• ঢাকা
  • বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল, ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

দারিদ্র্য ও অশিক্ষার কারণে সেরিব্রাল পলসি হচ্ছে


নিজস্ব প্রতিবেদক নভেম্বর ১৫, ২০২০, ১২:৫৬ পিএম
দারিদ্র্য ও অশিক্ষার কারণে সেরিব্রাল পলসি হচ্ছে

ঢাকা : দরিদ্র্য, অশিক্ষা ও নারীর প্রতি অবহেলার কারণে সেরিব্রাল পলসির বিস্তৃতি ঘটছে বাংলাদেশ। সেরিব্রাল পলসিতে আক্রান্ত শিশু যতদিন বাঁচে পিতা-মাতাকে ততদিন যুদ্ধ করে যেতে হয় কিন্তু কিছু সচেতনতা অবলম্বর করলেই এ রোগটি হয় না। আবার শিশু জন্মের পর পরই শিশুর অস্বাভাবিকতা দেখা দিলে নিউরোলজিস্টের কাছে নিয়ে গেলে খুব অল্প চিকিৎসাতে শিশুটি সেরিব্রাল পলসিমুক্ত হয়ে যেতে পারে।

শনিবার (১৪ নভেম্বর) গণস্বাস্থ্য নগর হাসপাতালে নিউরো সায়েন্স সেন্টারের উদ্যোগে ‘সেরিব্রাল পলসির সফর সার্জিক্যাল চিকিৎসা’ শীর্ষক সেমিনারে এ বিষয়ক বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকেরা বক্তব্য রাখছিলেন।

সেমিনারে বক্তারা বলেন, ফেসিয়াল পলসির অর্থ হলো ফেসিয়াল নার্ভ প্যারালাইসিস (মুখ বেঁকে যাওয়া, চোখ খোলা থাকা)। সেরিব্রাল পলসিও এ রকম একটি রোগ। যেখানে ব্রেইনের কিছু কিছু অংশ নষ্ট হতে থাকে। সোজা কথায় সেরিব্রাল পলসি মানে আমরা বলতে পারি আংশিক ব্রেইন প্যারালাইসিস।

তারা বলেন, জন্মের পর পর নবজাতক ভালোভাবে নিশ্বাস নিতে না পারলে ব্রেনে অক্সিজেন স্বল্পতা দেখা দেয়। এই অক্সিজেন স্বল্পতাই ব্রেইনকে ক্ষতিগ্রস্ত করে। এ ধরনের শিশুদের বুদ্ধিমত্তা কম হয় হাটতে পারে না, জন্মের পর ঘাড় শক্ত হয় না।

এ শিশুরা মায়ের সাথে হাসতে পারে না, মুখ দিয়ে লালা পড়ে, রোগ তীব্র হলে তরল খাবারও গিলতে পারে না।
অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রে ট্রাস্টি ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী।

তিনি বলেন, ব্রেইনে অস্ত্রোপচার করা হলে শিশুরা ধীরে ধীরে সুস্থ হচ্ছে। ব্রেনের অস্ত্রোপচারে বিভিন্ন হাসপাতালে চার লাখ টাকা ব্যয় হয়। কিন্তু গণস্বাস্থ্যে এক লাখ টাকায় এ অস্ত্রোপচারটা আমরা করে দিচ্ছি।

গণস্বাস্থ্য হাসপাতালের নিউরো সায়েন্স বিভাগের প্রধান অধ্যাপক ডা. মো: ফরিদুল ইসলাম চৌধুরী সেরিব্রাল পলসির অস্ত্রোপচার করছেন। তিনি সেমিনারে জানান, সেরিব্রাল পলসিতে আক্রান্ত শিশুদের মাথার খুলি ছোট থাকে। ফলে একটা নির্দিষ্ট সময় পর ব্রেইন আর বাড়ে না। এমতাবস্থায় মাথার খুলির নিচে থাকা ব্রেইনের পর্দা কেটে প্লাস্টিক সার্জারি করে দিলে ব্রেইন বাড়ার যথেষ্ট জায়গা পায়। যার ফলে দ্রুত ব্রেইন বৃদ্ধি পেয়ে পূর্ণতা লাভ করে এবং অন্যান্য উপসর্গ লোপ পায়।

সেমিনারে নিউরোসার্জন অধ্যাপক ডা. ফরিদুল ইসলাম চৌধুরী মূল বক্তব্য উপস্থাপন করেন। আরো বক্তব্য রাখেন ঢাকা শিশু হাসপাতালের পেডিয়াট্রিক নিউরো সার্জান ও বিভাগীয় প্রধান অধ্যাপক মোস্তফা মাহবুব, ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব নিউরোসায়েন্সের সহকারি অধ্যাপক ডাক্তার নাজমুল হক, শিশু বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ডা. মেজবা উদ্দিন আহমেদ, গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রেস উপদেষ্টা জাহাঙ্গীর আলম মিন্টু ও সহযোগী অধ্যাপক ডা. কণা চৌধুরী।

সোনালীনিউজ/এমটিআই

Wordbridge School
Link copied!