• ঢাকা
  • শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল, ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

‘সারা বাংলাদেশ কিছু করতে পারেনি, তোরা কী করতে পারবি’


কক্সবাজার প্রতিনিধি মে ৯, ২০২২, ০৫:৫৫ পিএম
‘সারা বাংলাদেশ কিছু করতে পারেনি, তোরা কী করতে পারবি’

কক্সবাজারে সাংবাদিক আজিম নিহাদের গলা চেপে ধরেন মোস্তাক আহমদ নামে এই ব্যক্তিছবি: সংগৃহীত

কক্সবাজার : কক্সবাজারে অবৈধ উপায়ে হাঙর মাছের তেল, চামড়া ও কান পাচারকারী চক্র নিয়ে অনুসন্ধান করতে গিয়ে হামলার শিকার হয়েছেন স্থানীয় তিন সংবাদকর্মী। এ ঘটনায় কক্সবাজার সদর মডেল থানায় তিন ব্যক্তির নাম উল্লেখ করে ও অজ্ঞাতনামা আরও তিন-চারজনকে আসামি করে মামলা হয়েছে।

রোববার (৯ মে) সকালে কক্সবাজার শহরের নুনিয়াছড়ায় হাঙরের তেল তৈরির কারখানার ভিডিওচিত্র ধারণ ও সংবাদ সংগ্রহ করতে গিয়ে কক্সবাজারের স্থানীয় অনলাইন গণমাধ্যম দ্য টেরিটোরিয়াল নিউজের (টিটিএন) প্রধান প্রতিবেদক আজিম নিহাদ, প্রতিবেদক রাহুল মহাজন ও ক্যামেরাপারসন লোকমান হাকিমের ওপর তেড়ে এসে হামলা চালান পাচার চক্রের মূলহোতা হিসেবে পরিচিত স্থানীয় বাসিন্দা মোস্তাক আহমেদ নামের এক ব্যক্তি।

এ ঘটনায় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া একটি ভিডিওতে দেখা গেছে, অভিযুক্ত মোস্তাক আহমেদ সাংবাদিক আজিম নিহাদের গলা চেপে ধরেন, ক্যামেরা কেড়ে নিতে চড়াও হন ক্যামেরাপারসন লোকমানের ওপর। এ সময় তিনি ক্যামেরা ছিনিয়ে নেন এবং মোবাইল ভাঙচুর করেন।

এ সময় মোস্তাককে চিৎকার করে গালাগালি করতে দেখা যায়। তাঁকে বলতে শোনা যায়, ‘সারা বাংলাদেশ কিছু করতে পারেনি, তোরা কী করতে পারবি’ খবর পেয়ে পুলিশ ও সাংবাদিক নেতারা ঘটনাস্থলে পৌঁছে নিহাদসহ অন্য সাংবাদিকদের উদ্ধার করেন। এ সময় হামলাকারী ব্যক্তিরা পালিয়ে যান।

আহত সাংবাদিক আজিম নিহাদ জানান, ২০১২ সালের বন্য প্রাণী সংরক্ষণ আইনের সংশোধিত ৩৯ ধারা অনুযায়ী বিপন্ন সামুদ্রিক প্রাণী হিসেবে চিহ্নিত হাঙর আহরণ এবং বাজারজাত করা শাস্তিযোগ্য অপরাধ। আইন না মেনে কক্সবাজারের উখিয়া—টেকনাফসহ বিভিন্ন উপকূলীয় এলাকা থেকে অবৈধভাবে হাঙ্গর সংগ্রহ করে একটি প্রভাবশালী চক্র হাঙরের বিভিন্ন অংশ এবং বিশেষ কায়দায় উৎপাদিত তেল বিদেশে চড়ামূল্যে পাচার করে আসছিল। ওই চক্রের তথ্য পেয়ে সচিত্র প্রতিবেদন তৈরির কাজ করছিলেন তাঁরা।

নিহাদ আজিম বলেন, ‘হাঙ্গরের তেল তৈরির কারখানা যে এলাকায় অবস্থিত, সে এলাকার দৃশ্য ধারণ করতে গিয়ে আমি ও আমার সহকর্মীদের মারধর করে চক্রের প্রধান আলমগীরের ছোট ভাই মোস্তাক। আমি মাথায় ও গলায় আঘাত পেয়েছি, ডাক্তার সিটিস্ক্যান করাতে বলেছেন।’

কক্সবাজার সদর মডেল মডেল থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মোহাম্মদ সেলিম উদ্দিন বলেন, ‘অভিযোগ পাওয়া মাত্রই আমরা মামলা নেব। আসামিদের আইন আওতায় আনতে অভিযান চালানো হচ্ছে।’

সাংবাদিকদের ওপর হামলার ঘটনায় জড়িত ব্যক্তিদের গ্রেপ্তারের দাবিতে সোমবার (৯ মে) বিকেলে কক্সবাজার পৌরসভা কার্যালয় চত্বরে প্রতিবাদ সমাবেশ করে কক্সবাজারে কর্মরত সাংবাদিকদের সংগঠন রিপোর্টার্স ইউনিটি কক্সবাজার, সাংবাদিক সংসদ, শিশু কিশোর সংগঠন জাতীয় খেলাঘর আসর, বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলনসহ (বাপা) বেশ কয়েকটি সামাজিক, সাংস্কৃতিক ও পেশাজীবী সংগঠন।

সূত্র : প্রথম আলো


সোনালীনিউজ/এনএন

Wordbridge School
Link copied!