• ঢাকা
  • বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ, ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

জীবনের শেষ ইচ্ছা, নিজের চোখে পদ্মাসেতু দেখা 


নিউজ ডেস্ক জুন ১, ২০২২, ০৩:২৪ পিএম
জীবনের শেষ ইচ্ছা, নিজের চোখে পদ্মাসেতু দেখা 

ঢাকা: জীবনে শেষ বারের মতো কাছ থেকে পদ্মা সেতু দেখার ইচ্ছা পোষণ করেছেন জটিল রোগে আক্রান্ত হয়ে চিকিৎসাধীন থাকা এক তরুণ।

ঘটনাটির কথা উল্লেখ করে সামাজিক মাধ্যম ফেসবুকে একটি পোস্ট দিয়েছেন তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক৷ 

তিনি লিখেছেন- পদ্মা সেতু: কারও কাছে স্বপ্নের, কারও কাছে গর্বের,  কারও কাছে প্রেরণার, কারও কাছে দৃঢ় সংকল্প, কিন্তু কারও কাছে জীবনের অন্তিম ইচ্ছা-- এটা ভাবা যায়?

হ্যাঁ, এই আবেগঘন ঘটনাই ঘটেছে। গত বুধবার, লিভারের জটিল রোগে আক্রান্ত হয়ে আইসিইউ-তে থাকা এক তরুণ তার পিতার কাছে ইচ্ছা প্রকাশ করেছে পদ্মা সেতু দেখার। কারণ আপনার-আমার মতো সেও সংবাদে দেখেছে: বিশ্বের অন্যতম অত্যাধুনিক স্থাপনার সেতু হিসেবে নান্দনিক সৌন্দর্যের আলোকরশ্মি ছড়ানো ‘পদ্মাসেতু’ চালু হচ্ছে শিগগিরই। কিন্তু ততদিনে জীবনের আলো নিভে যেতে পারে তার। হাসপাতালের আইসিইউ-তে শুয়ে মৃত্যুপথযাত্রী সন্তান তাই বাবা-মার কাছে শেষ আবদার হিসেবে বলেছে: মৃত্যুর আগে নিজের চোখে পদ্মাসেতু দেখতে চায় সে। 

সন্তানের শেষ ইচ্ছা পূরণের জন্য আইসিইউ-সুবিধাসম্পন্ন অ্যাম্বুলেন্স ভাড়া করেন পিতা। এরপর সেই অ্যাম্বুলেন্স  করে তাকে নিয়ে যান পদ্মাসেতুর মাওয়া প্রান্তে। অ্যাম্বুলেন্সে শুয়েই পদ্মাসেতু দেখলো অসুস্থ ছেলেটি। 

কী বলবেন এই ঘটনাটিকে? শুধুই কী কোনো তরুণের অন্তিম ইচ্ছা? নাকি গর্বিত বাংলাদেশকে দেখতে চাওয়ার আাকাঙ্ক্ষা? হয়তো তার কাছে শেষবারের মতো বেঁচে থাকার প্রেরণার কারণও হতে পারে শত প্রতিকূলতা ডিঙিয়ে মাথা উঁচু করে দাঁড়ানো এই পদ্মাসেতু। 

এই সেতু বাঙালি জাতিকে যেভাবে বিশ্বের বুকে গর্বিত করেছে, মাথা উঁচু করে দাঁড়ানোর প্রেরণা দিয়েছে, জুগিয়েছে সাহস ও উন্নত বাংলাদেশ গড়ার দৃঢ় প্রত্যয়; ঠিক তেমনি- আজ প্রতিটি সচেতন মানুষের মনে দৃপ্ত সাহস সঞ্চার করা এবং শত চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করে জয়ী হওয়ার অনুপ্রেরণার প্রতীকেও পরিণত হয়েছে স্বপ্নের পদ্মাসেতু।
জয় বাংলা! 

প্রতিমন্ত্রীর ফেসবুক থেকে নেয়া।

সোনালীনিউজ/আইএ

Wordbridge School
Link copied!