শিক্ষকের ‘যৌন হয়রানির’ স্ক্রিনশট ভাইরাল

ঢাকা: রাজধানীর উত্তরা হাই স্কুল এন্ড কলেজের এক শিক্ষকের বিরুদ্ধে ছাত্রীদের যৌন হয়রানির অভিযোগ উঠেছে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের অভিযোগের পর প্রতিষ্ঠানটির ইংরেজি বিভাগের প্রভাষক দিদারুল ইসলামকে শোকজ করেছে কলেজ কর্তৃপক্ষ।

একাধিক সূত্র জানায়, দীর্ঘ দিন ধরে প্রতিষ্ঠানটির ইংরেজি বিভাগের শিক্ষকের এমন জঘন্য অপরাধ মুখ বুজে সহ্য করলেও সম্প্রতি এ বিষয়ে ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীরা একে একে মুখ খুলতে শুরু করেছে। 

সম্প্রতি অনামিকা ইসলাম ও তাসনিম ঋতু নামের শিক্ষার্থীদের মেসেঞ্জারে পাঠানো দিদারুল ইসলামের অশালীন চ্যাট ফেসবুকে ভাইরাল হওয়ার পর তোলপাড় শুরু হয়।

এ বিষয় জানাজানি হলে অভিযুক্ত শিক্ষক তাৎক্ষণিক নিজের ফেসবুক আইডি হ্যাক হয়েছে মর্মে উত্তরা পশ্চিম থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করেন।এরপর তিনি নিজের আইডি থেকেই ফেসবুক হ্যাক হয়েছে বলে একটি স্ট্যাটাস দেন। কিছু সময় পর তার ফেসবুক আইডিটি ডিএক্টিভ করে দেন তিনি।

শিক্ষার্থী ও অভিভাবক সূত্রে জানা গেছে, ওই শিক্ষক উত্তরা হাই স্কুল এন্ড কলেজের ইংরেজি বিভাগের প্রভাষক। সম্প্রতি ওই শিক্ষক অনামিকা আহমেদ নামের এক ছাত্রীকে ফেসবুকের মেসেঞ্জারে অশ্লীল প্রস্তাব দেন ও অশ্লীল ছবি পাঠাতে বলেন।

ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীরা বলেন, অন্য কোনো ছাত্রীর সঙ্গে যাতে এসব করতে না পারে, সে জন্য আমরা ওই লেখার স্ক্রিনশট ফেসবুকে দেই। বিষয়টি মুহুর্তে ভাইরাল হয়ে যায়। এরপর তিনি বিভিন্ন জনকে দিয়ে ফোন করে ম্যানেজ করার চেষ্টা করেছেন। আমি চাই না আমাদের প্রিয় কলেজটিতে ছাত্রীরা অনিরাপদ থাকুক। এই আইডি স্যারের আইডি, আমরা বহু প্রমাণ দিতে পারবো যে স্যার তার আইডি দিয়েই মেসেঞ্জারে ছাত্রীদের বিরক্ত করে আসছিল। 

এ বিষয়ে প্রভাষক দিদারুল ইসলাম জানান, দিদার ইউএইচএসসি (didaruhsc) আইডিটি তার। এটি হ্যাক হয়েছিলো,থানায় এ নিয়ে একটি সাধারণ ডায়েরি করা হয়েছে। আমি নির্দোষ। এ নিয়ে  আর কিছুই বলতে চাই না। 

উত্তরা হাই স্কুল এন্ড কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ তৌহিদুর রহমান বলেন, ফেসবুকে সাবেক এক ছাত্রীর অভিযোগের বিষয়টি জানতে পেরেছি। বিতর্কিত শিক্ষক দিদারুল ইসলামকে এর মধ্যেই শোকজ করা হয়েছে। তিনি লিখিতভাবে একটি কাগজ দিয়ে গেছেন। বিষয়টি নিয়ে পরিচালনা কমিটির সাথে কথা বলে অভিযোগের সত্যতা মিললে দ্রুত কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

সোনালীনিউজ/এএস/আইএ