• ঢাকা
  • শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল, ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

সার্জন সংকটে মেরুদন্ডে আঘাতপ্রাপ্তদের চিকিৎসা অপ্রতুল


নিজস্ব প্রতিবেদক মে ১৫, ২০২২, ০৮:২০ পিএম
সার্জন সংকটে মেরুদন্ডে আঘাতপ্রাপ্তদের চিকিৎসা অপ্রতুল

ঢাকা: দেশে সড়ক দূর্ঘটনা বাড়ছে আশঙ্কাজনক হারে। কিন্তু মেরুদন্ডে আঘাতপ্রাপ্তদের যথাযথ চিকিৎসা হচ্ছে না প্রয়োজনীয় সার্জন নেই বলে। গত ঈদের ছুটিতে দেশে ৯৭ জনের প্রানহানী ঘটেছে কিন্তু আহত হয়ে কেবলমাত্র ঢাকার নিটোরেই (পঙ্গু হাসপাতাল) ৬০০ রোগী এসেছে চিকিৎসা নিতে। এই রোগীদের মধ্যে ৫ থেকে ৬ শতাংশ মেরুদন্ডে আঘাতপ্রাপ্ত (স্পাইনাল কর্ড ইঞ্জুরি) হয়ে ভর্তি হয়। স্পাইনাল কর্ড ইঞ্জুরির যতো রোগী রয়েছে সে তুলনায় স্পাইন সার্জন একেবারেই কম।

রোববার (১৫ মে) বাংলাদেশ স্পাইন ও অর্থোপেডিক হাসপাতালে ‘বেসিক টেকনিকস অব থোরাকো-লাম্বার স্পাইন ফিক্সেসন’ শীর্ষক এক কর্মশালায় বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকেরা এসব তথ্য দেন। 

বাংলাদেশ স্পাইন এন্ড অর্থোপেডিক হসপিটালের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা. মুসাররাত হকের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন নিটোরের সাবেক পরিচালক এবং বাংলাদেশ স্পাইন সোসাইটির সভাপতি অধ্যাপক আব্দুল আউয়াল রিজভী। বিশেষ অতিথি ছিলেন নিটোরে আরেকজন সাবেক পরিচালক অধ্যাপক ডা. মো: আব্দুল গনি। 
স্বাগত বক্তব্য রাখেন কোর্স করডিনেটর অধ্যাপক ডা. মো. শাহ আলম। এই হাসপাতালে গত ২ দিনে স্পাইন বিষয়ক অস্ত্রোপচারের ২৮ জন চিকিৎসককে বাংলাদেশের অভিজ্ঞ ৮ জন স্পাইন সার্জন মেরুদন্ডের আধুনিক অপারেশনের কৌশল শিক্ষা দিয়েছেন এবং রোববার প্রশিক্ষিত চিকিৎসকদের সার্টিফিকেট দেয়া হয়েছে। প্রশিক্ষণে সহায়তা করেন দিল্লীর স্পাইনাল ইনজুরি সেন্টারের স্পাইন সার্জারী বিভাগের কলসালটেন্ট ও বিভাগীয় প্রধান গুরুরাজ এম সানগোনথিমাত।

অনুষ্ঠানে বক্তারা বলেন, দেশে দিন দিন স্পাইনের বিভিন্ন রোগ বাড়ছে। এর মধ্যে মেরুদন্ডের বিকলাঙ্গতা ও যক্ষ্মা অন্যতম। এসব সমস্যার জন্য দেশের মানুষকে ছুটতে হত বিশ্বের বিভিন্ন দেশে। তবে এখন মেরুদন্ডের উন্নত চিকিৎসা এখন বাংলাদেশেই হচ্ছে। সরকারি ব্যবস্থার পাশাপাশি বেসরকারি হাসপাতালে এখন আন্তর্জাতিক মানের চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে। বাংলাদেশের মত জনবহুল রাষ্ট্রে দক্ষ, প্রশিক্ষিত স্পাইন সার্জন তৈরির বিকল্প নেই। 

অধ্যাপক ডা. মো. আব্দুল গনি বলেন, এই ঈদের ছুটিতে প্রায় ৬০০ এক্সিডেন্ট কেস এসেছে শুধু নিটোরে। যার মধ্যে স্পাইনাল ইনজুরি ৫-৬ শতাংশ। সড়ক দুর্ঘটনায় আহতদের মধ্যে মৃত্যুর হার অনেক বেশি। নিটোরের এক হাজার শয্যা হাসপাতালে ট্রমার রোগী সামলাতে আমরা হিমশিম খাচ্ছি। সব রোগীর সেবা দিতে সরকারি হাসপাতাল পারবে না, প্রাইভেট হাসপাতালকেও সহায়তা করতে হবে।

সোনালীনিউজ/আইএ

Wordbridge School
Link copied!