• ঢাকা
  • বুধবার, ২৪ এপ্রিল, ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১

জুমার নামাজের পরে কারফিউ ভাঙবে কাশ্মীরিরা


আন্তর্জাতিক ডেস্ক আগস্ট ২২, ২০১৯, ১০:২০ পিএম
জুমার নামাজের পরে কারফিউ ভাঙবে কাশ্মীরিরা

ঢাকা: ভারত থেকে কাশ্মীরকে বিচ্ছিন্ন দেখতে চাওয়া শত শত রাজনৈতিক নেতাকর্মী বর্তমানে গৃহবন্দি। ওই বন্দিদশায় থেকেই এ সব পোস্টারের মাধ্যমে কাশ্মীরবাসীকে গণপদযাত্রার অনুরোধ জানিয়েছেন তারা। ভারত নিয়ন্ত্রিত জম্মু-কাশ্মীরে শুক্রবার (২৩ আগস্ট) জুমার নামাজের পরে প্রতিবাদ মিছিলের ডাক দিয়ে শ্রীনগরে হুরিয়াত নেতাদের নামে পোস্টার লাগানো হয়েছে। কাশ্মীর থেকে বিবিসি ও রয়টার্স সংবাদদাতারা তথ্যটি নিশ্চিত করেছেন।

যৌথ প্রতিরোধ নেতৃত্বের ব্যানারে সব বড় ও গুরুত্বপূর্ণ বিচ্ছিন্নতাবাদী দলগুলোর পক্ষে এ সব পোস্টারে লেখা হয়েছে, শুক্রবার জুমার নামাজ শেষে তরুণ, বৃদ্ধ, নারী, পুরুষ- প্রত্যেকেরই পদযাত্রায় অংশ নেয়া উচিত। শ্রীনগরে জাতিসংঘের সামরিক পর্যবেক্ষক দলের কার্যালয় অভিমুখে এ পদযাত্রার আহ্বান জানানো হয়। ১৯৪৯ সালে ভারত-পাকিস্তানের প্রথম যুদ্ধের পর শ্রীনগরে এ কার্যালয় স্থাপন করা হয়।

একটি পোস্টারে বলা হয়েছে, কাশ্মীরের বিশেষ মর্যাদা রদের মধ্য দিয়ে সরকার এ অঞ্চলে বহিরাগতদের অভিবাসন ঘটাতে চায়। যাতে করে এখানকার বিভিন্ন সম্প্রদায়ের জনসংখ্যার অনুপাত বদলে ফেলা যায়। জুমার নামাজে খুতবার সময় এ সব নিয়ে কথা বলার জন্য মসজিদের ইমামদের প্রতি অনুরোধ জানানো হয়।

জম্মু ও কাশ্মীরে গত ৩০ বছরে বিভিন্ন বিক্ষোভ ও সহিংসতায় অন্তত ৫০ হাজার মানুষের প্রাণহানি ঘটেছে। দুই সপ্তাহ আগে শ্রীনগরের সৌরা এলাকায় শুক্রবারের নামাজের পর বেশ কয়েকশ' মানুষ প্রতিবাদ বিক্ষোভে সামিল হয়েছিল, যে ভিডিও বিবিসিতে প্রকাশিত হলে তা আলোড়ন ফেলে দেয়। কালকের জুমার নামাজের আগেও নিরাপত্তাবাহিনী গোটা কাশ্মীরকে কঠোর নিরাপত্তা ও কারফিউতে মুড়ে রেখেছে।

গত ৫ আগস্ট ভারত সরকারের কাশ্মীরের স্বায়ত্তশাসন কেড়ে নেয়া হয়। বিতর্কিত ওই সিদ্ধান্ত ঘোষণার অনেক আগে থেকেই সেখানকার হুরিয়াতপন্থি বিচ্ছিন্নতাবাদী নেতাদের হয় গৃহবন্দি, নয় কারাগারে আটকে রাখা হয়েছিল। ফলে সৈয়দ আলি শাহ গিলানি, মিরওয়াইজ ওমর ফারুক বা ইয়াসিন মালিকের মতো কাশ্মীরের বিচ্ছিন্নতাবাদী নেতারা ‘জয়েন্ট রেজিস্ট্যান্স লিডারশিপ’ নামে যে যৌথ নেতৃত্ব গঠন করেছিলেন তাদের দিক থেকে এ যাবৎ কোনো কর্মসূচির ঘোষণা আসেনি।

কিন্তু ভারতের পার্লামেন্টে জম্মু ও কাশ্মীরকে বিভক্ত করার সিদ্ধান্ত গৃহীত হওয়ার দুই সপ্তাহ পর অবশেষে সেই যৌথ নেতৃত্বের নামে পোস্টার পড়েছে। সাধারণ মানুষকে আহ্বান জানিয়ে বলা হয়েছে, তারা যেন এই শুক্রবারের নামাজের পর দলে দলে সরকারবিরোধী প্রতিবাদ মিছিলে যোগ দেয়।

বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়া শ্রীনগরের সাউরা অঞ্চলের এক অধিবাসী নাম প্রকাশ না করা শর্তে বলেন, তারা শুক্রবারের বিক্ষোভে অংশ নেয়ার চেষ্টা করবেন। একটি মসজিদের পাশে পোস্টার পড়তে থাকা এক মধ্যবয়সী পুরুষ এতে অংশ নেয়া প্রসঙ্গে বলেন, আমরা চেষ্টা করব। মানুষ চেষ্টা করবে। কিন্তু আমরা জানি না যে, ওরা (ভারতীয় সেনা) আমাদের অংশ নিতে দেবে কি-না।

সোনালীনিউজ/এমএএইচ

Wordbridge School
Link copied!