট হচ্ছে এর স্বকীয়তা। আজ প্রয়োজন বানান থেকে উচ্চারণ, বাক্যরীতি, সর্বক্ষেত্রেই স্বকীয়তা ও অভিন্নতা রক্ষায় প্রাতিষ্ঠানিক উদ্যোগ।

সে সঙ্গে ভাষাকে যুগোপযোগী করার বিষয়টিও গুরুত্বপূর্ণ। এ জন্য ভাষাপ্রযুক্তি নেটওয়ার্কে শামিল হওয়ার ক্ষেত্রে আমরা পিছিয়ে রয়েছি। ইংরেজি, ফরাসি থেকে হিন্দি, উর্দুসহ পৃথিবীর ছোট-বড় ১২৫টি ভাষা আজ ইউনিভার্সেল নেটওয়ার্কিং ল্যাঙ্গুয়েজের (ইউএনএল) অন্তর্ভুক্ত। এই নেটওয়ার্কের বদৌলতে যন্ত্রের সাহায্যে এক ভাষার কথা ও লেখা সংশ্লিষ্ট ভাষাগুলোতে অনূদিত হচ্ছে। ভাষার অনুবাদ প্রক্রিয়ার এই মহাযজ্ঞে পৃথিবীর পঞ্চম বৃহত্তম বাংলা ভাষা নেই। তবে আশার কথা, এশিয়াটিক সোসাইটি সেই কাজে হাত দিয়েছে। হাত দিয়েছে বাংলা একাডেমিক অভিধান প্রণয়নেও। এ দুটির মধ্য দিয়ে সূচিত হবে বাংলা ভাষার অগ্রগতির নতুন অধ্যায়।

বাংলা ভাষাকে বিশ্বের দরবারে ঠাঁই দিতে হলে প্রযুক্তিগতভাবে বাংলা ভাষার ব্যবহার বাড়ানোর কোনো বিকল্প নেই। তবে তা হতে হবে পরিকল্পিত। কম্পিউটারে ইংরেজি টাইপে দুনিয়ার সর্বত্রই অভিন্ন কিবোর্ড অনুসৃত হতে পারছে অথচ বাংলার ক্ষেত্রে বিভিন্ন ফন্টের জন্য ভিন্ন ভিন্ন কিবোর্ডের নৈরাজ্য তৈরি হয়েছে। এর প্রতিবিধান কি কঠিন? মানুষই ভাষার আসল বাহক। মানুষের মুখ থেকে যদি কোনো ভাষা ঝরে পড়ে, জনগোষ্ঠী যদি ভিন্ন ভাষায় কথা বলতে শুরু করে, তবে সে ভাষা হারিয়ে যেতে বাধ্য। আমাদের ভাষার ইতিবাচক দিক হচ্ছে, গণমানুষ এই ভাষাকে সযত্বে লালন করেছে। প্রাচীন বাংলায় যখন শাস্ত্রীয় ও রাজকীয় ভাষা ছিল সংস্কৃত, তখন প্রাকৃত জনগোষ্ঠী এই ভাষাকে লালন করেছে। মধ্যযুগে ফার্সি রাজকীয় ভাষা ছিল বলে হিন্দু-মুসলিম অভিজাত নির্বিশেষে ফার্সির দিকে ঝুঁকেছে, অভিজাত মুসলমানরা তাদের গৃহে উর্দুকে ঠাঁই দিয়েছে; কিন্তু কৃষাণ-জেলে-মুটে-মজুররা এই ভাষাকে ধরে রেখেছে। আজও সাধারণ মানুষই এ ভাষার ধারক। তবে একথাও সত্য যে, সঙ্গত কারণেই ইংরেজি ও অন্য ভাষাগুলো আমাদের আয়ত্ত করতে হবে। সব ভাষার সৃষ্টিকে অনুবাদের মাধ্যমে আমাদের গৃহে ঠাঁই দিতে হবে। তবে সর্বাগ্রে মাতৃভাষার মর্যাদা অটুট রাখতে হবে।

প্রাথমিক শিক্ষার মাধ্যম হিসেবে মাতৃভাষার কোনো বিকল্প নেই। এ বিষয়ে আমরা বিভ্রান্তিতে রয়েছি। উচ্চ ও মধ্যবিত্তের একাংশে শিশুদের মাতৃভাষা চর্চার আগে ইংরেজি মাধ্যমে শিক্ষা দেওয়ার ব্যবস্থা চালু হয়েছে। এর ফলে ইংরেজির শিক্ষার প্রসার কতখানি হচ্ছে, জানি না। তবে এ প্রক্রিয়া অব্যাহত থাকলে উচ্চবিত্তের সন্তানরা বাংলা ভাষা ও সংস্কৃতিবিমুখ হয়ে পড়বে, যা বাংলা ভাষার অগ্রযাত্রাই শুধু নয়, জাতীয় সংহতিকে বিপন্ন করে তুলতে পারে। তাই আজ ইংরেজি মাধ্যম-মাদ্রাসা-স্কুল নির্বিশেষে প্রাথমিক শিক্ষার মাধ্যম কী হবে সে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা জরুরি। বাংলাকে জাতিসংঘে দাফতরিক ভাষার মর্যাদাসহ বিশ্বসভায় তা তুলে ধরতে যে উদ্যোগই নেওয়া হোক না কেন, যদি নতুন প্রজন্ম মাতৃভাষার সরোবরে অবগাহন না করে তবে বাংলা ভাষায় প্রাণের স্ফুরণ ঘটবে কী করে?

লেখক : সাংবাদিক

Wordbridge School
Link copied!