• ঢাকা
  • মঙ্গলবার, ২৩ এপ্রিল, ২০২৪, ১০ বৈশাখ ১৪৩১

উন্নয়নশীল দেশের পেছনের কারিগরদের নুন আনতে পান্তা ফুরায়


সোনালীনিউজ ডেস্ক ফেব্রুয়ারি ২৮, ২০২১, ০৯:৪০ এএম
উন্নয়নশীল দেশের পেছনের কারিগরদের নুন আনতে পান্তা ফুরায়

বাংলাদেশ জাতির জনক বঙ্গবন্ধুর লালিত স্বপ্ন উন্নত দেশের কাতারে অগ্রসর হচ্ছে, আজ জাতিসংঘ বাংলাদেশকে উন্নয়নশীল দেশের মর্যাদা দিলো।

কিন্তু এই অগ্রগতির পেছনে কাজ করা ১১ থেকে ২০ গ্রেডের সরকারি কর্মচারীগনের নুন আনতে পান্তা ফুরায় অবস্থা (অবৈধ উপার্যনকারী কিছু কর্মচারী ছাড়া)।

২০ তম গ্রেডের একজন কর্মচারীর মাসিক মূলবেতন শুরু হয় ৮,২৫০ টাকায়। এই ৮,২৫০ টাকায় এক মাসের চাল, ডাল, তৈল, মসলা, মাছ, মাংস, তরকারি, পিয়াজ, হলুদ, মরিচ, রান্নার গ্যাস, জামাকাপড়, চুলকাটা, সেভ করা, মোবাইল বিল, ডিস বিল, বিদ্যুৎ বিল, ব্যবহার আসবাবপত্র ক্রয় সহ সংসারের সকল জিনিসপত্র ক্রয় করতে হয়।

মাসিক বাসাভাড়া যা পাওয়া যায়, সেটা সরকারি বাসায় থাকলে সরকার কেটে নেয়। আর যদি সরকারি বাসা না পাওয়া যায়, তাহলে বাসাভাড়া পাওয়া টাকার সাথে আরও অতিরিক্ত টাকায় বাসাভাড়ার জন্য খরচ করতে হয়।

সরকার একজন কর্মচারীকে চিকিৎসা ভাতা মাসে ১,৫০০ টাকা দেয়। এই ১,৫০০ টাকা দিয়ে নিজের চিকিৎসাসহ বাবা-মা, স্ত্রী-সন্তানের চিকিৎসা করাতে হয়। বেশীরভাগ কর্মচারীদের বৃদ্ধ বাবা-মা ডায়বেটিস, হার্টের রোগ সহ নানান জটিল রোগে আক্রান্ত থাকে। তাদের মাসে চেকআপসহ প্রতিদিন ঔষধ প্রয়োজন হয়, এই অল্প টাকায় সেটা সম্ভব নয়।

এছাড়া পরিবারের স্ত্রী, ছেলে-মেয়েদের মধ্যে মাসে কেউ রোগে আক্রান্ত হলে বিভিন্ন পরীক্ষা-নিরীক্ষা ও ঔষধ খরচের অতিরিক্ত টাকা প্রয়োজন হয়।

সরকার ১১ থেকে ২০ গ্রেডের কর্মচারীদের মাসে ২০০ টাকা টিফিন ভাতা দিয়ে থাকে, যেটা কর্মচারীদের কাছে হাস্যকর। কারন, বর্তমান সময়ে এককাপ চা, ছোট এক প্যাকেট বিস্কুট ও একটি কলার দাম গড়ে ২৫-৩৫ টাকা দরকার হয়।

বর্তমানে সরকার মাসে সন্তান প্রতি শিক্ষা সহায়ক ভাতা দেয় ৫০০ টাকা। অথচ একটি সন্তানের পিছনে বই, খাতা, কলম, বেতন ও গড়ে পরীক্ষা ফি সহ মাসে খরচ হয় প্রায় ২৫০০ টাকার মতো।

অধিকাংশ ১১ থেকে ২০ গ্রেডের কর্মচারীগন মানবেতর জীবনযাপন করছে। মূলবেতন সহ পদোন্নতির ক্ষেত্রেও চরম বৈষম্যে রয়েছে। একজন কর্মকর্তা ৯ম গ্রেডে চাকুরি শুরু করে পদোন্নতি পেয়ে ১ম গ্রেডের কর্মকর্তা হন, কিন্তু একজন ২০/১৯/১৮ গ্রেডে চাকুরি শুরু করা কর্মচারী শিক্ষাগত যোগ্যতা থাকার পরও পদোন্নতিহীন চাকুরি শেষ করেন, এটা অত্যন্ত বেদনাদায়ক।

মানবতার মা মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নিকট ১১ থেকে ২০ গ্রেডের সরকারি কর্মচারীদের পক্ষ থেকে বেতন ও পদোন্নতি বৈষম্য নিরসন চাইছি এবং সকল ভাতাসমূহ বাজারদর অনুযায়ী নির্ধারনের জোর দাবি করছি। দ্রুত পে-কমিশন গঠন করে বর্তমান মাসিক খরচ অনুযায়ী সর্বনিম্ন ও সর্বোচ্চ মূলবেতন নির্ধারন করা আবশ্যক। কর্মকর্তা-কর্মচারীদের মূলবেতনের ব্যবধান থাকবে, তবে সেই ব্যবধান যৌক্তিক পর্যায়ে থাকতে হবে। কারন, প্রত্যেক সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারী একই বাজার ব্যবস্থায় জীবনধারন করেন। জয় বাংলা, জয় হউক মেহনতী ১১ থেকে ২০ গ্রেডের কর্মচারীদের।

(খান আতাউর রহমানের ফেসবুক থেকে নেওয়া)

সোনালীনিউজ/এইচএন

Wordbridge School
Link copied!