• ঢাকা
  • শনিবার, ২০ এপ্রিল, ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

করোনায় বেশি আক্রান্ত ১৫ থেকে ২০ বছরের তরুণরা


নিজস্ব প্রতিবেদক এপ্রিল ১৮, ২০২১, ০৫:২৭ পিএম
করোনায় বেশি আক্রান্ত ১৫ থেকে ২০ বছরের তরুণরা

ফাইল ছবি

ঢাকা: ‘দেশে গত দেড় মাসে করোনার সংক্রমণ ১০ গুণ বেড়েছে। এই দেড় মাসে এক লাখ ৬০ হাজার জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। যা এর আগের দেড় মাসে ছিল মাত্র ১৫ হাজার। আক্রান্তদের অধিকাংশই আইসিইউর জন্য হাসপাতালে ছোটাছুটি করছেন।’কথাগুলো বলেছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক।

রোববার (১৮ এপ্রিল) দুপুরে রাজধানীর মহাখালীর ডিএনসিসি ডেডিকেটেড কোভিড-১৯ হাসপাতাল উদ্বোধনের সময় তিনি এসব কথা বলেন।

এসময় দেশে ১৫ থেকে ২০ বছরের তরুণরা করোনাভাইরাসে বেশি আক্রান্ত হচ্ছেন বলে জানান মন্ত্রী।তবে তাদের মৃত্যু কম উল্লেখ করে বলেন, তারা বাসায় এসে মা-বাবাসহ বয়স্কদের সংক্রমিত করছে। তরুণদের উদ্দেশ্যে বলব, আপনারা বাইরে যাবেন, তবে মাস্ক ব্যবহার করবেন। নিজে ভালো থাকবেন, অন্যদের ভালো রাখবেন। আমরা প্রিয়জনদের মৃত্যুর কারণ যেন না হই।

স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, আইসিইউ নিয়ে শুরুতে বিভিন্ন আলোচনা-সমালোচনা ছিল। সবাই বলেছিল আমাদের আইসিইউর সংখ্যা কম। ঢাকায় দুইশ থেকে আড়াইশ আইসিইউ রয়েছে। সব মিলিয়ে সারাদেশে পাঁচশর বেশি আইসিইউ হবে। এখন আমাদের আইসিইউ সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়েছে। ডিএনসিসির করোনা হাসপাতালে ২১২টি আইসিইউ যুক্ত হয়েছে। সবমিলিয়ে রাজধানীতে যতো সংখ্যক আইসিইউ, তার সমপরিমাণ আইসিইউ এই হাসপাতালে তৈরি হয়ে গেছে।

কোভিড-১৯ হাসপাতাল উদ্বোধনে স্বাস্থ্যমন্ত্রী ও ডিএনসিসি মেয়র

তিনি বলেন, করোনা নিয়ন্ত্রণে ঢাকা শহরে সরকারি হাসপাতলে পাঁচ হাজার শয্যা রয়েছে। শুরুতে প্রাইভেট হসপিটাল করোনা চিকিৎসায় এগিয়ে না এলেও পরে এক হাজার শয্যা নিয়ে তারা কাজ শুরু করে, যা দুই হাজার শয্যায় পরিণত হয়। ফলে দেশে সরকারি বেসরকারি মিলিয়ে আট হাজার শয্যায় পরিণত হয়।

পার্শ্ববর্তী দেশ ভারতে এক শয্যায় দুইজনকে রেখে চিকিৎসা দিতে হচ্ছে। বিভিন্ন উন্নত দেশে তাঁবুতে রেখে রোগীদের চিকিৎসা সেবা দিতে হচ্ছে। কিন্তু এখনও আমরা রোগীদের হাসপাতালে রেখেই চিকিৎসা সেবা দিচ্ছি- যোগ করেন মন্ত্রী।

জাহিদ মালেক বলেন, শুরুতে আমাদের হাসপাতালগুলোতে সেন্ট্রাল অক্সিজেন ছিল না। এখন আমরা ১০০টি হাসপাতালে সেন্ট্রাল অক্সিজেন দিয়েছি। আরও ৩০টি সেন্ট্রাল অক্সিজেনের কাজ শেষ পর্যায়ে। প্রতিটি সরকারি হাসপাতালকেই সেন্ট্রাল অক্সিজেনের আওতায় আনা হচ্ছে।

এদিকে টানা তৃতীয় দিনের মতো শতাধিক মৃত্যুর রেকর্ড হয়েছে বাংলাদেশে। রোববার (১৮ এপ্রিল) করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন ১০২ জন মানুষ।এনিয়ে দেশে মোট মৃতের সংখ্যা দাড়ালো ১০ হাজার ৩৮৫ জনে।এছাড়া গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে রোগী শনাক্ত হয়েছে ৩ হাজার ৬৯৮ জন। এ নিয়ে দেশে এখন পর্যন্ত মোট করোনা রোগীর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৭ লাখ ১৮ হাজার ৯৫০ জনে।

গত ২৪ ঘণ্টায় করোনামুক্ত হয়েছেন ৬ হাজার ১২১ জন। এ পর্যন্ত মোট সুস্থ হয়েছেন ৬ লাখ ১৪ হাজার ৯৩৬ জন।২৪ ঘন্টায় ১৯ হাজার ৪০৪টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। নমুনা পরীক্ষার অনুপাতে শনাক্তের হার ১৯.০৬ শতাংশ।

সোনালীনিউজ/আইএ 

Wordbridge School
Link copied!