• ঢাকা
  • বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল, ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

‘হাসপাতাল উধাও’, যা বললেন স্বাস্থ্যের ডিজি


নিজস্ব প্রতিবেদক এপ্রিল ১১, ২০২১, ০৩:২৮ পিএম
‘হাসপাতাল উধাও’, যা বললেন স্বাস্থ্যের ডিজি

ঢাকা: গত বছরের মার্চে দেশে করোনাভাইরাস সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ার পর সরকারি হাসপাতালের পাশাপাশি বিভিন্ন বেসরকারি হাসপাতালকে এ রোগের চিকিৎসা সেবায় যুক্ত করে সরকার। গত ১৭ মে রাজধানীর কুড়িলে বসুন্ধরা কনভেনশন সেন্টারের সামনের খালি জায়গায় অস্থায়ী একটি হাসপাতাল চালু হয়। সেদিন এ হাসপাতালের কার্যক্রম উদ্বোধন করেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক।

এরপর করোনার প্রকোপ কমে গেলে গত বছরের ২৪ সেপ্টেম্বর প্রায় ৩১ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত এই হাসপাতালটি বন্ধ ঘোষণা করার নির্দেশনা দেয় স্বাস্থ্য সেবা বিভাগ। কোভিড-১৯ সংক্রমিতদের চিকিৎসার বিষয়ে বসুন্ধরা গ্রুপের সঙ্গে করা সমঝোতা স্মারকও বাতিলের কথা বলা হয় স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের চিঠিতে।

বিষয়টি নিয়ে সম্প্রতি ‘হাসপাতাল উধাও’ শিরোনামে প্রতিবেদন করে একটি বেসরকারি টেলিভিশন।এবিষয়ে কথা বলেছেন স্বাস্থ্য অধিদফতরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. এবিএম খুরশীদ আলম।  

তিনি বলেছেন, বসুন্ধরার হাসপাতাল উধাও হয়ে যাওয়ার খবরটি মিথ্যা।একটি বেসরকারি টেলিভিশন এটি নিয়ে মিথ্যা ও মনগড়া রিপোর্ট তৈরি করেছে। 

রোববার (১১ এপ্রিল) স্বাস্থ্য অধিদফতরে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ কথা বলেন।

ডা. এবিএম খুরশীদ আলম বলেন, বসুন্ধরা কোভিড হাসপাতাল ছিল একটি অস্থায়ী হাসপাতাল। হাসপাতালগুলোতে কোভিড রোগীর সংখ্যা কমে যাওয়ায় বেসরকারি বিভিন্ন হাসপাতালের সঙ্গে এই রোগের চিকিৎসার জন্য স্বাক্ষরিত চুক্তি বাতিল করে সরকার। এই হিসাবে তারা হাসপাতাল তুলে নিতেই পারে।

গত বছরের ২৪ সেপ্টেম্বর প্রায় ৩১ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত এই হাসপাতালটি বন্ধ ঘোষণা করার নির্দেশনা দেয় স্বাস্থ্য সেবা বিভাগ। কোভিড-১৯ সংক্রমিতদের চিকিৎসার বিষয়ে বসুন্ধরা গ্রুপের সঙ্গে করা সমঝোতা স্মারকও বাতিলের কথা বলা হয় স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের চিঠিতে।

চিঠিতে বলা হয়, করোনাভাইরাস মোকাবিলায় বসুন্ধরা কনভেনশন সেন্টারকে কোভিড-১৯ ডেডিকেটেড হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছিল। বর্তমানে হাসপাতালটিতে করোনাভাইরাস সংক্রমিত রোগী ভর্তি উল্লেখযোগ্য হারে কমে যাওয়ায় সরকারকে বিপুল পরিমাণ আর্থিক ক্ষতির হাত থেকে রক্ষা করার জন্য ৩০ সেপ্টেম্বরের মধ্যে জরুরি ভিত্তিতে হাসপাতালের চিকিৎসা কার্যক্রম বন্ধ করতে নির্দেশক্রমে অনুরোধ করা হয়। একইসঙ্গে বসুন্ধরার হাসপাতালটিতে চিকিৎসা সেবায় নিয়োজিত সব চিকিৎসক, নার্স ও অন্য স্বাস্থ্যকর্মীদের ফেরত এনে বদলি বা পদায়ন করা হবেও বলে জানানো হয়।

এছাড়াও চিঠিতে হাসপাতালটিতে থাকা ২ হাজার ৩১টি জেনারেল বেড, ৭১টি আইসিইউ বেড হাসপাতাল, ১০টি ভেন্টিলেটর এবং যাবতীয় আসবাবপত্রসহ আনুষঙ্গিক জিনিসপত্র ফেরত দিতে বলা হয়েছিল।

সোনালীনিউজ/আইএ

Wordbridge School
Link copied!