• ঢাকা
  • শুক্রবার, ২৯ মার্চ, ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

টিকা নিলে মৃত্যুর সম্ভাবনা থাকে না বললেই চলে


নিউজ ডেস্ক জুলাই ১৭, ২০২১, ০৫:০৭ পিএম
টিকা নিলে মৃত্যুর সম্ভাবনা থাকে না বললেই চলে

ফাইল ছবি

ঢাকা: বৈশ্বিক করোনা মহামারি রোধে টিকার ভূমিকা কতখানি গুরুত্বপূর্ণ তা আরো একবার প্রমাণিত হলো ভারতের সাম্প্রতিক এক গবেষণায়। দেশটির চিকিৎসা গবেষণা সংস্থা ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব ভাইরোলজির (এনআইভি) সাম্প্রতিক এক গবেষণায় দেখা গেছে করোনায় মৃত্যু ঠেকাতে টিকা ৯৯ শতাংশ কার্যকর।অর্থাৎ টিকা নিয়ে আক্রান্ত হলেও মৃত্যুর সম্ভাবনা থাকে না বলেলেই চলে।

শনিবার (১৭ জুলাই) এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে ভারতের জাতীয় দৈনিক টাইমস অব ইন্ডিয়া।

এনআইভির সদর দফতর ভারতের পশ্চিমাঞ্চলীয় রাজ্য মহারাষ্ট্রের পুনেতে। সংস্থাটির গবেষক ডা. প্রজ্ঞা যাদব টাইমস অব ইন্ডিয়াকে বলেন, টিকার নেওয়ার পরও করোনার উপসর্গে ভুগছেন বা করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন এমন দেড়শ ব্যক্তির নমুনা পরীক্ষার পর এ ফলাফল পাওয়া গেছে।

গবেষণার জন্য মহারাষ্ট্র, কর্নাটক ও পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য থেকে নেওয়া এসব নমুনা পরীক্ষার পর দেখা গেছে, আক্রান্তদের একটি উল্লেখযোগ্য অংশ করোনাভাইরাসের অতিসংক্রামক পরিবর্তিত ধরন ডেল্টায় আক্রান্ত। এছাড়া করোনাভাইরাসের অন্যান্য পরিবর্তিত ধরন আলফা, কাপ্পা ও ডেল্টা প্লাসে আক্রান্ত রোগীও আছেন।

টাইমস অব ইন্ডিয়াকে ডা. প্রজ্ঞা যাদব বলেন, ‘করোনা টিকা নেওয়ার পরও এ রোগে আক্রান্ত হওয়াকে আমরা বলছি ব্রেকথ্রো ইনফেকশন।’

‘ডেল্টার প্রভাবে এই মুহূর্তে বিশ্বজুড়েই করোনায় আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা বাড়ছে। করোনার অতি সংক্রামক এই ধরনটি টিকার ডোজকে ফাঁকি দিতে পারে বলেও আমরা জানতে পেরেছি।’

‘কিন্তু আমাদের গবেষণায় দেখা গেছে, টিকা নেওয়ার পর করোনায় আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা থাকলেও এ রোগে মৃত্যুর ঝুঁকি ৯৯ শতাংশেরও বেশি হ্রাস পায়। মূল সার্স-কোভ ২ বা করোনাভাইরাস এবং এর যে কোনো পরিবর্তিত ধরনের ক্ষেত্রেই এটি প্রযোজ্য।’

‘এমনকি টিকার ডোজ সম্পূর্ণ করার পর কেউ যদি ডেল্টা বা ডেল্টা প্লাসেও আক্রান্ত হন, সেক্ষেত্রেও এ রোগে মৃত্যু থেকে তিনি ৯৯ শতাংশ বা তার বেশি সুরক্ষা পাবেন।’

এনআইভির এই গবেষণায় তুলনামূলক কম বয়সীদের গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। যাদের নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে, তাদের ৪৪ শতাংশের বয়স ছিল ৩১ থেকে ৫৬ বছর বয়সী; এবং ৬৫ শতাংশই ছিলেন পুরুষ।

ডা. যাদব বলেন, “গবেষণায় দেখা গেছে, অধিকাংশই ডেল্টা ভ্যারিয়েন্টে আক্রান্ত। এদের মাত্র নয় শতাংশকে হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে হয়েছে। আর মৃত্যু হয়েছে মাত্র শূন্য দশমিক ৪ শতাংশের।”

ভারতের মহারাষ্ট্র রাজ্যের বিদর্ভ শহরে ২০২০ সালে প্রথম শনাক্ত হয়েছিল করোনার অতি সংক্রামক পরিবর্তিত ধরণ ডেল্টা। পরে খুব দ্রুত এটি ছড়িয়ে পড়তে শুরু করে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) গত সপ্তাহে এক বুলেটিনে জানিয়েছে, বর্তমানে বিশ্বের ১১১ টি দেশে ডেল্টায় আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হয়েছে।

ভারতের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের শনিবার দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় দেশটিতে নতুন করে করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন ৩৮ হাজার ৭৯ জন মানুষ। এনিয়ে দেশটিতে মহামারি শুরুর পর থেকে মোট আক্রান্তের সংখ্যা পৌঁছেছে ৩ কোটি ১০ লাখ ৬৪ হাজারে। আর গত ২৪ ঘণ্টায় ৫৬০ জনের মৃত্যুতে মৃতের সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ৪ লাখ ১৩ হাজার ৯১।

সূত্র : টাইমস অব ইন্ডিয়া

সোনালীনিউজ/আইএ

Wordbridge School
Link copied!